মুভমেন্ট পাস নিয়ে কারে মাদক ব্যবসা একজন আটক

পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে মাদক ব্যবসা করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ মাদক চোরাকারবারি চক্র পরস্পর যোগসাজশে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে ঢাকায় মাদক আনছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে মাদক ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। মাস্কের বক্সের ভেতরে হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, অভিযুক্ত আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকী মাস্ক ও স্যানিটাইজার পরিবহনের জন্য মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। র‌্যাব-২ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, মাদক কারবারির কতিপয় সদস্য মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ খবর পেয়ে গত বুধবার গভীররাতে রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকীকে (৪২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, করোনা মহামারীর মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার সাপ্লাইয়ের মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। তার অন্তরালে সে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদক বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছে বিক্রি করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক ক্রয় করে সুকৌশলে ঢাকায় নিয়ে এসে সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিল।

র‌্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন মুঠোফোনে জানান, অভিযুক্ত মাদক কারবারি সৌমিক আহমেদ সিদ্দিকী রাজশাহী থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ঢাকায় নিয়ে আসবে বলে সে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। এরপরই সে মাস্কের বক্সের ভেতর হেরোইন নিয়ে ঢাকায় আসে। তখন খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের আরও কেউ এ সুযোগ নিচ্ছে কিনা তা খুঁজে বের করতে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও দেশের বিভিন্ন সড়কপথে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিরা অ্যাম্বুলেন্সে রোগী সাজিয়ে মাদকের চালান ঢাকায় আনছে। পাকা মরিচের ভেতর বিচি ফেলে ভেতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে আনতে গিয়ে ধরা পড়েছে। বিভিন্ন পরিবহনে তারা নানা কৌশলে মাদক এনে ঢাকার মাদক স্পটে বিক্রি করার চেষ্টা করছে কিন্তু তার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক কারবারিকে আটক করেছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার সীমান্ত। রাজশাহী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাদক ঢাকায় আনা হচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এর আগেও একাধিকবার মাদক বেচাকেনার সময় র‌্যাব ও পুলিশ মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করছে। তারপরও থামছে না মাদক চোরাচালানি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

মুভমেন্ট পাস নিয়ে কারে মাদক ব্যবসা একজন আটক

নিজম্ব বার্তা পরিবেশক

পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে মাদক ব্যবসা করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ মাদক চোরাকারবারি চক্র পরস্পর যোগসাজশে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে ঢাকায় মাদক আনছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে মাদক ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। মাস্কের বক্সের ভেতরে হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, অভিযুক্ত আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকী মাস্ক ও স্যানিটাইজার পরিবহনের জন্য মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। র‌্যাব-২ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, মাদক কারবারির কতিপয় সদস্য মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ খবর পেয়ে গত বুধবার গভীররাতে রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকীকে (৪২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, করোনা মহামারীর মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার সাপ্লাইয়ের মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। তার অন্তরালে সে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদক বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছে বিক্রি করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক ক্রয় করে সুকৌশলে ঢাকায় নিয়ে এসে সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিল।

র‌্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন মুঠোফোনে জানান, অভিযুক্ত মাদক কারবারি সৌমিক আহমেদ সিদ্দিকী রাজশাহী থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ঢাকায় নিয়ে আসবে বলে সে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে। এরপরই সে মাস্কের বক্সের ভেতর হেরোইন নিয়ে ঢাকায় আসে। তখন খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের আরও কেউ এ সুযোগ নিচ্ছে কিনা তা খুঁজে বের করতে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও দেশের বিভিন্ন সড়কপথে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিরা অ্যাম্বুলেন্সে রোগী সাজিয়ে মাদকের চালান ঢাকায় আনছে। পাকা মরিচের ভেতর বিচি ফেলে ভেতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে আনতে গিয়ে ধরা পড়েছে। বিভিন্ন পরিবহনে তারা নানা কৌশলে মাদক এনে ঢাকার মাদক স্পটে বিক্রি করার চেষ্টা করছে কিন্তু তার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক কারবারিকে আটক করেছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার সীমান্ত। রাজশাহী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাদক ঢাকায় আনা হচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এর আগেও একাধিকবার মাদক বেচাকেনার সময় র‌্যাব ও পুলিশ মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করছে। তারপরও থামছে না মাদক চোরাচালানি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।