পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসার কূটনৈতিক নীতির প্রশংসা করে বলেন, এই নীতির মাধ্যমে তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রের এক নতুন পথ উন্মোচন করেছেন। এই নীতি জলবায়ু ঝুঁঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সামনে রেখেছে এবং লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পররাষ্ট্র-নীতি বিশেষজ্ঞরা এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং উন্নয়নের প্রশংসা করতে ভুলে যান না।’ বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস তার অভ্যন্তরীণ উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।’ তিনি বিশ্ব নেতাদের পক্ষ থেকে ১৪৭টি অভিনন্দন-বার্তা ও ৩০টি ভিডিও-বার্তা পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
মোমেন বলেন, ফরেন সার্ভিসগুলোতে দায়িত্বরত অনেক কর্মকর্তার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আন্তর্জাতিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কাজে বাংলাদেশের অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সাহসী ও গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে দিবসটি পালন করা হয়। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিন কলকাতায় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশি কূটনীতিকরা পাকিস্তান ডেপুটি হাই কমিশনের কার্যালয় দখল করে ভবনের ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উত্তলন করেন। এটাই ছিল বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন।
সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসার কূটনৈতিক নীতির প্রশংসা করে বলেন, এই নীতির মাধ্যমে তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রের এক নতুন পথ উন্মোচন করেছেন। এই নীতি জলবায়ু ঝুঁঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সামনে রেখেছে এবং লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পররাষ্ট্র-নীতি বিশেষজ্ঞরা এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং উন্নয়নের প্রশংসা করতে ভুলে যান না।’ বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস তার অভ্যন্তরীণ উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।’ তিনি বিশ্ব নেতাদের পক্ষ থেকে ১৪৭টি অভিনন্দন-বার্তা ও ৩০টি ভিডিও-বার্তা পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
মোমেন বলেন, ফরেন সার্ভিসগুলোতে দায়িত্বরত অনেক কর্মকর্তার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আন্তর্জাতিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কাজে বাংলাদেশের অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সাহসী ও গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে দিবসটি পালন করা হয়। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিন কলকাতায় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশি কূটনীতিকরা পাকিস্তান ডেপুটি হাই কমিশনের কার্যালয় দখল করে ভবনের ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উত্তলন করেন। এটাই ছিল বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন।