টানা ৮ কার্যদিবস উত্থান শেয়ারবাজারে

ডিএসইতে ফের শুরু প্রি-ওপেনিং

করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর পর থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গতকালও উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকালকের উত্থান নিয়ে টানা আট কার্যদিবস উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন। এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও শুরু হয়েছে প্রি-ওপেনিং। এর ফলে লেনদেন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বিনিয়োগকারীরা ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ বসাতে পারবেন। এত দিন এটি বন্ধ ছিল।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৫.০৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৯০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩৭.৩৯ পয়েন্টে এবং ২০৮৭.৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪০.৪০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৩৫টির বা ৩৮.১৩ শতাংশের এবং বাকি ৭৬টির বা ২১.৪৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৩.৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪০.৪০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইউনাইটেড ইনসিওরেন্সের। গত বুধবার ইউনাইটেড ইনসিওরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৭.৪০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.১০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ইউনাইটেড ইনসিওরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৫ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৯.৩৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকের ৭.৫৬ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭.১৬ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৭.১৪ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫৭ শতাংশ, তাকাফুর ইন্স্যুরেন্সের ৫.৯২ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৫.৫৫ শতাংশ এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫.২২ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৫টির বা ৩৮.১৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত বুধবার প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১১.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১০৫.২০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকা বা ৫.৩১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমআই সিমেন্টের ৩.৬৬ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ৩.৪৮ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৩.৩৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৩.২৬ শতাংশ, জেনেক্সের ৩.২২ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের ৩.০৪ শতাংশ, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২.৯৪ শতাংশ, সোনালী আঁশের ২.৭৪ শতাংশ এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ২.৭০ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে আবার প্রি-ওপেনিং

শুরু হয়েছে

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও শুরু হয়েছে প্রি-ওপেনিং। এর ফলে লেনদেন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বিনিয়োগকারীরা ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ বসাতে পারবেন। এত দিন এটি বন্ধ ছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএসই। গতকাল থেকে এটি শুরু হয়েছে।

ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ারবাজারে মূল লেনদেন হবে ১০ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বা আড়াই ঘণ্টা। এই লেনদেন শুরুর আগে ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রি-ওপেনিং সেশন। এই সময়ে লেনদেন হবে না। তবে বিনিয়োগকারীরা কি দামে শেয়ার কিনবেন বা বিক্রি করবেন তার আদেশ বসাতে পারবেন। অপরদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিয়মিত লেনদেন শেষ হওয়ার পর ১৫ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং সেশন থাকবে। এই ১৫ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা কোনো নতুন দাম প্রস্তাব করতে পারবেন না। তবে কেই চাইলে ক্লোজিং প্রাইজে ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারবেন।

আগে থেকেই শেয়ারবাজারে এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলমান বিধিনিষেধ আরোপ করলে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় কমে আসে। সে সময় বিএসইসি প্রি-ওপেনিং বন্ধ করে দেয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিলে ব্যাংক লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময় প্রি-ওপেনিং বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ব্যাংকের লেনদেন আধাঘণ্টা বাড়ানো হলে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় আধাঘণ্টা বাড়িয়ে সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করা হয়। তখনও প্রি-ওপেনিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এরপর ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরবর্তী এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রথমে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর শেয়ারবাজারের লেনদেন ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রীপরিষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

টানা ৮ কার্যদিবস উত্থান শেয়ারবাজারে

ডিএসইতে ফের শুরু প্রি-ওপেনিং

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর পর থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গতকালও উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকালকের উত্থান নিয়ে টানা আট কার্যদিবস উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন। এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও শুরু হয়েছে প্রি-ওপেনিং। এর ফলে লেনদেন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বিনিয়োগকারীরা ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ বসাতে পারবেন। এত দিন এটি বন্ধ ছিল।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৫.০৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৯০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩৭.৩৯ পয়েন্টে এবং ২০৮৭.৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪০.৪০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৩৫টির বা ৩৮.১৩ শতাংশের এবং বাকি ৭৬টির বা ২১.৪৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৩.৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪০.৪০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইউনাইটেড ইনসিওরেন্সের। গত বুধবার ইউনাইটেড ইনসিওরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৭.৪০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.১০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ইউনাইটেড ইনসিওরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৫ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৯.৩৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকের ৭.৫৬ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭.১৬ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৭.১৪ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫৭ শতাংশ, তাকাফুর ইন্স্যুরেন্সের ৫.৯২ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৫.৫৫ শতাংশ এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫.২২ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৫টির বা ৩৮.১৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত বুধবার প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১১.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১০৫.২০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকা বা ৫.৩১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমআই সিমেন্টের ৩.৬৬ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ৩.৪৮ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৩.৩৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৩.২৬ শতাংশ, জেনেক্সের ৩.২২ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের ৩.০৪ শতাংশ, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২.৯৪ শতাংশ, সোনালী আঁশের ২.৭৪ শতাংশ এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ২.৭০ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে আবার প্রি-ওপেনিং

শুরু হয়েছে

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও শুরু হয়েছে প্রি-ওপেনিং। এর ফলে লেনদেন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বিনিয়োগকারীরা ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ বসাতে পারবেন। এত দিন এটি বন্ধ ছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএসই। গতকাল থেকে এটি শুরু হয়েছে।

ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ারবাজারে মূল লেনদেন হবে ১০ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বা আড়াই ঘণ্টা। এই লেনদেন শুরুর আগে ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রি-ওপেনিং সেশন। এই সময়ে লেনদেন হবে না। তবে বিনিয়োগকারীরা কি দামে শেয়ার কিনবেন বা বিক্রি করবেন তার আদেশ বসাতে পারবেন। অপরদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিয়মিত লেনদেন শেষ হওয়ার পর ১৫ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং সেশন থাকবে। এই ১৫ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা কোনো নতুন দাম প্রস্তাব করতে পারবেন না। তবে কেই চাইলে ক্লোজিং প্রাইজে ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারবেন।

আগে থেকেই শেয়ারবাজারে এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলমান বিধিনিষেধ আরোপ করলে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় কমে আসে। সে সময় বিএসইসি প্রি-ওপেনিং বন্ধ করে দেয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিলে ব্যাংক লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময় প্রি-ওপেনিং বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ব্যাংকের লেনদেন আধাঘণ্টা বাড়ানো হলে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় আধাঘণ্টা বাড়িয়ে সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করা হয়। তখনও প্রি-ওপেনিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এরপর ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরবর্তী এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রথমে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর শেয়ারবাজারের লেনদেন ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রীপরিষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।