সংকটাপন্নদের যাওয়ার অনুরোধ
দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে চালু হওয়া কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকাল থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম ৫ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ৪০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, এই মুহূর্তে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি সক্ষমতার হাসপাতাল এটি। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে হাসপাতালটি। এটি এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল, যার অর্ধেকের বেশি শয্যায় রোগীকে অক্সিজেন সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল ৮টা থেকে এখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বেশি সংকটাপন্নদেরই এ হাসপাতালে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অক্সিজেন সমস্যা বেশি ও আইসিইউ যাদের দরকার তাদের আপাতত আসার অনুরোধ করছি। প্রতিটি বেডের সঙ্গে অক্সিজেন ব্যবস্থা সেট করা। তিনি বলেন, গত রোববার হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল আংশিক হলেও মাসের শেষ নাগাদ এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। শুরুতে ২৫০ শয্যা দিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এটাতে পাঁচ শতাধিক শয্যায় পরিণত করব এবং এই মাসের মধ্যেই আশা করা যায় এক হাজার শয্যাই আমরা চালু করে দেব। তিনি বলেন, হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৫০ শয্যার আইসিইউ, ৫০ শয্যার ইমার্জেন্সি, যা অনেকটা আইসিইউর মতোই, এখানে হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সবকিছু থাকবে। এছাড়া শুরুতে ১৫০টি (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এখানে রয়েছে।
হাসপাতালটিতে যা যা থাকছে
একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার অত্যাধুনিক কোভিড আইসিইউ শয্যা রয়েছে। ২৫০ কোভিড শয্যাসহ (এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা) অন্যান্য ব্যবস্থা থাকছে। এখানে ৫০ শয্যার জরুরি বিভাগ ও ছয় শয্যার ট্রায়াজ বেড রয়েছে। তাছাড়া ৫৩৮ কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ থাকছে, যেগুলোতেও সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থাকবে। হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যায় কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য ৯০ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভার থাকছে। পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর সবাই বুঝতে পারবে যে কত বড় মানের একটা কিছু হলো। আমাদের কিছু জনবলও প্রয়োজন। হঠাৎ এত বড় হাসপাতাল সম্পূর্ণ জনবল দিয়ে চালু করাটা বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জের। সেখানে কিছুটা সময় লাগলেও খুব দ্রুতই তা পূরণ হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী যে, কোভিড-১৯ চিকিৎসা ম্যানেজমেন্টের জন্য এখানে ভালো কিছু করতে পারব।
রোগীরা যেভাবে ভর্তি ও সেবা নেবেন
হাসপাতালটি চালুর পর রোগীরা কীভাবে ভর্তি হবেন সে বিষয়টি জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বা উপসর্গ আছে- এমন রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হবে। তারা প্রথমে আমাদের ট্রায়াজে প্রবেশ করবেন। সেখানে দুটি জোন আছে। যাদের মৃদু উপসর্গ আছে বা হেঁটেই আসতে পারছে, চিকিৎসা নেয়ার জন্য তাদের যদি ভর্তি প্রয়োজন না হয় তবে ভর্তি করা হবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হবে। পরে এসে তিনি আবার রিপোর্ট করতে পারবেন।
ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা করোনা সংক্রমিত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসবে তারা ট্রায়াজ-২ এ চলে যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা আছে। ছয় বেডের একটা আইসিইউ সেটআপ থাকবে নিচ তলাতেই। সেখানে ভেন্টিলেটরের সুযোগও থাকছে। আর তাই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডেই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের স্ট্যাবল হওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঠিয়ে দেয়া হবে দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে। সেখানে যদি কারও অবস্থা খারাপ হয় তবে তাকে আমরা পাঠিয়ে দেব আইসিইউ বা এইচডিইউতে। আর যদি একটু স্ট্যাবল হয় বা ঝুঁকির মাত্রা কমে আসে তবে আমরা তাদের কেবিনে পাঠিয়ে দেব। এই কেবিনগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সুবিধা থাকবে। এক্ষেত্রে মনিটরের ব্যবস্থাও করা হবে খুব দ্রুত। সেখানে তারা কিছুটা স্ট্যাবল হলে তাদের ধীরে ধীরে ডিসচার্জ হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটাই আমাদের আপাতত স্টেপ-১ ও স্টেপ-২ পরিকল্পনা।
হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন
হাসপাতালটির পরিচালক আরও বলেন, এটা আসলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাসপাতাল হতে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন কাজ করে যাচ্ছে। আমিও আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের পক্ষেই এখানে কাজ করছি। আমাদের জনবল, আর্থিক সহায়তা, ওষুধসহ বিভিন্ন কিছু দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর্মড ফোর্সেস থেকেও চিকিৎসক, নার্সসহ সবকিছু থাকছে। ডিএনসিসি তাদের জায়গা দিয়েছে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য কিছু সাপোর্ট দিয়ে আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছে। মূলত এই তিনটি প্রতিষ্ঠান মিলেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে মন্ত্রণালয়।
মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি গতকাল থেকে শুরু, দেশের বৃহত্তর হাসপাতালে যাচ্ছেন রোগীরা। গতকাল হাসপাতাল থেকে তোলা -সংবাদ
