সরকার উৎখাতেই মাদ্রাসাছাত্রদের মামুনুলের উস্কানি বলছে পুলিশ

হেফাজতের মামুনুল হক ‘সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল’ করার উদ্দেশ্যে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ‘উস্কানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন’ বলে বলছে পুলিশ।

রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল নিজেই এমন ‘তথ্য দিয়েছেন’ বলে গতকাল নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ।

ডিসি হারুনের দাবি রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘হেফাজতের নেতাকর্মীদের উস্কানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গত রোববার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক ব্যক্তির ২০২০ সালের মার্চ মাসে দায়ের করা মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ চুরি এবং মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সোমবার আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বর্তমানে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গত বছরের ৭ মার্চের ঐ মারধরের ঘটনার ভিডিও দেখানো হলে মামুনুল দুঃখ প্রকাশ করেছেন জানান ডিসি হারুন। এছাড়া তবলিগের সাদপন্থিদের মারধরের কথাও তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানান হারুন। মামুনুল জুবায়েরপন্থি। ‘জোশের কারণে’ ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় শাহরিয়ার কবির, রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেনÑ জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন।

ডিসি হারুন বলেন, ‘মামুনুল বিভিন্ন সময় ইউটিউব বা ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধেী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, এটি রাজনৈতিক বক্তব্য। যা অনেক রাজনীতিবিদ দিয়ে থাকেন। আমি তেমনটিই করেছি। ২৫, ২৬ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ভাঙচুর-জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।’

চলতি মাসের শুরুতে সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকা-ের পর হেফাজতের ভাঙচুর ও সহিংসতা এবং একাধিক বিয়ে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল। তিনি দলটির ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদকও।

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৮ বৈশাখ ১৪২৮ ৮ রমজান ১৪৪২

সরকার উৎখাতেই মাদ্রাসাছাত্রদের মামুনুলের উস্কানি বলছে পুলিশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হেফাজতের মামুনুল হক ‘সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল’ করার উদ্দেশ্যে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ‘উস্কানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন’ বলে বলছে পুলিশ।

রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল নিজেই এমন ‘তথ্য দিয়েছেন’ বলে গতকাল নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ।

ডিসি হারুনের দাবি রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘হেফাজতের নেতাকর্মীদের উস্কানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গত রোববার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক ব্যক্তির ২০২০ সালের মার্চ মাসে দায়ের করা মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ চুরি এবং মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সোমবার আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বর্তমানে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গত বছরের ৭ মার্চের ঐ মারধরের ঘটনার ভিডিও দেখানো হলে মামুনুল দুঃখ প্রকাশ করেছেন জানান ডিসি হারুন। এছাড়া তবলিগের সাদপন্থিদের মারধরের কথাও তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানান হারুন। মামুনুল জুবায়েরপন্থি। ‘জোশের কারণে’ ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় শাহরিয়ার কবির, রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেনÑ জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন।

ডিসি হারুন বলেন, ‘মামুনুল বিভিন্ন সময় ইউটিউব বা ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধেী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, এটি রাজনৈতিক বক্তব্য। যা অনেক রাজনীতিবিদ দিয়ে থাকেন। আমি তেমনটিই করেছি। ২৫, ২৬ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ভাঙচুর-জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।’

চলতি মাসের শুরুতে সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকা-ের পর হেফাজতের ভাঙচুর ও সহিংসতা এবং একাধিক বিয়ে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল। তিনি দলটির ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদকও।