হাইকমিশনার

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সংকট রয়েছে। তবে বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য ভারত ‘কাজ করে যাচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেমশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। নিজ দেশে চারদিনের ছুটি কাটিয়ে এদিন আগরতলা-আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন দোরাইস্বামী।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আমরা যত দেশকে করোনার টিকা দিয়েছি তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। ভারতের কাছ থেকে টিকা গ্রহণকারী সর্ববৃহৎ দেশ বাংলাদেশ।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারসহ বিভিন্ন দেশের ও কোম্পানি এবং টিকা প্রস্তুতের আসল ফর্মুলার মালিকদের সঙ্গে টিকার চুক্তিমূলক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে।

বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, এর জন্য ভারত কাজ করে যাচ্ছে। টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যা আছে এর বেশি তো দেয়া সম্ভব না। উৎপাদনের প্রাপ্যতার তুলনায় যত বেশি সম্ভব, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা আমরা দিয়েছি আর আমাদের যা আছে তা বলতে পারব। যা নেই তা বলতে পারব না। ভারতের পত্র-পত্রিকায়ও টিকার ঘাটতি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। ভারতের বড় বড় শহরেও টিকার ঘাটতি রয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ইন্ডিয়ার অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। দুই দেশ মিলে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আমরা এর সমাধানে উভয় দেশ মিলেই সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করছি।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অনেক বিশেষ। বাংলাদেশের সঙ্গে যে আমরা যুক্ত এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতির গুরুত্বের জন্য ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এই সম্পর্ক সব সময় বিশেষ গুরুত্বের। তিনি বলেন, যদিও একটা অস্বাভাবিক সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা এখন যাচ্ছি। আশা করি পবিত্র রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করে ইতিবাচক শক্তি জোগাতে পারব। আমরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর এ আলম ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

আরও খবর
কার্বন নিঃসরণ কমাতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
হাওরে ধানকাটায় শ্রমিক সংকট নেই : কৃষিমন্ত্রী
মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৬১.৪৯ শতাংশ
দিয়াবাড়ি ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হলো প্রথম মেট্রোরেল কোচ
ষষ্ঠ দফায়ও সহিংসতায় ভোট
বয়স নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও হয়রানি করা হচ্ছে
এ বছর বোরো উৎপাদন বাড়বে ১০ লাখ মে.টন
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে জেনোম সিকোয়েন্সি চালুর নির্দেশ
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ শ্রমিকের মৃত্যু
‘কয়দিন আর বাইচা থাকতে পারমু’ প্রশ্ন ভ্যানচালক রফিকুলের
ইলিয়াস ইস্যুতে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি
নাশকতার উদ্দেশ্যে পুরনো ভিডিও প্রচারকারীরা শনাক্ত
আহত ৪৫ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

বাংলাদেশের টিকা কার্যক্রম চলমান রাখতে কাজ করছে ভারত

হাইকমিশনার

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সংকট রয়েছে। তবে বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য ভারত ‘কাজ করে যাচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেমশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। নিজ দেশে চারদিনের ছুটি কাটিয়ে এদিন আগরতলা-আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন দোরাইস্বামী।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আমরা যত দেশকে করোনার টিকা দিয়েছি তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। ভারতের কাছ থেকে টিকা গ্রহণকারী সর্ববৃহৎ দেশ বাংলাদেশ।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারসহ বিভিন্ন দেশের ও কোম্পানি এবং টিকা প্রস্তুতের আসল ফর্মুলার মালিকদের সঙ্গে টিকার চুক্তিমূলক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে।

বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, এর জন্য ভারত কাজ করে যাচ্ছে। টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যা আছে এর বেশি তো দেয়া সম্ভব না। উৎপাদনের প্রাপ্যতার তুলনায় যত বেশি সম্ভব, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা আমরা দিয়েছি আর আমাদের যা আছে তা বলতে পারব। যা নেই তা বলতে পারব না। ভারতের পত্র-পত্রিকায়ও টিকার ঘাটতি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। ভারতের বড় বড় শহরেও টিকার ঘাটতি রয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ইন্ডিয়ার অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। দুই দেশ মিলে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আমরা এর সমাধানে উভয় দেশ মিলেই সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করছি।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অনেক বিশেষ। বাংলাদেশের সঙ্গে যে আমরা যুক্ত এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতির গুরুত্বের জন্য ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এই সম্পর্ক সব সময় বিশেষ গুরুত্বের। তিনি বলেন, যদিও একটা অস্বাভাবিক সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা এখন যাচ্ছি। আশা করি পবিত্র রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করে ইতিবাচক শক্তি জোগাতে পারব। আমরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর এ আলম ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।