মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ছাত্র ইউনিয়নের ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে যখন সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে, ঠিক এমন সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমজীবী মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দিতে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার চালু করা হয়েছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’।

জয়পুরহাট জেলা শহরের আমতলীর মাহতাব উদ্দীন বিদ্যাপীঠে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ চালু করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার কাজ শেষে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ এর মাধ্যমে হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে রান্না করা খাবার।

সরকার ঘোষিত লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের আয় যখন কমে গেছে। প্রতিদিনের সংসারের খরচ জোগাড় করাই যখন হয়ে পড়েছে কঠিন। ঠিক এমন সময় বিপাকে পড়া হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর পাশে ছাত্র ইউনিয়নের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী।

ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রিফাত আমিন রিয়ন জানান, ‘সারাদেশে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। আর এ লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিকদের মতো নিম্নœআয়ের মানুষগুলো। ছাত্র ইউনিয়ন বিনামূল্যে একবেলা খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন থেকে খাবার বিতরণ করছে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা। আর যতদিন এ লকডাউন চালু থাকবে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আমাদের পাশাপাশি অসহায় শ্রমজীবী এসকল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইল।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাসরিন সুলতানা জানান, ‘আমরা ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব থেকে শ্রমজীবী এ সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিনামূল্যে একবেলা খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন সকলকেই মেনে চলা উচিত। তবে পেটে খাবার না থাকলে কেউ লকডাউন মানবে না এইটাই স্বাভাবিক। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো লকডাউন ঘোষণার আগে শ্রমজীবী মানুষের খাবার যেনো নিশ্চিত করা হয়।’

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২

মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ছাত্র ইউনিয়নের ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’

জেলাবার্তা পরিবেশক, নওগাঁ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে যখন সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে, ঠিক এমন সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমজীবী মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দিতে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার চালু করা হয়েছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’।

জয়পুরহাট জেলা শহরের আমতলীর মাহতাব উদ্দীন বিদ্যাপীঠে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ চালু করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার কাজ শেষে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ এর মাধ্যমে হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে রান্না করা খাবার।

সরকার ঘোষিত লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের আয় যখন কমে গেছে। প্রতিদিনের সংসারের খরচ জোগাড় করাই যখন হয়ে পড়েছে কঠিন। ঠিক এমন সময় বিপাকে পড়া হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর পাশে ছাত্র ইউনিয়নের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী।

ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রিফাত আমিন রিয়ন জানান, ‘সারাদেশে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। আর এ লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিকদের মতো নিম্নœআয়ের মানুষগুলো। ছাত্র ইউনিয়ন বিনামূল্যে একবেলা খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন থেকে খাবার বিতরণ করছে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা। আর যতদিন এ লকডাউন চালু থাকবে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আমাদের পাশাপাশি অসহায় শ্রমজীবী এসকল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইল।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাসরিন সুলতানা জানান, ‘আমরা ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব থেকে শ্রমজীবী এ সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিনামূল্যে একবেলা খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন সকলকেই মেনে চলা উচিত। তবে পেটে খাবার না থাকলে কেউ লকডাউন মানবে না এইটাই স্বাভাবিক। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো লকডাউন ঘোষণার আগে শ্রমজীবী মানুষের খাবার যেনো নিশ্চিত করা হয়।’