মাতামুহুরী নদীর বালু অবৈধ উত্তোলনে হুমকিতে জনপদ

অভিযানে ৪টি শ্যালোমেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রমত্তা মাতামুহুরী নদীর বুক থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে দীর্ঘদিন যাবত। উপজেলা প্রশাসন বারবার অভিযান অব্যাহত রাখলেও বালু উত্তোলনের মহোৎসব থামাছে না। এই অবস্থার কারণে একদিকে জেলা প্রশাসন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে তীরবর্তী জনপদের মানুষ। বিষয়টি নজরে আসার পর সর্বশেষ গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন ঘন্টা ধরে মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী অংশের অবৈধ বালু পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। ওইসময় নদীতে ভাসমান বেইজের উপর স্থাপিত ৪টি সেলোমেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পাশপাশি অভিযানস্থল থেকে ১হাজার মিটার পাইপ ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে আদালত। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্ত দিগরপানখালী এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সোমবার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টিম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালত বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত চারটি সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেন। এসময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত মেশিনগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে নদীতে সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদফা অভিযানও চালানো হয়। তিনি বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্টে বসানো ৪টি মেশিন, ১হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মেশিন গুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এবং উত্তোলনকৃত প্রায় ৩০হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৮ বৈশাখ ১৪২৮ ৮ রমজান ১৪৪২

মাতামুহুরী নদীর বালু অবৈধ উত্তোলনে হুমকিতে জনপদ

অভিযানে ৪টি শ্যালোমেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া (কক্সবাজার)

image

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রমত্তা মাতামুহুরী নদীর বুক থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে দীর্ঘদিন যাবত। উপজেলা প্রশাসন বারবার অভিযান অব্যাহত রাখলেও বালু উত্তোলনের মহোৎসব থামাছে না। এই অবস্থার কারণে একদিকে জেলা প্রশাসন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে তীরবর্তী জনপদের মানুষ। বিষয়টি নজরে আসার পর সর্বশেষ গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন ঘন্টা ধরে মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী অংশের অবৈধ বালু পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। ওইসময় নদীতে ভাসমান বেইজের উপর স্থাপিত ৪টি সেলোমেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পাশপাশি অভিযানস্থল থেকে ১হাজার মিটার পাইপ ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে আদালত। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্ত দিগরপানখালী এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সোমবার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টিম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালত বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত চারটি সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেন। এসময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত মেশিনগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে নদীতে সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদফা অভিযানও চালানো হয়। তিনি বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্টে বসানো ৪টি মেশিন, ১হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মেশিন গুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এবং উত্তোলনকৃত প্রায় ৩০হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।