লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারিদের দুধ নিচ্ছে প্রাণ ডেইরি

দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে যখন খামরিরা দুধ বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন দেশের শীর্ষস্থানীয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড নিজস্ব চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে আসা সব দুধই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংগ্রহ করছে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাভী পরিচর্যা, দুধ সংগ্রহ ও দুধ পরিবহন করে দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে নিয়ে আসে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সচেতনতায় কাজ করছে প্রাণ ডেইরি।

প্রাণ ডেইরির অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১২ হাজার চুক্তিভিত্তিক খামারি রয়েছে যাদের কাছ থেকে নিয়মিত দুধ সংগ্রহ করে থাকি। চলমান লকডাউনে হোটেল ও মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় অনেক খামারি দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। তবে আমরা আমাদের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের কেন্দ্রে আনা সব দুধ সংগ্রহ করছি। এসব দুধ আমরা প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মেট্রোপলিটন শহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিচ্ছি।

বর্তমানে পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি ও রংপুরে প্রাণ ডেইরির মোট পাঁচটি হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীন ১০১টি দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে সাতক্ষীরাতে কয়েকটি দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র করেছি এবং সেখানে দুধ সংগ্রহ শুরু করেছি। দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে খামারিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুধ সরবরাহ করছে।’

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘লকডাউনে সরকার কৃষি, ডেইরির সঙ্গে সম্পৃক্ত নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যপণ্য সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় আমরা সহজেই কৃষক ও খামারিদের পণ্য ভোক্তার হাতে তুলে দিতে পারছি।

লকডাউনে সবাইকে বাসায় থাকার জন্য বলা হচ্ছে। রমজান মাসে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা একটু বেশি থাকে। ভোক্তারা যেন ঘরে থেকে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য আমরা হোম ডেলিভারি সুবিধা দিচ্ছি। এছাড়া ডেইলি শপিং, স্বপ্ন, আগোরা এবং অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যম অথবা ডটকম, চালডাল ডটকমের মাধ্যমে প্রাণের তরল দুধ, গুড়ো দুধ, ফ্লেভার্ড মিল্ক, দই, ঘি, মাঠা, মাখন, চিজ ক্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।’

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২

লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারিদের দুধ নিচ্ছে প্রাণ ডেইরি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে যখন খামরিরা দুধ বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন দেশের শীর্ষস্থানীয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড নিজস্ব চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে আসা সব দুধই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংগ্রহ করছে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাভী পরিচর্যা, দুধ সংগ্রহ ও দুধ পরিবহন করে দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে নিয়ে আসে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সচেতনতায় কাজ করছে প্রাণ ডেইরি।

প্রাণ ডেইরির অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১২ হাজার চুক্তিভিত্তিক খামারি রয়েছে যাদের কাছ থেকে নিয়মিত দুধ সংগ্রহ করে থাকি। চলমান লকডাউনে হোটেল ও মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় অনেক খামারি দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। তবে আমরা আমাদের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের কেন্দ্রে আনা সব দুধ সংগ্রহ করছি। এসব দুধ আমরা প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মেট্রোপলিটন শহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিচ্ছি।

বর্তমানে পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি ও রংপুরে প্রাণ ডেইরির মোট পাঁচটি হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীন ১০১টি দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে সাতক্ষীরাতে কয়েকটি দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র করেছি এবং সেখানে দুধ সংগ্রহ শুরু করেছি। দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে খামারিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুধ সরবরাহ করছে।’

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘লকডাউনে সরকার কৃষি, ডেইরির সঙ্গে সম্পৃক্ত নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যপণ্য সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় আমরা সহজেই কৃষক ও খামারিদের পণ্য ভোক্তার হাতে তুলে দিতে পারছি।

লকডাউনে সবাইকে বাসায় থাকার জন্য বলা হচ্ছে। রমজান মাসে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা একটু বেশি থাকে। ভোক্তারা যেন ঘরে থেকে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য আমরা হোম ডেলিভারি সুবিধা দিচ্ছি। এছাড়া ডেইলি শপিং, স্বপ্ন, আগোরা এবং অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যম অথবা ডটকম, চালডাল ডটকমের মাধ্যমে প্রাণের তরল দুধ, গুড়ো দুধ, ফ্লেভার্ড মিল্ক, দই, ঘি, মাঠা, মাখন, চিজ ক্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।’