বাগেরহাটের পল্লীতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া মামাতো বোনকে কৌশলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগে ফুফাতো ভাই উজ্জল খানকে (২৬) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ গতকাল সকালে যাত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জলকে গ্রেপ্তার করে। ভিকটিম মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে উজ্জল ও তার মা ফরিদা বেগমকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। উজ্জল খান সদর উপজেলার যাত্রাপুর বেনেগাতি গ্রামের ছিদ্দিক খানের ছেলে। ঘটনার বিষয়ে মামালার বাদী ও থানা পুলিশ জানায়, ফরিদা বেগম মাঝে মাঝে ভাইয়ের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে দেখে যেত এবং খোজখবর নিতেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদা বেগম ভাইয়ের বাড়িতে যান এবং ভাইয়ের মেয়েকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি ফুফুর বাড়িতে থাকে। আর এখানেই ফুফাতো ভাই উজ্জল খা শিশু মেয়েটির সর্বনাশ করে। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ফরিদা বেগম মেয়েটিকে তার বাড়িতে আটকে রাখে। অবশেষে গত ২৯ মার্চ স্থানীয় লোকদের সহায়তায় মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর মধ্যেই মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা ও অস্বাভাবিক চালচলনের কারণে মেয়েকে জিজ্ঞাস করলে সে আমাকে জানায় বিভিন্ন সময় উজ্জল খা জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি বাদী তার বোনকে জানালে তিনি ঘটনা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে।
অন্যথায় নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে শনিবার বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত মেয়েটির পিতার করা মামলায় আমরা উজ্জল খাকে গ্রপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।
সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২
প্রতিনিধি, বাগেরহাট
বাগেরহাটের পল্লীতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া মামাতো বোনকে কৌশলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগে ফুফাতো ভাই উজ্জল খানকে (২৬) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ গতকাল সকালে যাত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জলকে গ্রেপ্তার করে। ভিকটিম মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে উজ্জল ও তার মা ফরিদা বেগমকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। উজ্জল খান সদর উপজেলার যাত্রাপুর বেনেগাতি গ্রামের ছিদ্দিক খানের ছেলে। ঘটনার বিষয়ে মামালার বাদী ও থানা পুলিশ জানায়, ফরিদা বেগম মাঝে মাঝে ভাইয়ের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে দেখে যেত এবং খোজখবর নিতেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদা বেগম ভাইয়ের বাড়িতে যান এবং ভাইয়ের মেয়েকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি ফুফুর বাড়িতে থাকে। আর এখানেই ফুফাতো ভাই উজ্জল খা শিশু মেয়েটির সর্বনাশ করে। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ফরিদা বেগম মেয়েটিকে তার বাড়িতে আটকে রাখে। অবশেষে গত ২৯ মার্চ স্থানীয় লোকদের সহায়তায় মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর মধ্যেই মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা ও অস্বাভাবিক চালচলনের কারণে মেয়েকে জিজ্ঞাস করলে সে আমাকে জানায় বিভিন্ন সময় উজ্জল খা জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি বাদী তার বোনকে জানালে তিনি ঘটনা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে।
অন্যথায় নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে শনিবার বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত মেয়েটির পিতার করা মামলায় আমরা উজ্জল খাকে গ্রপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।