করোনা মহামারির অবস্থা দিন দিন অবনতির কারণে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে এবং তা কার্যকর আছে। লকডাউনের কারণে সারা দেশে মুদি দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া আর সব প্রকারের দোকান বন্ধ। গণপরিবহণের সঙ্গে সঙ্গে ভারি যানবাহন চলাচলও বন্ধ। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে গরুর খামারিরা। মিষ্টি জাতীয় পণ্যের উৎপাদন ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন সারা চট্টগ্রামে দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। লকডাউনের কবলে পড়ে শিকলবাহা ইউনিয়ন বাসীর প্রতিদিন টনকে টন দুধ বিক্রি না হওয়ার কারণে নদীতে ঢালতে হচ্ছে। গরুর খাদ্যের বাজার দাম অনেক চড়া। যার কারণে প্রতিদিন অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে আছেন খামারিরা। দুধ বিক্রি করতে না পেরে গরুর খামারিরা মারাত্মকভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বিগত বছরের লকডাউনেও গরুর খামারিদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। এবারে লকডাউনে হইতো অনেক খামারিকেই পথে বসতে হবে। তাই সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় গরু খামারিরা সর্বহারা হবেন। এবং দুধ উৎপাদনে ভবিষ্যতে নিরুৎসাহিত হবেন। দুধের এরকম পরিস্থিতি শুধু খামারিদের জন্য ক্ষতিকর নয় সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পর্যায়েও অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এ বিষয়টি বিশেষ নজরে রাখতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন রায়হান
মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৭ বৈশাখ ১৪২৮ ৭ রমজান ১৪৪২
করোনা মহামারির অবস্থা দিন দিন অবনতির কারণে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে এবং তা কার্যকর আছে। লকডাউনের কারণে সারা দেশে মুদি দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া আর সব প্রকারের দোকান বন্ধ। গণপরিবহণের সঙ্গে সঙ্গে ভারি যানবাহন চলাচলও বন্ধ। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে গরুর খামারিরা। মিষ্টি জাতীয় পণ্যের উৎপাদন ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন সারা চট্টগ্রামে দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। লকডাউনের কবলে পড়ে শিকলবাহা ইউনিয়ন বাসীর প্রতিদিন টনকে টন দুধ বিক্রি না হওয়ার কারণে নদীতে ঢালতে হচ্ছে। গরুর খাদ্যের বাজার দাম অনেক চড়া। যার কারণে প্রতিদিন অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে আছেন খামারিরা। দুধ বিক্রি করতে না পেরে গরুর খামারিরা মারাত্মকভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বিগত বছরের লকডাউনেও গরুর খামারিদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। এবারে লকডাউনে হইতো অনেক খামারিকেই পথে বসতে হবে। তাই সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় গরু খামারিরা সর্বহারা হবেন। এবং দুধ উৎপাদনে ভবিষ্যতে নিরুৎসাহিত হবেন। দুধের এরকম পরিস্থিতি শুধু খামারিদের জন্য ক্ষতিকর নয় সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পর্যায়েও অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এ বিষয়টি বিশেষ নজরে রাখতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন রায়হান