নিম্নমানের খোয়ায় রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ছলিমনগর ভরপাড়া স্লুইস গেট হতে যোগীরকোফা পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণ কাজে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি পাকাকরণ কাজ করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার ত্রিমোহন খেয়াঘাট-হাটুভাঙ্গা জিসি ভায়া লতিফপুর ইউপিসি ২ কিলোমিটার সড়ক ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হয়। গত প্রায় একমাস ধরে ইটের খোয়া বিছানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় পিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে নিম্নমানের ডিফফিল্ড পরিষ্কার করার খোয়া ব্যবহার করছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের পর ওপরে পিকেট ইটের খোয়া ছিটিয়ে তা ঢেকে দেয়া হচ্ছে। কাজ বাস্তবায়ন স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের দায়িত্বে থাকলেও তারা তা ঠিকমতো তদারকি করছেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন আমলে নিচ্ছে না।

গত শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। নিম্নœমানের খোয়ার ওপরে পিকেট ইটের খোয়া ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন স্থানীয় সরবরাহকারীদের মাধ্যমে এই নিম্নœমানের খোয়া রাস্তায় ফেলা হয়েছে। রাস্তার সাববেজ ভাল না হওয়ায় স্থনীয়দের চাপে বন্ধ হয়ে আছে রাস্তার একাংশের কাজ। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নক্সাকার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামসুদ্দিন নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছে। না শোনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

রাস্তার কাজে ব্যবহার করা নিম্নœমানের খোয়া সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এনএইচবি ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল হক ভূইয়া মোহনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরবরাহকারীরা নিম্নœমানের খোয়া ফেলেছিল। জানার পর তা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৮ বৈশাখ ১৪২৮ ৮ রমজান ১৪৪২

নিম্নমানের খোয়ায় রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

image

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ছলিমনগর ভরপাড়া স্লুইস গেট হতে যোগীরকোফা পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণ কাজে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি পাকাকরণ কাজ করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার ত্রিমোহন খেয়াঘাট-হাটুভাঙ্গা জিসি ভায়া লতিফপুর ইউপিসি ২ কিলোমিটার সড়ক ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হয়। গত প্রায় একমাস ধরে ইটের খোয়া বিছানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় পিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে নিম্নমানের ডিফফিল্ড পরিষ্কার করার খোয়া ব্যবহার করছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের পর ওপরে পিকেট ইটের খোয়া ছিটিয়ে তা ঢেকে দেয়া হচ্ছে। কাজ বাস্তবায়ন স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের দায়িত্বে থাকলেও তারা তা ঠিকমতো তদারকি করছেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন আমলে নিচ্ছে না।

গত শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। নিম্নœমানের খোয়ার ওপরে পিকেট ইটের খোয়া ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন স্থানীয় সরবরাহকারীদের মাধ্যমে এই নিম্নœমানের খোয়া রাস্তায় ফেলা হয়েছে। রাস্তার সাববেজ ভাল না হওয়ায় স্থনীয়দের চাপে বন্ধ হয়ে আছে রাস্তার একাংশের কাজ। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নক্সাকার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামসুদ্দিন নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছে। না শোনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

রাস্তার কাজে ব্যবহার করা নিম্নœমানের খোয়া সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এনএইচবি ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল হক ভূইয়া মোহনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরবরাহকারীরা নিম্নœমানের খোয়া ফেলেছিল। জানার পর তা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।