করোনার নতুন ধরন ও এর মিউটেশনের (রূপান্তর) কারণে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে দাবি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ রোবেদা আমিন বলেছেন, এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।
তিনি গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান।
দেশে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘তবে মৃত্যুটা বাড়ছে, যার কারণ বেপরোয়া চলাচল। দেশে এখন কঠোর লকডাউন চলছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহ পরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে যাবে।’
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল নতুন করে যোগ হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই শুধু এই হাসপাতালে যাবেন। তবে যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে কোথাও চিকিৎসাধীন, তাদের এই হাসপাতালে এসে ভিড় না জমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র মনে করেন, করোনা রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর এজন্য সারাদেশে ২০/২৫ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার ছড়িয়ে দেয়া আছে। করোনায় ষাটোর্ধ্বরাই বেশি মৃত্যুবরণ করছে এবং তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের রোগীরাই বেশি।
তবে করোনার নতুন যে ধরন দেশে এসেছে, তাতে তরুণরাও ব্যাপক হারে আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে ডা. রোবেদা আমিন বলেন, সুতরাং জটিল রোগে আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয়, এটা দেখার কোন সুযোগ নেই। সবাইকেই সচেতন হতে হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধ চলাচলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমীন বলেন, ‘পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী গত একটি বছর ধরে মহামারীর মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা অবগত আছেন, এই করোনা মহামারীর সময় চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা আছেন তারা প্রথম থেকেই ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এই মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য জীবন বাজি রেখে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।’
কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে এখনও ১২শ শয্যা খালি রয়েছে উল্লেখ করে ডা. রোবেদা আমিন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। এ তথ্যটি ভুল। এমআইএসে (ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) যোগাযোগ করলেই কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা, আইসিইউ ও আইসিইউ সমতুল্য শয্যা খালি আছে তা জানা যাবে।
হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, কোভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেড আছে এক হাজার পাঁচটি। ২৪৩টি বেড এখনও ফাঁকা। সব মিলিয়ে বেড সংখ্যা ১২ হাজার ১৩৯টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছে পাঁচ হাজার ৭৫৯টিতে। মোট বেড ফাঁকা আছে ছয় হাজার ৩৮০টি।
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনার নতুন ধরন ও এর মিউটেশনের (রূপান্তর) কারণে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে দাবি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ রোবেদা আমিন বলেছেন, এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।
তিনি গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান।
দেশে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘তবে মৃত্যুটা বাড়ছে, যার কারণ বেপরোয়া চলাচল। দেশে এখন কঠোর লকডাউন চলছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহ পরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে যাবে।’
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল নতুন করে যোগ হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই শুধু এই হাসপাতালে যাবেন। তবে যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে কোথাও চিকিৎসাধীন, তাদের এই হাসপাতালে এসে ভিড় না জমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র মনে করেন, করোনা রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর এজন্য সারাদেশে ২০/২৫ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার ছড়িয়ে দেয়া আছে। করোনায় ষাটোর্ধ্বরাই বেশি মৃত্যুবরণ করছে এবং তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের রোগীরাই বেশি।
তবে করোনার নতুন যে ধরন দেশে এসেছে, তাতে তরুণরাও ব্যাপক হারে আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে ডা. রোবেদা আমিন বলেন, সুতরাং জটিল রোগে আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয়, এটা দেখার কোন সুযোগ নেই। সবাইকেই সচেতন হতে হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধ চলাচলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমীন বলেন, ‘পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী গত একটি বছর ধরে মহামারীর মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা অবগত আছেন, এই করোনা মহামারীর সময় চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা আছেন তারা প্রথম থেকেই ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এই মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য জীবন বাজি রেখে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।’
কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে এখনও ১২শ শয্যা খালি রয়েছে উল্লেখ করে ডা. রোবেদা আমিন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। এ তথ্যটি ভুল। এমআইএসে (ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) যোগাযোগ করলেই কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা, আইসিইউ ও আইসিইউ সমতুল্য শয্যা খালি আছে তা জানা যাবে।
হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, কোভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেড আছে এক হাজার পাঁচটি। ২৪৩টি বেড এখনও ফাঁকা। সব মিলিয়ে বেড সংখ্যা ১২ হাজার ১৩৯টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছে পাঁচ হাজার ৭৫৯টিতে। মোট বেড ফাঁকা আছে ছয় হাজার ৩৮০টি।