চিলিতে নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের দেহাবশেষ শনাক্ত

কঙ্কাল বিশ্লেষণ করে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির এক ধরনের ডাইনোসরের অস্তিত্ব শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। ক্রিটাসিয়াস রিসার্চ জার্নালে প্রকাশ হয় মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে মাটির নিচ থেকে ডাইনোসরটির দেহাবশেষ বের করে আনা হয়। ৬৬০ কোটি বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির উত্তরাঞ্চলে ছিল এ ডাইনোসরের বিচরণ। বিবিসি

বিশ্বের শুষ্কতম মরু অঞ্চল আতাকামায় ডাইনোসরের এ কঙ্কালের প্রথম সন্ধান মেলে। বলা হচ্ছে, এটি প্রকৃতপক্ষে নিরামিষভোজী এক ধরনের টাইটানোসর। ছোট মাথা, লম্বা ঘাড় আর সমান পিঠ ছিল এর। প্রাথমিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, এর বিচরণ মরু অঞ্চলে ছিল না; বরং ফুলের গাছ, ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করত এটি।

চিলির একদল ভূতত্ত্ববিদ এ গবেষণাটি করেছেন। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কার্লোস আরেভালো।

ক্রিটাসিয়াস রিসার্চ জার্নালে গত সোমবার প্রকাশ হয় মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে মাটির নিচ থেকে ডাইনোসরটির দেহাবশেষ বের করে আনা হয়। গবেষণা চলে ২০০০ সালের পরেও।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডাইনোসরের কঙ্কালটির মধ্যে বাহুর ঊর্ধ্বাংশের হাড়, উরুর হাড়, নিম্নাঙ্গের হাড়, মেরুদ-ের হাড় ও পিঠের অংশের হাড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাইনোসরটি লম্বায় প্রায় ২০ ফুট ছিল; বয়সও খুব বেশি ছিল না। লম্বা ঘাড়ের, লম্বা লেজের পাতাখেকো এই ডাইনোসরের নাম দেয়া হয়েছে আরাকার লিকানান্থি। কুঞ্জা নৃগোষ্ঠীর ভাষায় এর অর্থ আতাকামার হাড়। ডাইনোসরটির দেহাবশেষ সর্বসাধারণকে দেখানোর জন্য চিলির মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে রাখা হবে।

চিলিতে সন্ধান পাওয়া এটি তৃতীয় ডাইনোসর। এর আগে ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনায় মেলে অন্যতম বৃহত্তম ডাইনোসরটির সন্ধান। টাইটানোসর জাতের ওই ডাইনোসরটি ৩৭ মিটারের বেশি লম্বা ছিল।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২

চিলিতে নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের দেহাবশেষ শনাক্ত

image

কঙ্কাল বিশ্লেষণ করে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির এক ধরনের ডাইনোসরের অস্তিত্ব শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। ক্রিটাসিয়াস রিসার্চ জার্নালে প্রকাশ হয় মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে মাটির নিচ থেকে ডাইনোসরটির দেহাবশেষ বের করে আনা হয়। ৬৬০ কোটি বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির উত্তরাঞ্চলে ছিল এ ডাইনোসরের বিচরণ। বিবিসি

বিশ্বের শুষ্কতম মরু অঞ্চল আতাকামায় ডাইনোসরের এ কঙ্কালের প্রথম সন্ধান মেলে। বলা হচ্ছে, এটি প্রকৃতপক্ষে নিরামিষভোজী এক ধরনের টাইটানোসর। ছোট মাথা, লম্বা ঘাড় আর সমান পিঠ ছিল এর। প্রাথমিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, এর বিচরণ মরু অঞ্চলে ছিল না; বরং ফুলের গাছ, ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করত এটি।

চিলির একদল ভূতত্ত্ববিদ এ গবেষণাটি করেছেন। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কার্লোস আরেভালো।

ক্রিটাসিয়াস রিসার্চ জার্নালে গত সোমবার প্রকাশ হয় মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে মাটির নিচ থেকে ডাইনোসরটির দেহাবশেষ বের করে আনা হয়। গবেষণা চলে ২০০০ সালের পরেও।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডাইনোসরের কঙ্কালটির মধ্যে বাহুর ঊর্ধ্বাংশের হাড়, উরুর হাড়, নিম্নাঙ্গের হাড়, মেরুদ-ের হাড় ও পিঠের অংশের হাড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাইনোসরটি লম্বায় প্রায় ২০ ফুট ছিল; বয়সও খুব বেশি ছিল না। লম্বা ঘাড়ের, লম্বা লেজের পাতাখেকো এই ডাইনোসরের নাম দেয়া হয়েছে আরাকার লিকানান্থি। কুঞ্জা নৃগোষ্ঠীর ভাষায় এর অর্থ আতাকামার হাড়। ডাইনোসরটির দেহাবশেষ সর্বসাধারণকে দেখানোর জন্য চিলির মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে রাখা হবে।

চিলিতে সন্ধান পাওয়া এটি তৃতীয় ডাইনোসর। এর আগে ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনায় মেলে অন্যতম বৃহত্তম ডাইনোসরটির সন্ধান। টাইটানোসর জাতের ওই ডাইনোসরটি ৩৭ মিটারের বেশি লম্বা ছিল।