রোগী বাড়ছে ডিএনসিসি হাসপাতালে

অন্য হাসপাতাল থেকে রোগী না আসার পরামর্শ 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল পরিস্থিতিতে চালু হওয়া মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। ১ হাজার শয্যার এই হাসপাতালে সোমবার থেকে কোভিড-১৯ রোগীর সেবা দেয়া শুরু হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২৫০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি হয়ে গেছে বলে আমার ধারণা। অনেক রোগী আসছে। সোমবার রাতে হাসপাতালটির আইসিইউতে ২৮ জন রোগী ছিলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ জনে।

ব্রিগেডিয়ার ডা. নাসির বলেন, গতকাল আমাদের এখানে ১৯৯ জন রোগীর রিপোর্ট পড়েছিল। আমরা কিছু ভর্তি করে বাকিদের পরামর্শ ও সেবা দিয়েছি। এর মধ্যে আইসিইউতে ট্রিটমেন্ট নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। হাসপাতালটিতে ২১২টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত থাকলেও জনবল সংকটের কারণে সেগুলো পুরোপুরি চালানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। লোকবল পেলে আমরা সব আইসিইউ চালু করতে পারব। সবার তো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে না কিন্তু বিষয় হচ্ছে আমাদের এক্সপার্ট ম্যানপাওয়ার লাগবে। আমরা আস্তে আস্তে বাড়াচ্ছি।

লোকবল সংকট কাটিয়ে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে হাসপাতালটি ১০০০ রোগীর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলেছি। লোকবল পেলেই ধীরে ধীরে আরও বাড়াতে থাকব। প্রতিদিনই সেবা বাড়াতে থাকব। এখন কাউকে ফেরত পাঠানো না হলেও অন্যান্য হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন, তাদের এই হাসপাতালে না আসার পরামর্শ দেন ব্রিগেডিয়ার নাসির। তাদের আমরা নিচ্ছি না। তারা যেখানে আছেন, তাদের আমরা সেখানে থাকতেই বলছি। যারা কোথাও পাচ্ছেন না, তাদের আগে নিই, তারপর আমরা তাদের নেয়ার চেষ্টা করব। কারওয়ানবাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে সাত দশমিক ১৭ একর জমির ওপর গড়া বিপণিবিতানকেই কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে ডিএনসিসি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার।

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৮ বৈশাখ ১৪২৮ ৮ রমজান ১৪৪২

রোগী বাড়ছে ডিএনসিসি হাসপাতালে

অন্য হাসপাতাল থেকে রোগী না আসার পরামর্শ 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে করোনা রোগী  -সংবাদ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল পরিস্থিতিতে চালু হওয়া মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। ১ হাজার শয্যার এই হাসপাতালে সোমবার থেকে কোভিড-১৯ রোগীর সেবা দেয়া শুরু হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২৫০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি হয়ে গেছে বলে আমার ধারণা। অনেক রোগী আসছে। সোমবার রাতে হাসপাতালটির আইসিইউতে ২৮ জন রোগী ছিলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ জনে।

ব্রিগেডিয়ার ডা. নাসির বলেন, গতকাল আমাদের এখানে ১৯৯ জন রোগীর রিপোর্ট পড়েছিল। আমরা কিছু ভর্তি করে বাকিদের পরামর্শ ও সেবা দিয়েছি। এর মধ্যে আইসিইউতে ট্রিটমেন্ট নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। হাসপাতালটিতে ২১২টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত থাকলেও জনবল সংকটের কারণে সেগুলো পুরোপুরি চালানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। লোকবল পেলে আমরা সব আইসিইউ চালু করতে পারব। সবার তো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে না কিন্তু বিষয় হচ্ছে আমাদের এক্সপার্ট ম্যানপাওয়ার লাগবে। আমরা আস্তে আস্তে বাড়াচ্ছি।

লোকবল সংকট কাটিয়ে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে হাসপাতালটি ১০০০ রোগীর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলেছি। লোকবল পেলেই ধীরে ধীরে আরও বাড়াতে থাকব। প্রতিদিনই সেবা বাড়াতে থাকব। এখন কাউকে ফেরত পাঠানো না হলেও অন্যান্য হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন, তাদের এই হাসপাতালে না আসার পরামর্শ দেন ব্রিগেডিয়ার নাসির। তাদের আমরা নিচ্ছি না। তারা যেখানে আছেন, তাদের আমরা সেখানে থাকতেই বলছি। যারা কোথাও পাচ্ছেন না, তাদের আগে নিই, তারপর আমরা তাদের নেয়ার চেষ্টা করব। কারওয়ানবাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে সাত দশমিক ১৭ একর জমির ওপর গড়া বিপণিবিতানকেই কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে ডিএনসিসি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার।