ব্যাংকারদের পরিবহন ভাতা প্রদানের নির্দেশ

লকডাউনে খোলা থাকছে ব্যাংক। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তায় নেই গণপরিবহন আবার যেগুলো চলছে তাতে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া যার ফলে কর্মস্থলে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়ছে তারা। এ সমস্যার সমাধানের জন্য পরিবহন ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্টে সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বরাবর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ অফিসে আনা-নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংক সব ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোন কারণে যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে অসমর্থ বা ব্যর্থ হলে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃক যৌক্তিক হারে যাতায়াত ভাতা প্রদান করবে। এ সংক্রান্ত ব্যয়ের বিষয়ে পরবর্তীতে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কার্যোত্তর অনুমোদন গ্রহণ করবে। এ সার্কুলার লেটারের নির্দেশনা ১৪ এপ্রিল হতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে প্রযোজ্য থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

ব্যাংকারদের পরিবহন ভাতা প্রদানের নির্দেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

লকডাউনে খোলা থাকছে ব্যাংক। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তায় নেই গণপরিবহন আবার যেগুলো চলছে তাতে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া যার ফলে কর্মস্থলে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়ছে তারা। এ সমস্যার সমাধানের জন্য পরিবহন ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্টে সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বরাবর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ অফিসে আনা-নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংক সব ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোন কারণে যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে অসমর্থ বা ব্যর্থ হলে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃক যৌক্তিক হারে যাতায়াত ভাতা প্রদান করবে। এ সংক্রান্ত ব্যয়ের বিষয়ে পরবর্তীতে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কার্যোত্তর অনুমোদন গ্রহণ করবে। এ সার্কুলার লেটারের নির্দেশনা ১৪ এপ্রিল হতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে প্রযোজ্য থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।