নলছিটি থেকে বরিশাল

অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে মাকে নিয়ে ছেলে ছুটে আসে হাসপাতালে

অ্যাম্বেুলেন্স বা অন্য কোন যানবাহন না পেয়ে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে ঝালকাঠীর নলছিটি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে করোনা আক্রান্ত মা রেহানা পারভিনকে বরিশালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালেন ছেলে জিয়াউল হাসান। সিলিন্ডার পাইপের অক্সিজেন মাস্কের সংযোগ ছিল প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা মা রেহানার মুখে। শনিবার সন্ধায় জিয়াউলের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার আর পেছনে মা রেহানার হাসপাতালে ছোটার এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এক সপ্তাহ আগে ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েও ফলাফল জানতে না পেরে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পুনরায় পরীক্ষা করিয়ে বৃহস্পতিবার করোনা পজেটিভ নিশ্চিত হন রেহানা পারভিনের পরিবার। চিকৎসকের পরামর্শে প্রথমে তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হলেও শনিবার তার অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে বাসায় চিকিৎসা দেয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি হননি স্বজনেরা।

কিন্তু শনিবার বিকেলে অনেক চেষ্টা করেও অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য যানবাহন সংগ্রহ করতে না পেরে ছেলে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে আসেন বরিশালে। সেখানে করোনা ওয়ার্ডে ৫৭ বছরের রেহানা পরভিনকে ভর্তি করার পরে তার অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল।

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলা হাসপাতাল ও ৪২টি উপজেলার ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোয়া ৫শ বেডের করোনা ওয়ার্ডের কথা বলা হলেও সেখানের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার আর মা রেহানাকে নিয়ে ছুটে চলা জিয়াউলের দুঃসাসহিক যাত্রায়।

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২

নলছিটি থেকে বরিশাল

অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে মাকে নিয়ে ছেলে ছুটে আসে হাসপাতালে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

বরিশাল : করোনা আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে ছেলের দুঃসাহসিক যাত্রা -সংবাদ

অ্যাম্বেুলেন্স বা অন্য কোন যানবাহন না পেয়ে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে ঝালকাঠীর নলছিটি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে করোনা আক্রান্ত মা রেহানা পারভিনকে বরিশালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালেন ছেলে জিয়াউল হাসান। সিলিন্ডার পাইপের অক্সিজেন মাস্কের সংযোগ ছিল প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা মা রেহানার মুখে। শনিবার সন্ধায় জিয়াউলের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার আর পেছনে মা রেহানার হাসপাতালে ছোটার এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এক সপ্তাহ আগে ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েও ফলাফল জানতে না পেরে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পুনরায় পরীক্ষা করিয়ে বৃহস্পতিবার করোনা পজেটিভ নিশ্চিত হন রেহানা পারভিনের পরিবার। চিকৎসকের পরামর্শে প্রথমে তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হলেও শনিবার তার অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে বাসায় চিকিৎসা দেয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি হননি স্বজনেরা।

কিন্তু শনিবার বিকেলে অনেক চেষ্টা করেও অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য যানবাহন সংগ্রহ করতে না পেরে ছেলে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে আসেন বরিশালে। সেখানে করোনা ওয়ার্ডে ৫৭ বছরের রেহানা পরভিনকে ভর্তি করার পরে তার অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল।

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলা হাসপাতাল ও ৪২টি উপজেলার ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোয়া ৫শ বেডের করোনা ওয়ার্ডের কথা বলা হলেও সেখানের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার আর মা রেহানাকে নিয়ে ছুটে চলা জিয়াউলের দুঃসাসহিক যাত্রায়।