ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হেফাজতের ২৩ মামলার দায়িত্ব পেয়ে বললেন সিআইডি প্রধান

হেফাজতে ইসলামের নাশকতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা, সহযোগিতাকারী এবং সরাসরি যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।

হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে ঢাকার বাইরের পাঁচ জেলায় দায়ের করা ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘এসব ঘটনায় জড়িতরা যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিআইডি পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে যেসব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে তা ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা করছে। এসব ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আসামি গ্রেপ্তারসহ প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তবে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নাশকতার ঘটনার কোন মামলা তদন্ত করবে না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ২০১৬ সালের পাঁচটি এবং সম্প্রতি নাশকতার ঘটনায় ১৮টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি নিয়েছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।

এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই, মুন্সীগঞ্জে দুটি রয়েছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এসব মামলা প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে।’ মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের বা কোন জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা আইনানুযায়ী কাজ করি। তদন্তে যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাক, আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ আইনের চোখে সবাই সমান আর ‘কারও পরিচয় দেখে আমরা কাজ করি না।’

এসব মামলায় যে অভিযোগ আছে ওইসব ঘটনায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে আমরা রিমান্ডে আনবো। ’ কোন মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোন মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, মামুনুল হককে তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় শীঘ্রই গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবেন।

হেফাজাতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ হেফাজতের অন্য ঊর্ধ্বতন নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাবুনগরীসহ অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে বলছি না। তবে যদি কারও ইনভলমেন্ট পাই তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের চোখে সবাই সমান।’

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৮ বৈশাখ ১৪২৮ ৮ রমজান ১৪৪২

ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হেফাজতের ২৩ মামলার দায়িত্ব পেয়ে বললেন সিআইডি প্রধান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হেফাজতে ইসলামের নাশকতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা, সহযোগিতাকারী এবং সরাসরি যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।

হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে ঢাকার বাইরের পাঁচ জেলায় দায়ের করা ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘এসব ঘটনায় জড়িতরা যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিআইডি পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে যেসব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে তা ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা করছে। এসব ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আসামি গ্রেপ্তারসহ প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তবে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নাশকতার ঘটনার কোন মামলা তদন্ত করবে না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ২০১৬ সালের পাঁচটি এবং সম্প্রতি নাশকতার ঘটনায় ১৮টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি নিয়েছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।

এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই, মুন্সীগঞ্জে দুটি রয়েছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এসব মামলা প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে।’ মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের বা কোন জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা আইনানুযায়ী কাজ করি। তদন্তে যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাক, আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ আইনের চোখে সবাই সমান আর ‘কারও পরিচয় দেখে আমরা কাজ করি না।’

এসব মামলায় যে অভিযোগ আছে ওইসব ঘটনায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে আমরা রিমান্ডে আনবো। ’ কোন মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোন মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, মামুনুল হককে তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় শীঘ্রই গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবেন।

হেফাজাতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ হেফাজতের অন্য ঊর্ধ্বতন নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাবুনগরীসহ অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে বলছি না। তবে যদি কারও ইনভলমেন্ট পাই তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের চোখে সবাই সমান।’