৩ জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া

ঝালকাঠি

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি জেলায় করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্তর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শত শত রোগী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন এবং রোগিদের সাথে আসা ভিজিটর, নিকট আত্মিয় স্বজন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শিশুসহ সকল বয়সের রোগি আসছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর জন্য বিছানা রয়েছে ১৩টি। বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে জেলার নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। কঠোর লকডাউনের কারনে যানবাহনের অভাবে গ্রাম থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানান, প্রচন্ড গরমে গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার মানুষ। বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি রোগী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন ও খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি অন্যন্য ওষুধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তরমুজ-বাঙ্গিও অপরিপক্ক আম খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাই বেশি। আক্রান্ত রোগীকে বিশুদ্ধ পানি পান ও নিরাপদ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।

বেতাগীতে মৃত্যু ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বরগুনার বেতাগীতে ডায়রিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গত শনিবার এ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোকামিয়ার কাইয়াল ঘাটা গ্রামের নুরুল ইসলাম (৭০) ও বেতাগী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র ভানু (৬০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালের বেডে জায়গা নেই। রোগীরা ঠাঁই নিয়েছে হাসাপতালের মেঝেসহ আশপাশের বরান্দায়। অনেকে করোনায় সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে আসছেন না। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ থেকে শনিবার পর্যন্ত ১২৫ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০১ জন। ভর্তি আছেন ২৪ জন। গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই ২০-২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই মুহূর্তে হাসপাতালে কলেরা ও খাবার স্যালাইনেরে সঙ্কট না থাকলেও দুই এক দিনের মধ্যে মওজুদ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং বলেন, ঋতু পরিবর্তন ও দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কয়েকদিন ধরে লোকজন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

বালিয়াকান্দি

প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম, টিউবয়েলে পানি না উঠায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে বেশির ভাগ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বালিয়াকান্দি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২জন। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করেছেন শতাধিক রোগী। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৩মাস ধরে টিউবয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এ থেকে বিকল্প পথ বেছে নিতে মানুষ জল মোটর ও তারা টিউবয়েল স্থাপন করছেন। টিউবয়েলে পানি না থাকার কারণে বিশুদ্ধ পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও আবহাওয়ার কারণে এ সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ কারণে সকলকে সচেতনতার মধ্যে দিয়ে চলতে হবে।

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২

৩ জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া

ঝালকাঠি

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি জেলায় করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্তর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শত শত রোগী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন এবং রোগিদের সাথে আসা ভিজিটর, নিকট আত্মিয় স্বজন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শিশুসহ সকল বয়সের রোগি আসছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর জন্য বিছানা রয়েছে ১৩টি। বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে জেলার নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। কঠোর লকডাউনের কারনে যানবাহনের অভাবে গ্রাম থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানান, প্রচন্ড গরমে গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার মানুষ। বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি রোগী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন ও খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি অন্যন্য ওষুধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তরমুজ-বাঙ্গিও অপরিপক্ক আম খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাই বেশি। আক্রান্ত রোগীকে বিশুদ্ধ পানি পান ও নিরাপদ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।

বেতাগীতে মৃত্যু ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বরগুনার বেতাগীতে ডায়রিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গত শনিবার এ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোকামিয়ার কাইয়াল ঘাটা গ্রামের নুরুল ইসলাম (৭০) ও বেতাগী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র ভানু (৬০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালের বেডে জায়গা নেই। রোগীরা ঠাঁই নিয়েছে হাসাপতালের মেঝেসহ আশপাশের বরান্দায়। অনেকে করোনায় সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে আসছেন না। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ থেকে শনিবার পর্যন্ত ১২৫ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০১ জন। ভর্তি আছেন ২৪ জন। গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই ২০-২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই মুহূর্তে হাসপাতালে কলেরা ও খাবার স্যালাইনেরে সঙ্কট না থাকলেও দুই এক দিনের মধ্যে মওজুদ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং বলেন, ঋতু পরিবর্তন ও দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কয়েকদিন ধরে লোকজন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

বালিয়াকান্দি

প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম, টিউবয়েলে পানি না উঠায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে বেশির ভাগ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বালিয়াকান্দি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২জন। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করেছেন শতাধিক রোগী। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৩মাস ধরে টিউবয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এ থেকে বিকল্প পথ বেছে নিতে মানুষ জল মোটর ও তারা টিউবয়েল স্থাপন করছেন। টিউবয়েলে পানি না থাকার কারণে বিশুদ্ধ পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও আবহাওয়ার কারণে এ সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ কারণে সকলকে সচেতনতার মধ্যে দিয়ে চলতে হবে।