নাভালনির মৃত্যু হলে রাশিয়াকে ভুগতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক এবং কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নাভালনিকে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছে না রুশ কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেইক সালিভ্যান বলেছেন, কারাগারে নাভালনির মৃত্যু হলে রাশিয়াকে এর ফল ভোগ করতে হবে। এক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে আলাপকালে জেইক সালিভ্যান বলেন, রুশ সরকারকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, নিরাপত্তা হেফাজতে নাভালনির সঙ্গে যা ঘটেছে তার দায় মস্কোকে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নাভালনির চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোমরের ব্যথা ও পা অবশ হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা না করালে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৪৪ বছরের নাভালনির মৃত্যু হতে পারে। রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেকোন মুহূর্তে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিংবা কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অবশ্য দাবি করেছেন, মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই নাভালনি এসব করছেন। তবে তাকে কারাগারে মারা যেতে দেওয়া হবে না। নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে বিরোধী নেতা নাভালনিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল রুশ কর্তৃপক্ষ। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে সমর্থকরা। এর মধ্যেই তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকেও হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়। রাজনৈতিক কারণে তাকে বন্দী করা হয়েছে বলে নাভালনি দাবি করে এলেও তা অস্বীকার করে আসছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২

নাভালনির মৃত্যু হলে রাশিয়াকে ভুগতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক এবং কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নাভালনিকে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছে না রুশ কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেইক সালিভ্যান বলেছেন, কারাগারে নাভালনির মৃত্যু হলে রাশিয়াকে এর ফল ভোগ করতে হবে। এক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে আলাপকালে জেইক সালিভ্যান বলেন, রুশ সরকারকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, নিরাপত্তা হেফাজতে নাভালনির সঙ্গে যা ঘটেছে তার দায় মস্কোকে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নাভালনির চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোমরের ব্যথা ও পা অবশ হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা না করালে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৪৪ বছরের নাভালনির মৃত্যু হতে পারে। রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেকোন মুহূর্তে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিংবা কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অবশ্য দাবি করেছেন, মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই নাভালনি এসব করছেন। তবে তাকে কারাগারে মারা যেতে দেওয়া হবে না। নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে বিরোধী নেতা নাভালনিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল রুশ কর্তৃপক্ষ। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে সমর্থকরা। এর মধ্যেই তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকেও হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়। রাজনৈতিক কারণে তাকে বন্দী করা হয়েছে বলে নাভালনি দাবি করে এলেও তা অস্বীকার করে আসছে রুশ কর্তৃপক্ষ।