রাত পোহালেই ৬ষ্ঠ দফা ভোট

করোনার তীব্র সংক্রমণের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ৬ষ্ঠ দফা নির্বাচন আজ। চারটি জেলার ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে অশান্তির আবহেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম থেকে পঞ্চম দফার ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জারি করা সূচি অনুযায়ী বাকি রয়েছে আরও তিন দফার নির্বাচন। সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন যথাক্রমে ২৬ ও ২৯ এপ্রিল।

ষ?ষ্ঠ দফায় পূর্ব বর্ধমানে ৮টি, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১৭টি, উত্তর দিনাজপুরে ৯টি এবং নদিয়া জেলায় ৯টি বিধান সভার নির্বাচন হচ্ছে। জেলাওয়ারী মোট প্রার্থী রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে ৭২ জন, উত্তর ২৪

পরগনায় ১২৬ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৪৩ জন, নদীয়া জেলায় ৬৫ জন। এই (১৬ পৃষ্ঠার পর)

নিয়ে এই চারটি জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৩০৬ জন প্রার্থী।

মোট বুথের সংখ্যা ১০৮৯৭টি। ষষ্ঠ দফা ভোট নির্বিঘেœ পরিচালনা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। পোলিং স্টেশনে মাইক্রো অবজারভার, সমস্ত বুথে সিসিটিভি’র মাধ্যমে নজরদারি ছাড়াও প্রতি বুথে ভিডিওগ্রাফির ১৫৬৬টি ওয়েব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকছে। করোনা প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে ভোটারদের সামাজিক বিধি ও মাস্ক পরে ভোট দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে শেষ দুই দফার ভোট এক দফায় করার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত মেলে তাহলেই দুই দফার ভোট এক দফায় করানো যাবে। যদিও এই নিয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে কমিশনকে ফের অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতায় আর প্রচার করবেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েকও শেষ দুই দফার ভোট এক দফায় করার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন, পাঁচ দফার ভোটের আগে পরে একাধিক ভোটকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমন কী অবজারভাররাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা। হোম আইসোলেশনে থেকে তিনি কাজ করছেন। দুই পর্যবেক্ষকের এই রিপোর্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ হয়েছে। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। একদিনে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। একাধিক মন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাহুল গান্ধী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যাদবপুরের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে দু’জন প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের একজন ও সংযুক্ত মোর্চার একজন প্রার্থী।

আরও খবর
পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন : পাল্টাচ্ছে প্রচারণার কৌশল তবে প্রাধান্য বিভেদের
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
দুর্যোগ-সংকটে ‘লিপ সার্ভিস’ নয় বিএনপিকে কাদের
জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৩১০ সর্বনিম্ন ৭০ টাকা
চলে গেলেন নববিনির্মাণের স্রষ্টা কবি শঙ্খ ঘোষ
শাকিল-সাইফুলদের দিন আর ফেরে না
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে গণপরিবহন চালু করতে চান শ্রমিক নেতারা
লকডাউনে সুযোগ নিচ্ছে ভূমিদস্যু খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ
হেফাজত নেতা সাখাওয়াত ও মঞ্জুরুল ২১ দিনের রিমান্ডে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রত্যাশিত কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি স্কপের
ধর্ম, জাত, পরিচয়ই কি নিয়ামক?

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৯ বৈশাখ ১৪২৮ ৯ রমজান ১৪৪২

রাত পোহালেই ৬ষ্ঠ দফা ভোট

প্রতিনিধি, কলকাতা

করোনার তীব্র সংক্রমণের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ৬ষ্ঠ দফা নির্বাচন আজ। চারটি জেলার ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে অশান্তির আবহেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম থেকে পঞ্চম দফার ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জারি করা সূচি অনুযায়ী বাকি রয়েছে আরও তিন দফার নির্বাচন। সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন যথাক্রমে ২৬ ও ২৯ এপ্রিল।

ষ?ষ্ঠ দফায় পূর্ব বর্ধমানে ৮টি, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১৭টি, উত্তর দিনাজপুরে ৯টি এবং নদিয়া জেলায় ৯টি বিধান সভার নির্বাচন হচ্ছে। জেলাওয়ারী মোট প্রার্থী রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে ৭২ জন, উত্তর ২৪

পরগনায় ১২৬ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৪৩ জন, নদীয়া জেলায় ৬৫ জন। এই (১৬ পৃষ্ঠার পর)

নিয়ে এই চারটি জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৩০৬ জন প্রার্থী।

মোট বুথের সংখ্যা ১০৮৯৭টি। ষষ্ঠ দফা ভোট নির্বিঘেœ পরিচালনা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। পোলিং স্টেশনে মাইক্রো অবজারভার, সমস্ত বুথে সিসিটিভি’র মাধ্যমে নজরদারি ছাড়াও প্রতি বুথে ভিডিওগ্রাফির ১৫৬৬টি ওয়েব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকছে। করোনা প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে ভোটারদের সামাজিক বিধি ও মাস্ক পরে ভোট দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে শেষ দুই দফার ভোট এক দফায় করার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত মেলে তাহলেই দুই দফার ভোট এক দফায় করানো যাবে। যদিও এই নিয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে কমিশনকে ফের অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতায় আর প্রচার করবেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েকও শেষ দুই দফার ভোট এক দফায় করার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন, পাঁচ দফার ভোটের আগে পরে একাধিক ভোটকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমন কী অবজারভাররাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা। হোম আইসোলেশনে থেকে তিনি কাজ করছেন। দুই পর্যবেক্ষকের এই রিপোর্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ হয়েছে। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। একদিনে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। একাধিক মন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাহুল গান্ধী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যাদবপুরের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে দু’জন প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের একজন ও সংযুক্ত মোর্চার একজন প্রার্থী।