খালেদা জিয়ার জ্বর নেই, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক চিকিৎসক

বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর আসেনি, এটা ভালো লক্ষণ। এছাড়া তিনি শ্বাস-প্রশ্বাসও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন। জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্তের ১১তম দিন পার হয়েছে গতকাল। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তখন তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

গতকাল সকাল থেকে কোন চিকিৎসক সশরীরে তাকে দেখতে না গেলেও সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা রোববার রাতে যেমন ছিল, এখন তেমনই আছে। অর্থাৎ তার অবস্থা স্থিতিশীল।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের অবস্থা ভালো। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’ ‘খালেদা জিয়ার আজ জ্বর আসেনি’ উল্লেখ করে ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন। তার শরীরে আজ করোনার কোন লক্ষণ নেই।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন ডা. এফএম সিদ্দিকী, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. আল মামুন। গতকাল রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার কথা ডা. মামুনের।

রোববার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকী বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে খালেদা জিয়ার শরীরে সামান্য জ্বর ওঠা-নামা করছিল। গতকাল সারাদিন কোন জ্বর ছিল না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এ অবস্থা বিরাজ করলে আমরা বলতে পারব যে একটা নিরাপদ জোনে চলে এসেছে। আমরা তার শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছি। তার ব্লাড সুগারসহ অন্যান্য যেসব প্যারামিটার রয়েছে সেগুলো ঠিক আছে। তার কাশি নেই, গলার ব্যথাও নেই। সবকিছু এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার ব্যক্তিগত আট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হন। বাসভবন ফিরোজায় তাদের চিকিৎসা চলছে।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২

খালেদা জিয়ার জ্বর নেই, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক চিকিৎসক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর আসেনি, এটা ভালো লক্ষণ। এছাড়া তিনি শ্বাস-প্রশ্বাসও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন। জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্তের ১১তম দিন পার হয়েছে গতকাল। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তখন তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

গতকাল সকাল থেকে কোন চিকিৎসক সশরীরে তাকে দেখতে না গেলেও সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা রোববার রাতে যেমন ছিল, এখন তেমনই আছে। অর্থাৎ তার অবস্থা স্থিতিশীল।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের অবস্থা ভালো। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’ ‘খালেদা জিয়ার আজ জ্বর আসেনি’ উল্লেখ করে ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন। তার শরীরে আজ করোনার কোন লক্ষণ নেই।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন ডা. এফএম সিদ্দিকী, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. আল মামুন। গতকাল রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার কথা ডা. মামুনের।

রোববার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকী বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে খালেদা জিয়ার শরীরে সামান্য জ্বর ওঠা-নামা করছিল। গতকাল সারাদিন কোন জ্বর ছিল না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এ অবস্থা বিরাজ করলে আমরা বলতে পারব যে একটা নিরাপদ জোনে চলে এসেছে। আমরা তার শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছি। তার ব্লাড সুগারসহ অন্যান্য যেসব প্যারামিটার রয়েছে সেগুলো ঠিক আছে। তার কাশি নেই, গলার ব্যথাও নেই। সবকিছু এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার ব্যক্তিগত আট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হন। বাসভবন ফিরোজায় তাদের চিকিৎসা চলছে।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।