হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর খুরশিদ আলম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া খেলাফতে মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শারাফত হোসেনকেও বিকেল ৫টার দিকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মুফতি শারাফত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে সাদা পোশাকে থাকা কিছু ব্যক্তি তাকে আটক করে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম জানান, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক নাশকতা ও ২০১৩ সালের নাশকতার মামলায় খুরশিদ আলম কাসেমীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি আরও জানান, গতকাল বিকেল ৫টায় মিরপুরের সেনপাড়া এলাকা থেকে ডিবির গুলশান বিভাগের একটি দল শারাফত হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে। কাশেমী ও শরাফতের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগরী শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনকে মোহাম্মদপুর থেকে সাদা পোশাকে একটি দল আটক করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার ডিবি বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য স্বীকার করেনি। পরে বুধবার র্যাব জানিয়েছে, তারা আতাউল্লাহকে আটক করেছে। র্যাব সদর দপ্তর থেকে গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, পল্টন থানার একটি মামলার আসামি আতাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের নাশকতার বেশকিছু ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা অন্তত ২৩টি মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব মামলায় গত কয়েকদিনে হেফাজতের সিনিয়র নেতা মামুনুল হকসহ অন্তত ১৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর খুরশিদ আলম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া খেলাফতে মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শারাফত হোসেনকেও বিকেল ৫টার দিকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মুফতি শারাফত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে সাদা পোশাকে থাকা কিছু ব্যক্তি তাকে আটক করে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম জানান, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক নাশকতা ও ২০১৩ সালের নাশকতার মামলায় খুরশিদ আলম কাসেমীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি আরও জানান, গতকাল বিকেল ৫টায় মিরপুরের সেনপাড়া এলাকা থেকে ডিবির গুলশান বিভাগের একটি দল শারাফত হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে। কাশেমী ও শরাফতের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগরী শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনকে মোহাম্মদপুর থেকে সাদা পোশাকে একটি দল আটক করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার ডিবি বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য স্বীকার করেনি। পরে বুধবার র্যাব জানিয়েছে, তারা আতাউল্লাহকে আটক করেছে। র্যাব সদর দপ্তর থেকে গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, পল্টন থানার একটি মামলার আসামি আতাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের নাশকতার বেশকিছু ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা অন্তত ২৩টি মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব মামলায় গত কয়েকদিনে হেফাজতের সিনিয়র নেতা মামুনুল হকসহ অন্তত ১৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।