সর্বত্রই শুধু নাই আর নাই

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত বছর সেই হাসপাতালে নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন করোনা চিকিৎসার ওয়ার্ড হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারিভাবে এটিকে ‘ডেডিকেটেড’ করোনা চিকৎসার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রথমে শয্যা সংখ্যা কম থাকলেও এখন একশ’ পঞ্চাশ জন করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে এখানে কোন আইসিইউ শয্যা ছিল না। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হতো। এমনকি ছিল না হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। পরবর্তীতে গত বছর স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি ও নবীন চিকিৎসকদের দয়ায় পাওয়া যায় ১০টি হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। এরপর এখন পর্যন্ত আর সংখ্যা বাড়েনি। অবশ্য জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কয়েকটি সেট পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ব্যবহৃত হয়নি। পরবর্তীতে এখানে মাত্র ১২টি আইসিইউ বেড তৈরি করা হয়। সরকার এখন এই হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে স্থাপিত হবে তা কেউ জানেন না। আবার আইসিইউ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক আগেও ছিল না এখনও নেই।

উল্লিখিত প্রতিটি জেলাতে রয়েছে একটি করে জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু কোনটিতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে সাম্প্রতিককালে সরকার জেনারেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক না দিয়েই আইসিইউ বেড স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ওই বেডগুলো কার্যকর হবে তাও কেউ জানেন না। অবশ্য মেডিকেল কলেজের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম দিয়ে ৮১টি লাইন থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০টি লাইন। অন্যদিকে বড় সংকট হচ্ছে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা। দেড়শ’ বেডের বিপরীতে সব সময়েই থাকছে বেশি সংখ্যক রোগী। কিন্তু করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে তাতে এখানে ভবিষ্যতে আর রোগী ভর্তি করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে এমনিতেই করোনা রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নেই। রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ (সিমটম) দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তারপরও রয়েছে অনুমোদিত দেড়শ’ বেডের রোগীদের জন্য প্রতি শিফটে মাত্র তিনজন চিকিৎসক। অর্থাৎ একজন চিকিৎসককে দেখতে হচ্ছে ৫০ জন রোগী। ঠিক একইভাবে নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই।

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২

সর্বত্রই শুধু নাই আর নাই

মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত বছর সেই হাসপাতালে নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন করোনা চিকিৎসার ওয়ার্ড হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারিভাবে এটিকে ‘ডেডিকেটেড’ করোনা চিকৎসার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রথমে শয্যা সংখ্যা কম থাকলেও এখন একশ’ পঞ্চাশ জন করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে এখানে কোন আইসিইউ শয্যা ছিল না। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হতো। এমনকি ছিল না হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। পরবর্তীতে গত বছর স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি ও নবীন চিকিৎসকদের দয়ায় পাওয়া যায় ১০টি হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। এরপর এখন পর্যন্ত আর সংখ্যা বাড়েনি। অবশ্য জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কয়েকটি সেট পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ব্যবহৃত হয়নি। পরবর্তীতে এখানে মাত্র ১২টি আইসিইউ বেড তৈরি করা হয়। সরকার এখন এই হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে স্থাপিত হবে তা কেউ জানেন না। আবার আইসিইউ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক আগেও ছিল না এখনও নেই।

উল্লিখিত প্রতিটি জেলাতে রয়েছে একটি করে জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু কোনটিতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে সাম্প্রতিককালে সরকার জেনারেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক না দিয়েই আইসিইউ বেড স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ওই বেডগুলো কার্যকর হবে তাও কেউ জানেন না। অবশ্য মেডিকেল কলেজের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম দিয়ে ৮১টি লাইন থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০টি লাইন। অন্যদিকে বড় সংকট হচ্ছে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা। দেড়শ’ বেডের বিপরীতে সব সময়েই থাকছে বেশি সংখ্যক রোগী। কিন্তু করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে তাতে এখানে ভবিষ্যতে আর রোগী ভর্তি করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে এমনিতেই করোনা রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নেই। রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ (সিমটম) দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তারপরও রয়েছে অনুমোদিত দেড়শ’ বেডের রোগীদের জন্য প্রতি শিফটে মাত্র তিনজন চিকিৎসক। অর্থাৎ একজন চিকিৎসককে দেখতে হচ্ছে ৫০ জন রোগী। ঠিক একইভাবে নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই।