পরস্পরবিরোধী মন্তব্য
আমাকে নয়, বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে কটূক্তি করছেন দিদি। গঙ্গারামপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এভাবেই তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত শনিবার দুটি সভায় ভাষণ দেন মোদি। প্রথমে আসানসোল এবং পরে গঙ্গারামপুরে। এ দুটি সভায় মমতার উদ্দেশে অনেক কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলার মানুষ সারা পৃথিবীতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এই কটূক্তি মোদিকে নয়, বাংলার ঐতিহ্যকে আঘাত করা হয়েছে। দিদি চাইছেন, বাংলার পরিস্থিতি দেখেও আমি চুপ করে থাকি। আমি বললেই অনেক কথা শুনতে হয়। দিদির লোকেরা যখন বাংলার গরিবদের সর্বস্ব লুট করে, তখন কীভাবে চুপ করে থাকি? দিদির তোষণের রাজনীতি যখন বাংলার সর্বনাশ করে, দিদির দলের নেতারা দলিতদের অপমান করে, তখন কি আমি চুপ করে থাকতে পারি? মোদির কথায়, ‘আগামী ২ মে-র পর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আসল পরিবর্তন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে তার জবাব দেন না দিদি। আমাকে নিন্দা করেন। বলেন, আমাকে কান ধরে উঠবস করাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের কষ্ট নিয়ে ভাবেন না। অহংকারী হয়ে উঠেছেন দিদি। সবাইকেই নিচু চোখে দেখেন। করোনা নিয়ে গত ভার্চুয়াল দুটি বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি দিদি। নীতি আয়োগের বৈঠকে বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এসেছেন, সেখানেও মমতা আসেননি। রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে বাংলার মানুষের জন্য সময় বের করতে পারেন না তিনি। মমতা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, সেনাকেও অপমান করেছেন। কয়েকদিন ধরে দিদির মধ্যে অসংবেদনশীলতা দেখেছি। কোচবিহারে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে কাল একটা অডিওটেপ আপনারা শুনেছেন। ৫ জনের মৃত্যুর পর দিদি রাজনীতি করছেন। সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে অডিও। এতে কোচবিহারের তৃণমূল নেতাকে বলা হচ্ছে, মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে মিছিল করো।
কেউ বিরোধিতা করলে কণ্ঠরোধ করেন দিদি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেউ ভুলতে পারেননি। আজও লোকেদের মনে আছে, কীভাবে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি পঞ্চায়েতে বিনা ভোটে জিতেছেন দিদির লোকেরা। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। হামলার ভয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিতে হয়েছে। গত ১০ বছরে উন্নয়নের নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দিদি। কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শরণার্থীদের সহযোগিতায় আইন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিন তালাক থেকে মুক্তির জন্য আইন এনেছে, দিদি ক্ষুব্ধ হন। কৃষকদের বঞ্চিত করেছেন দিদি।
সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২
পরস্পরবিরোধী মন্তব্য
প্রতিনিধি, কলকাতা
আমাকে নয়, বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে কটূক্তি করছেন দিদি। গঙ্গারামপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এভাবেই তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত শনিবার দুটি সভায় ভাষণ দেন মোদি। প্রথমে আসানসোল এবং পরে গঙ্গারামপুরে। এ দুটি সভায় মমতার উদ্দেশে অনেক কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলার মানুষ সারা পৃথিবীতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এই কটূক্তি মোদিকে নয়, বাংলার ঐতিহ্যকে আঘাত করা হয়েছে। দিদি চাইছেন, বাংলার পরিস্থিতি দেখেও আমি চুপ করে থাকি। আমি বললেই অনেক কথা শুনতে হয়। দিদির লোকেরা যখন বাংলার গরিবদের সর্বস্ব লুট করে, তখন কীভাবে চুপ করে থাকি? দিদির তোষণের রাজনীতি যখন বাংলার সর্বনাশ করে, দিদির দলের নেতারা দলিতদের অপমান করে, তখন কি আমি চুপ করে থাকতে পারি? মোদির কথায়, ‘আগামী ২ মে-র পর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আসল পরিবর্তন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে তার জবাব দেন না দিদি। আমাকে নিন্দা করেন। বলেন, আমাকে কান ধরে উঠবস করাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের কষ্ট নিয়ে ভাবেন না। অহংকারী হয়ে উঠেছেন দিদি। সবাইকেই নিচু চোখে দেখেন। করোনা নিয়ে গত ভার্চুয়াল দুটি বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি দিদি। নীতি আয়োগের বৈঠকে বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এসেছেন, সেখানেও মমতা আসেননি। রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে বাংলার মানুষের জন্য সময় বের করতে পারেন না তিনি। মমতা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, সেনাকেও অপমান করেছেন। কয়েকদিন ধরে দিদির মধ্যে অসংবেদনশীলতা দেখেছি। কোচবিহারে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে কাল একটা অডিওটেপ আপনারা শুনেছেন। ৫ জনের মৃত্যুর পর দিদি রাজনীতি করছেন। সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে অডিও। এতে কোচবিহারের তৃণমূল নেতাকে বলা হচ্ছে, মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে মিছিল করো।
কেউ বিরোধিতা করলে কণ্ঠরোধ করেন দিদি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেউ ভুলতে পারেননি। আজও লোকেদের মনে আছে, কীভাবে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি পঞ্চায়েতে বিনা ভোটে জিতেছেন দিদির লোকেরা। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। হামলার ভয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিতে হয়েছে। গত ১০ বছরে উন্নয়নের নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দিদি। কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শরণার্থীদের সহযোগিতায় আইন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিন তালাক থেকে মুক্তির জন্য আইন এনেছে, দিদি ক্ষুব্ধ হন। কৃষকদের বঞ্চিত করেছেন দিদি।