ধামাকাশপিং ডটকম ও ডিআরআরএ-এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ধামাকাশপিং ডটকম ও ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনস (ডিআরআরএ)। গত ২১ এপ্রিল ধামাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনলাইন অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মন্ত্রী ধামাকা এবং ডিআরআরএ এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই উদ্যোগে সবাই আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন। প্রতিবন্ধীরা ধামাকার এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অচিরই তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। আমি আশা করছি, আগামীতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানউন্নয়নে ধামাকা ও ডিআরআরএ একসঙ্গে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী। ধামাকার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম রানা। ডিআরআরএ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এবং ডিআরআরএ-এর উপদেষ্টা স্বপ্না রেজা।

ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী বলেন, ডিআরআরএ দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করছে। এখন থেকে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে ডিআরআরএ-এর সহযোগিতায় প্রান্তিক প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা। আমাদের এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তারা খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের আমরা বলছি মাতৃগর্ভা। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা চেয়ারম্যান সনদ অথবা ডাক বিভাগের উদ্যোক্তা প্রত্যয়ন নিয়ে যেকেউ এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন। নিজ নিজ এলাকায় অর্ডার হওয়া পণ্য ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমেও এখানে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

চিশতী বলেন, ইকমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা কোনো আর্থিক সহযোগিতা চাই না। আমরা চাই সরকারের সমর্থন, অন্তত পাঁচ বছর ভ্যাট ট্যাক্স থেকে মুক্ত রেখে আমাদেরকে বিকশিত হতে দিন, তাহলে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরের চেয়েও বেশি উপার্জনশীল খাত হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করতে পারব। আমি মনে করি, ডিআরআরএ-এর মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে থাকলে আমরা দ্রুত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।

ডিআরআরএ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কমিউনিটিভিত্তিক পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে আছে ডিআরআরএ। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজ করছি আমরা। এই করোনা মহামারি এবং রমজানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকার অনুদান দিচ্ছে ধামাকা। আগামী দিনে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।

ধামাকার সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা জানান, তারা ডিআরআরএ এর মধ্যমে প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকবেন। ডিআরআরএ এর সহযোগিতায় করোনার এই দুর্যোগে প্রায় ১৫০০ অসহায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাসায় তারা ১৫ দিনের খাবার পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেন, সাময়িক এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার পরে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দেবো। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে এই উদ্যোগের পাশে আমরা সরকারকেও পাবো। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

ধামাকাশপিং ডটকম ও ডিআরআরএ-এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

image

দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ধামাকাশপিং ডটকম ও ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনস (ডিআরআরএ)। গত ২১ এপ্রিল ধামাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনলাইন অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মন্ত্রী ধামাকা এবং ডিআরআরএ এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই উদ্যোগে সবাই আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন। প্রতিবন্ধীরা ধামাকার এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অচিরই তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। আমি আশা করছি, আগামীতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানউন্নয়নে ধামাকা ও ডিআরআরএ একসঙ্গে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী। ধামাকার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম রানা। ডিআরআরএ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এবং ডিআরআরএ-এর উপদেষ্টা স্বপ্না রেজা।

ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী বলেন, ডিআরআরএ দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করছে। এখন থেকে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে ডিআরআরএ-এর সহযোগিতায় প্রান্তিক প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা। আমাদের এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তারা খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের আমরা বলছি মাতৃগর্ভা। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা চেয়ারম্যান সনদ অথবা ডাক বিভাগের উদ্যোক্তা প্রত্যয়ন নিয়ে যেকেউ এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন। নিজ নিজ এলাকায় অর্ডার হওয়া পণ্য ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমেও এখানে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

চিশতী বলেন, ইকমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা কোনো আর্থিক সহযোগিতা চাই না। আমরা চাই সরকারের সমর্থন, অন্তত পাঁচ বছর ভ্যাট ট্যাক্স থেকে মুক্ত রেখে আমাদেরকে বিকশিত হতে দিন, তাহলে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরের চেয়েও বেশি উপার্জনশীল খাত হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করতে পারব। আমি মনে করি, ডিআরআরএ-এর মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে থাকলে আমরা দ্রুত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।

ডিআরআরএ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কমিউনিটিভিত্তিক পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে আছে ডিআরআরএ। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজ করছি আমরা। এই করোনা মহামারি এবং রমজানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকার অনুদান দিচ্ছে ধামাকা। আগামী দিনে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।

ধামাকার সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা জানান, তারা ডিআরআরএ এর মধ্যমে প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকবেন। ডিআরআরএ এর সহযোগিতায় করোনার এই দুর্যোগে প্রায় ১৫০০ অসহায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাসায় তারা ১৫ দিনের খাবার পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেন, সাময়িক এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার পরে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দেবো। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে এই উদ্যোগের পাশে আমরা সরকারকেও পাবো। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।