সুস্থতা বাড়ছে, কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা

করোনা শনাক্তের হার নিচে নামছে। টানা চারদিন নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে। গতকাল দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়াও নিয়মিত সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে। এতে ‘সক্রিয় রোগী’র সংখ্যা কমে আসছে। দেশে গত একদিনে করোনায় ৯৫ জনের মৃত্যু এবং চার হাজার ২৮০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি রোগী।

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজন নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৬৮৩ জনে। আর নতুন শনাক্ত হওয়া চার হাজার ২৮০ জনকে নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।

শনাক্তের হার নিম্নমুখী

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে শনাক্তের হার নিয়মিত কমেছে। আর ১৮ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত এই চারদিন শনাক্তের হার ১৯ থেকে ১৫ শতাংশে নেমেছে।

গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ, ২০ এপ্রিল তা ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ১৯ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এ আগে গত ১৬ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ১৭ এপ্রিল তা ছিল ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৭২ জন। একদিনে শনাক্তের তুলনায় প্রায় তিন হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত একদিনে সুস্থ হওয়া রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ‘সক্রিয় করোনা’ রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। গতকাল পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর (এ্যাক্টিভ কেস) সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ১৯৪ জন। এক সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা ছিল লাখের উপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ২৮ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৩টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত এক দিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৫৯ জন এবং নারী ৩৬ জন। এর মধ্যে ৬০ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং চারজন বাড়িতে মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত দেশে মারা যাওয়া দশ হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৮৮৬ জন এবং নারী দুই হাজার ৭৯৭ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং তিনজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগের আটজন, খুলনা বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের দুইজন এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২

সুস্থতা বাড়ছে, কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা শনাক্তের হার নিচে নামছে। টানা চারদিন নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে। গতকাল দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়াও নিয়মিত সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে। এতে ‘সক্রিয় রোগী’র সংখ্যা কমে আসছে। দেশে গত একদিনে করোনায় ৯৫ জনের মৃত্যু এবং চার হাজার ২৮০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি রোগী।

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজন নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৬৮৩ জনে। আর নতুন শনাক্ত হওয়া চার হাজার ২৮০ জনকে নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।

শনাক্তের হার নিম্নমুখী

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে শনাক্তের হার নিয়মিত কমেছে। আর ১৮ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত এই চারদিন শনাক্তের হার ১৯ থেকে ১৫ শতাংশে নেমেছে।

গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ, ২০ এপ্রিল তা ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ১৯ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এ আগে গত ১৬ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ১৭ এপ্রিল তা ছিল ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৭২ জন। একদিনে শনাক্তের তুলনায় প্রায় তিন হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত একদিনে সুস্থ হওয়া রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ‘সক্রিয় করোনা’ রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। গতকাল পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর (এ্যাক্টিভ কেস) সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ১৯৪ জন। এক সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা ছিল লাখের উপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ২৮ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৩টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত এক দিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৫৯ জন এবং নারী ৩৬ জন। এর মধ্যে ৬০ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং চারজন বাড়িতে মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত দেশে মারা যাওয়া দশ হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৮৮৬ জন এবং নারী দুই হাজার ৭৯৭ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং তিনজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগের আটজন, খুলনা বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের দুইজন এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।