মালিকদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই খুলে যাবে দোকানপাট

আগামী সোমবার থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। দোকানপাট খোলার বিষয়ে গতকাল তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা দোকান খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি, আগামী সোমবার থেকে দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি ফেলবেন না। এর আগেও আমাদের কোন দাবি তিনি ফেলেননি।’

করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপরও করোনা সংক্রমণ নি¤œমুখী না হওয়ায় ফের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২২ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত পরবর্তী লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

হেলাল উদ্দিন আরও জানান, দোকানপাট খুলের দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার আমরা মহামারী মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম কিন্তু করোনার এখনকার ধরন খুব খারাপ। যখন কেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হচ্ছে, তখন সে বুঝতে পারে না। যখন বুঝতে পারে, তখন তাদের অনেককে বাঁচানো যাচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কষ্ট করছে, সেটি আমরা দেখছি। আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন। কারণ জীবনটা আগে বাঁচাতে হবে। আমরা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেব।’

দোকান ও বিপণিবিতান খুলে দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে পহেলা বৈশাখের ব্যবসা হয়নি। তারপর চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকান মালিকদের ধৈর্য ধরতেও বলা হয়েছে।

দোকান মালিক সমিতি আজ থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানায়। গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। তবে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানায়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত একবছর প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন আমরা দোকান মালিকরা স্বেচ্ছায় ২৫ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ করে দেই। সরকার পরদিন ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে চরম ব্যবসায়িক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা নেমে আসে। গত বছরের ৫ মে’র পর আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দেয়ার পর ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা গতি আসে। এরপর আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল বিধিনিষেধ এবং ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।’

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২

মালিকদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই খুলে যাবে দোকানপাট

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আগামী সোমবার থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। দোকানপাট খোলার বিষয়ে গতকাল তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা দোকান খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি, আগামী সোমবার থেকে দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি ফেলবেন না। এর আগেও আমাদের কোন দাবি তিনি ফেলেননি।’

করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপরও করোনা সংক্রমণ নি¤œমুখী না হওয়ায় ফের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২২ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত পরবর্তী লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

হেলাল উদ্দিন আরও জানান, দোকানপাট খুলের দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার আমরা মহামারী মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম কিন্তু করোনার এখনকার ধরন খুব খারাপ। যখন কেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হচ্ছে, তখন সে বুঝতে পারে না। যখন বুঝতে পারে, তখন তাদের অনেককে বাঁচানো যাচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কষ্ট করছে, সেটি আমরা দেখছি। আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন। কারণ জীবনটা আগে বাঁচাতে হবে। আমরা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেব।’

দোকান ও বিপণিবিতান খুলে দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে পহেলা বৈশাখের ব্যবসা হয়নি। তারপর চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকান মালিকদের ধৈর্য ধরতেও বলা হয়েছে।

দোকান মালিক সমিতি আজ থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানায়। গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। তবে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানায়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত একবছর প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন আমরা দোকান মালিকরা স্বেচ্ছায় ২৫ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ করে দেই। সরকার পরদিন ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে চরম ব্যবসায়িক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা নেমে আসে। গত বছরের ৫ মে’র পর আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দেয়ার পর ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা গতি আসে। এরপর আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল বিধিনিষেধ এবং ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।’