দিয়াবাড়ি ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হলো প্রথম মেট্রোরেল কোচ

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হয়েছে প্রথম মেট্রোরেল কোচ।

গতকাল দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে সিস্টেম্যাটিক ওয়েতে এটা বসানো হয়েছে। এখন সব কিছু চেক করা হচ্ছে। এর আগে ঢাকায় চালানোর জন্য মেট্রোরেলের এক সেট ট্রেনের কোচ সকাল ৮টা থেকে ডিপোতে নেয়া শুরু হয়। ক্রেন দিয়ে কোচ লরিতে তোলার কাজ শুরু হয়। এরপর এটি দিয়াবাড়ির ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হয় ১২টা ০৫ মিনিটে। গতকাল মোট চারটি কোচ ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। জেটিতে অবস্থানরত বাকি দুইটি কোচ নামিয়ে আজ সকালে ডিপোতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত বুধবার বিকেলে দুটি বার্জ দিয়ে এক সেট ট্রেনের মোট ছয়টি কোচ ঢাকায় এসেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প (লাইন-৬) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক বলেন, আজকে আমাদের আনন্দের খবর। দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে প্রথম মেট্রোরেল কোচ ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসিয়েছি। খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজগুলো করছি। গতকাল চারটি রেলকোচ ডিপোতে আসবে বাকি দুটি আজ আসবে। আমাদের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের যেহেতু পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই সেহেতু কাজগুলো সতর্কতার সঙ্গে করছি।

তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে ট্র্যাকে বা রেলপথে কোচগুলো বসানোর পর অনেক কাজ আছে সেগুলো করা হবে। অনেক কিছু পরীক্ষা করতে হবে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ করতে হবে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে দাম চার হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।

মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেয়া করতে সক্ষম হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ বসার থেকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বলে দাবি করছে ডিএমটিসিএল।

আরও খবর
কার্বন নিঃসরণ কমাতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
হাওরে ধানকাটায় শ্রমিক সংকট নেই : কৃষিমন্ত্রী
মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৬১.৪৯ শতাংশ
হাইকমিশনার
ষষ্ঠ দফায়ও সহিংসতায় ভোট
বয়স নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও হয়রানি করা হচ্ছে
এ বছর বোরো উৎপাদন বাড়বে ১০ লাখ মে.টন
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে জেনোম সিকোয়েন্সি চালুর নির্দেশ
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ শ্রমিকের মৃত্যু
‘কয়দিন আর বাইচা থাকতে পারমু’ প্রশ্ন ভ্যানচালক রফিকুলের
ইলিয়াস ইস্যুতে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি
নাশকতার উদ্দেশ্যে পুরনো ভিডিও প্রচারকারীরা শনাক্ত
আহত ৪৫ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

দিয়াবাড়ি ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হলো প্রথম মেট্রোরেল কোচ

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হয়েছে প্রথম মেট্রোরেল কোচ।

গতকাল দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে সিস্টেম্যাটিক ওয়েতে এটা বসানো হয়েছে। এখন সব কিছু চেক করা হচ্ছে। এর আগে ঢাকায় চালানোর জন্য মেট্রোরেলের এক সেট ট্রেনের কোচ সকাল ৮টা থেকে ডিপোতে নেয়া শুরু হয়। ক্রেন দিয়ে কোচ লরিতে তোলার কাজ শুরু হয়। এরপর এটি দিয়াবাড়ির ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হয় ১২টা ০৫ মিনিটে। গতকাল মোট চারটি কোচ ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। জেটিতে অবস্থানরত বাকি দুইটি কোচ নামিয়ে আজ সকালে ডিপোতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত বুধবার বিকেলে দুটি বার্জ দিয়ে এক সেট ট্রেনের মোট ছয়টি কোচ ঢাকায় এসেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প (লাইন-৬) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক বলেন, আজকে আমাদের আনন্দের খবর। দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে প্রথম মেট্রোরেল কোচ ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসিয়েছি। খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজগুলো করছি। গতকাল চারটি রেলকোচ ডিপোতে আসবে বাকি দুটি আজ আসবে। আমাদের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের যেহেতু পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই সেহেতু কাজগুলো সতর্কতার সঙ্গে করছি।

তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে ট্র্যাকে বা রেলপথে কোচগুলো বসানোর পর অনেক কাজ আছে সেগুলো করা হবে। অনেক কিছু পরীক্ষা করতে হবে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ করতে হবে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে দাম চার হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।

মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেয়া করতে সক্ষম হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ বসার থেকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বলে দাবি করছে ডিএমটিসিএল।