হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলাসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ জেলা পরিষদের

করোনা সংক্রমণ রোধে শিবচরের ২ হাসপাতালসহ মাদারীপুরের ৪ হাসপাতালে হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলাসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। রোববার সকালে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বহেরাতলা হাজী কাশেম উকিল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও দত্তপাড়া চৌধুরী ফাতেমা বেগম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলা ২টি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ২টি, পালস অক্সিমিটার ৪টি বিতরণ করা হয়। একই দিন মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সম্প্রতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী করোনা রোগীদের জন্য উপরে উল্লেখিত সামগ্রী দেয়ার ঘোষণা দেন। করোনা প্রতিরোধে প্রায় ৩০ লাখ টাকার চিকিৎসা সামগ্রী জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে। এসব সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ, জেলা পরিষদের সদস্য শাহরিয়ার হাসান খান রানা, আয়শা সিদ্দিকা মুন্নী প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা যে সব চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি তা খুবই উন্নতমানের। এগুলো পাওয়ার ফলে এখন কোন করোনা রোগী অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ হবে না। একজন মুমূর্ষু রোগীকে আইসিউতে নেয়ার আগ মুুহূর্ত পর্যন্ত আমরা তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে পারবো। আমাদের আইসোলেশন সেন্টার চালু আছে। চিফ হুইপ স্যারের নির্দেশনা রয়েছে শুধু শিবচর নয়, দেশের যে কোন স্থান থেকে কোন রোগী এলে আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ডা. মো. সেলিম বলেন, করোনা প্রতিরোধে দেশের প্রথম করোনা সংক্রমিত এলাকা শিবচরে প্রথম ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেন চিফ হুইপ মহোদয়। সেই আইসোলেশন সেন্টারে হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার, উন্নত মানের খাবার সুবিধা রয়েছে। এসব সামগ্রী সংযুক্ত হওয়ায় ২০ জন করোনা রোগী একসঙ্গে উন্নত চিকিৎসা পাবেন।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী বলেন, মাদারীপুরের ৩ সংসদ সদস্যর পরামর্শক্রমে ৪ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য উন্নতমানের এ চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এর ফলে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সহজলভ্য হবে, উন্নতমানের চিকিৎসা পাবেন।

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২

করোনা সংক্রমণ রোধে শিবচরের ২ হাসপাতালে

হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলাসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ জেলা পরিষদের

প্রতিনিধি শিবচর (মাদারীপুর)

করোনা সংক্রমণ রোধে শিবচরের ২ হাসপাতালসহ মাদারীপুরের ৪ হাসপাতালে হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলাসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। রোববার সকালে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বহেরাতলা হাজী কাশেম উকিল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও দত্তপাড়া চৌধুরী ফাতেমা বেগম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলা ২টি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ২টি, পালস অক্সিমিটার ৪টি বিতরণ করা হয়। একই দিন মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সম্প্রতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী করোনা রোগীদের জন্য উপরে উল্লেখিত সামগ্রী দেয়ার ঘোষণা দেন। করোনা প্রতিরোধে প্রায় ৩০ লাখ টাকার চিকিৎসা সামগ্রী জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে। এসব সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ, জেলা পরিষদের সদস্য শাহরিয়ার হাসান খান রানা, আয়শা সিদ্দিকা মুন্নী প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা যে সব চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি তা খুবই উন্নতমানের। এগুলো পাওয়ার ফলে এখন কোন করোনা রোগী অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ হবে না। একজন মুমূর্ষু রোগীকে আইসিউতে নেয়ার আগ মুুহূর্ত পর্যন্ত আমরা তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে পারবো। আমাদের আইসোলেশন সেন্টার চালু আছে। চিফ হুইপ স্যারের নির্দেশনা রয়েছে শুধু শিবচর নয়, দেশের যে কোন স্থান থেকে কোন রোগী এলে আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ডা. মো. সেলিম বলেন, করোনা প্রতিরোধে দেশের প্রথম করোনা সংক্রমিত এলাকা শিবচরে প্রথম ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেন চিফ হুইপ মহোদয়। সেই আইসোলেশন সেন্টারে হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার, উন্নত মানের খাবার সুবিধা রয়েছে। এসব সামগ্রী সংযুক্ত হওয়ায় ২০ জন করোনা রোগী একসঙ্গে উন্নত চিকিৎসা পাবেন।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী বলেন, মাদারীপুরের ৩ সংসদ সদস্যর পরামর্শক্রমে ৪ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য উন্নতমানের এ চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এর ফলে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সহজলভ্য হবে, উন্নতমানের চিকিৎসা পাবেন।