আরও খবরমঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২
সংকটাপন্নদের যাওয়ার অনুরোধ
মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি গতকাল থেকে শুরু, দেশের বৃহত্তর হাসপাতালে যাচ্ছেন রোগীরা। গতকাল হাসপাতাল থেকে তোলা -সংবাদ
দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে চালু হওয়া কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকাল থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম ৫ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ৪০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, এই মুহূর্তে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি সক্ষমতার হাসপাতাল এটি। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে হাসপাতালটি। এটি এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল, যার অর্ধেকের বেশি শয্যায় রোগীকে অক্সিজেন সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল ৮টা থেকে এখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বেশি সংকটাপন্নদেরই এ হাসপাতালে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অক্সিজেন সমস্যা বেশি ও আইসিইউ যাদের দরকার তাদের আপাতত আসার অনুরোধ করছি। প্রতিটি বেডের সঙ্গে অক্সিজেন ব্যবস্থা সেট করা। তিনি বলেন, গত রোববার হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল আংশিক হলেও মাসের শেষ নাগাদ এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। শুরুতে ২৫০ শয্যা দিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এটাতে পাঁচ শতাধিক শয্যায় পরিণত করব এবং এই মাসের মধ্যেই আশা করা যায় এক হাজার শয্যাই আমরা চালু করে দেব। তিনি বলেন, হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৫০ শয্যার আইসিইউ, ৫০ শয্যার ইমার্জেন্সি, যা অনেকটা আইসিইউর মতোই, এখানে হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সবকিছু থাকবে। এছাড়া শুরুতে ১৫০টি (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এখানে রয়েছে।
হাসপাতালটিতে যা যা থাকছে
একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার অত্যাধুনিক কোভিড আইসিইউ শয্যা রয়েছে। ২৫০ কোভিড শয্যাসহ (এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা) অন্যান্য ব্যবস্থা থাকছে। এখানে ৫০ শয্যার জরুরি বিভাগ ও ছয় শয্যার ট্রায়াজ বেড রয়েছে। তাছাড়া ৫৩৮ কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ থাকছে, যেগুলোতেও সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থাকবে। হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যায় কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য ৯০ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভার থাকছে। পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর সবাই বুঝতে পারবে যে কত বড় মানের একটা কিছু হলো। আমাদের কিছু জনবলও প্রয়োজন। হঠাৎ এত বড় হাসপাতাল সম্পূর্ণ জনবল দিয়ে চালু করাটা বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জের। সেখানে কিছুটা সময় লাগলেও খুব দ্রুতই তা পূরণ হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী যে, কোভিড-১৯ চিকিৎসা ম্যানেজমেন্টের জন্য এখানে ভালো কিছু করতে পারব।
রোগীরা যেভাবে ভর্তি ও সেবা নেবেন
হাসপাতালটি চালুর পর রোগীরা কীভাবে ভর্তি হবেন সে বিষয়টি জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বা উপসর্গ আছে- এমন রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হবে। তারা প্রথমে আমাদের ট্রায়াজে প্রবেশ করবেন। সেখানে দুটি জোন আছে। যাদের মৃদু উপসর্গ আছে বা হেঁটেই আসতে পারছে, চিকিৎসা নেয়ার জন্য তাদের যদি ভর্তি প্রয়োজন না হয় তবে ভর্তি করা হবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হবে। পরে এসে তিনি আবার রিপোর্ট করতে পারবেন।
ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা করোনা সংক্রমিত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসবে তারা ট্রায়াজ-২ এ চলে যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা আছে। ছয় বেডের একটা আইসিইউ সেটআপ থাকবে নিচ তলাতেই। সেখানে ভেন্টিলেটরের সুযোগও থাকছে। আর তাই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডেই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের স্ট্যাবল হওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঠিয়ে দেয়া হবে দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে। সেখানে যদি কারও অবস্থা খারাপ হয় তবে তাকে আমরা পাঠিয়ে দেব আইসিইউ বা এইচডিইউতে। আর যদি একটু স্ট্যাবল হয় বা ঝুঁকির মাত্রা কমে আসে তবে আমরা তাদের কেবিনে পাঠিয়ে দেব। এই কেবিনগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সুবিধা থাকবে। এক্ষেত্রে মনিটরের ব্যবস্থাও করা হবে খুব দ্রুত। সেখানে তারা কিছুটা স্ট্যাবল হলে তাদের ধীরে ধীরে ডিসচার্জ হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটাই আমাদের আপাতত স্টেপ-১ ও স্টেপ-২ পরিকল্পনা।
হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন
হাসপাতালটির পরিচালক আরও বলেন, এটা আসলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাসপাতাল হতে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন কাজ করে যাচ্ছে। আমিও আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের পক্ষেই এখানে কাজ করছি। আমাদের জনবল, আর্থিক সহায়তা, ওষুধসহ বিভিন্ন কিছু দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর্মড ফোর্সেস থেকেও চিকিৎসক, নার্সসহ সবকিছু থাকছে। ডিএনসিসি তাদের জায়গা দিয়েছে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য কিছু সাপোর্ট দিয়ে আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছে। মূলত এই তিনটি প্রতিষ্ঠান মিলেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে মন্ত্রণালয়।