এক মাসের বেশি এলো ১৫ দিনেই
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছর এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসেবে চলতি বছর মাত্র ১৫ দিনেই গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল শেষে রেমিট্যান্স আহরণ দাঁড়াবে ২৩০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অর্থবছর হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ছিল সেটি। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার যা ওই সময় রেকর্ড ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ) প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এরপর আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে, পরিমাণ ১৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। এরপর গত অক্টোবরে ২১১ কোটি ২০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার ও ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৩১ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
বিদায়ী ২০২০ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২
এক মাসের বেশি এলো ১৫ দিনেই
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছর এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসেবে চলতি বছর মাত্র ১৫ দিনেই গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল শেষে রেমিট্যান্স আহরণ দাঁড়াবে ২৩০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অর্থবছর হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ছিল সেটি। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার যা ওই সময় রেকর্ড ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ) প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এরপর আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে, পরিমাণ ১৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। এরপর গত অক্টোবরে ২১১ কোটি ২০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার ও ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৩১ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
বিদায়ী ২০২০ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।