করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এই হাসপাতালটি চালুর মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা আরও উন্নত হবে। এই হাসপাতালে ২১২টি আইসিইউ আছে। এইচডিইউতে আছে প্রায় আড়াইশ’ বেড। অন্য বেডগুলোতেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন আছে। সেখানে হাইফ্লোনেইজল ক্যানোলা ব্যবহার করতে পারব। অন্যান্য বেডে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আমরা দিয়ে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পাঁচশ’ বেডই আইসিইউ সমতুল্য কোভিড রোগীর জন্য। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি রোগী আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত ২০ দিনে যে পরিমাণ রোগী এসেছে, গত ১০ মাসের মধ্যেও সেই রোগী আসে নাই।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই হাসপাতালের পরিচালনায় থাকছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এক হাজার বেডের এই হাসপাতালের নাম দেয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের (ছয়তলা) এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এতদিন মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহার হতো। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে।
হাসপাতালের ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। যন্ত্রপাতি, লোকবল, ওষুধসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় এটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারী শেষ হলে এটি জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।
হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার।
গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ৭ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন এটিকে কীভাবে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করা যায়, আমরা তার পরিকল্পনা করছি। এই ভবনকে আমরা যদি আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি, তাহলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে।
সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এই হাসপাতালটি চালুর মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা আরও উন্নত হবে। এই হাসপাতালে ২১২টি আইসিইউ আছে। এইচডিইউতে আছে প্রায় আড়াইশ’ বেড। অন্য বেডগুলোতেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন আছে। সেখানে হাইফ্লোনেইজল ক্যানোলা ব্যবহার করতে পারব। অন্যান্য বেডে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আমরা দিয়ে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পাঁচশ’ বেডই আইসিইউ সমতুল্য কোভিড রোগীর জন্য। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি রোগী আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত ২০ দিনে যে পরিমাণ রোগী এসেছে, গত ১০ মাসের মধ্যেও সেই রোগী আসে নাই।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই হাসপাতালের পরিচালনায় থাকছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এক হাজার বেডের এই হাসপাতালের নাম দেয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের (ছয়তলা) এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এতদিন মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহার হতো। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে।
হাসপাতালের ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। যন্ত্রপাতি, লোকবল, ওষুধসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় এটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারী শেষ হলে এটি জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।
হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার।
গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ৭ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন এটিকে কীভাবে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করা যায়, আমরা তার পরিকল্পনা করছি। এই ভবনকে আমরা যদি আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি, তাহলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে।