ষষ্ঠ দফায়ও সহিংসতায় ভোট

গুলি-বোমাবাজি-হামলা

ষষ্ঠ দফার ভোটেও সেই সহিংসতার চিত্র। ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই বিভিন্নস্থানে এই অশান্তি আর সহিংসতার বলে। গুলি, ব্যাপক বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, ভোটকর্মী ও সাধরণ ভোটারদের মারধর, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা, এজেন্টকে বের করে দেয়া, প্রার্থীর ওপর হামলার মতো ঘটনার সবই ঘটে এদিন, যার মাত্রা ছিল গত কয়েক দফা নির্বাচনের চেয়েও ভয়াবহ।

গতকাল ছিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ৪ জেলার মোট ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, পূর্ব বর্ধমানের ৮, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন এই ৪ জেলার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে।

ষষ্ঠ দফার ভোট আরও নির্বিঘেœ সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, সিসিটিভি ও ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির মতো সব ব্যবস্থা জারি থাকলেও সহিংসতাকে মোটেই বন্ধ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ দফার ভোটযুদ্ধের ময়দানেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে শীতলকুচি কা-। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের প্রতাপপুরের ডাঙ্গাপাড়া হাইস্কুলের ১৫৩ নম্বর বুথের সামনে সেই রকমই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল। সেখানে অতিরিক্ত জমায়েত সরাতে যাওয়া পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে আউশগ্রামের ভালকি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মিদ্যা। অভিযোগ, বচসা চলাকালে অরূপ মিদ্যা পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখানে আপনার শীতলকুচি করতে যাবেন না। মনে রাখবেন তিনদিন পরে আমাদের সরকারই ক্ষমতায় আসবে।’ ভোট চলাকালে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে তৃণমূল নেতার এই ধরনের হুমকি এলাকায় তাৎপর্য বহন করে।

ব্যারাকপুরের সমস্ত ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেখানে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা জারি থাকলেও সেখানে সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখানে বিজেপির প্রার্থী শিলভদ্র দত্তকে হেনস্তা করা হয়। অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তী ভোটকেন্দ্রে গেলে তার বিরুদ্ধে গো-ব্যাক সেøাগান দেয় বিজেপি কর্মীরা। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল টিটাগড়ের মিলনগড়ে দফায় দফায় বোমাবাজি করা হয়। বোমাবাজিতে আহত হয় একটি শিশুসহ তিন বিজেপি সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির। তারা এ সময় বিজেপির ক্যাম্প অফিসও ভাঙচুর করে। পুলিশের সাহায্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই হামলা চালায় বলে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বীজপুর বিধানসভার হালিশহর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট করতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। ভোট দিয়ে ফেরার পথে তৃণমূল সমর্থকদের হাতে আহত হন বিজেপি কর্মী ও তার মা। রক্তাক্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বীজপুর থানার পুলিশ ও আধা সেনাবাহিনী। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ। শিবদাসপুর গ্রামীণ এলাকায় ৪২ নম্বর বুথে বিজেপির গফুর নামে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, তার স্ত্রী নাসিমা বিবি বিজেপির এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাকে মেরে আহত করা হয়। অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলকোটের বারোগ্রামের ৯ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা।

গ্রামের শিবদাশ স্কুলের বুথে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজেপির এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি কর্মী আক্রান্ত, বিজেপির প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

টিটাগড়ে বিজেপি ক্যাম্প ভাঙচুর চালানো হয়। বোমা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূল আশ্রিত গু-ারা। মারধরে এখানে ৪ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। হাবরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জগদ্দলের ক্ষুদিরাম কলাবাগান এলাকায় বিজেপি পুলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেয় তৃণমূলের মাস্তানরা।

উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরের ট্যাংরায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। বুথের সামনে বোমাবাজি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের। দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি শাসক দলের। নির্বাচন কমিশন বলেছে অশোক নগরে কোন গুলি চালানো হয়নি।

কেতুগ্রামের রাজুড়ে ১০০ নম্বর বুথে এজেন্ট বসা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলায় এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে। বিজেপি এগিয়ে এলে তারা ব্যাপক বোমাবাজি করে এলাকায়। মঙ্গলকোট বিধানসভার নিগন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৭নং বুথে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত এজেন্টের নাম অনুপ চৌধুরী। বুথ জ্যামের অভিযোগে নদিয়ার চাপড়া পটিয়া থেকে ২ জনকে আটক করলো চাপড়া থানার পুলিশ।

অশোকনগর বিধানসভার দীঘারা মালিক বেরিয়ার ৬৯ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত প্রধানকে সেনাবাহিনী দ্বারা হেনস্তার অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি ও আইএসএফের প্ররোচনায় সেনাবাহিনী হেনস্তা করছে। পঞ্চায়েত প্রধান চিন্ময় কুমার ম-লকে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

গলসি বিধানসভার মনোহর সুজাপুর গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। গ্রামের ২১৩, ২১৪ বুথে বিজেপি সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। চঞ্চল দাস বৈরাগ্য নামে এক বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাকে পুরশা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির দাবি তাদের এজেন্টদের আটকাতেই ভোর থেকে বোমাবাজি করছে শাসকদল।

আরও খবর
কার্বন নিঃসরণ কমাতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
হাওরে ধানকাটায় শ্রমিক সংকট নেই : কৃষিমন্ত্রী
মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৬১.৪৯ শতাংশ
দিয়াবাড়ি ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হলো প্রথম মেট্রোরেল কোচ
হাইকমিশনার
বয়স নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও হয়রানি করা হচ্ছে
এ বছর বোরো উৎপাদন বাড়বে ১০ লাখ মে.টন
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে জেনোম সিকোয়েন্সি চালুর নির্দেশ
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ শ্রমিকের মৃত্যু
‘কয়দিন আর বাইচা থাকতে পারমু’ প্রশ্ন ভ্যানচালক রফিকুলের
ইলিয়াস ইস্যুতে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি
নাশকতার উদ্দেশ্যে পুরনো ভিডিও প্রচারকারীরা শনাক্ত
আহত ৪৫ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

ষষ্ঠ দফায়ও সহিংসতায় ভোট

গুলি-বোমাবাজি-হামলা

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

ষষ্ঠ দফার ভোটেও সেই সহিংসতার চিত্র। ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই বিভিন্নস্থানে এই অশান্তি আর সহিংসতার বলে। গুলি, ব্যাপক বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, ভোটকর্মী ও সাধরণ ভোটারদের মারধর, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা, এজেন্টকে বের করে দেয়া, প্রার্থীর ওপর হামলার মতো ঘটনার সবই ঘটে এদিন, যার মাত্রা ছিল গত কয়েক দফা নির্বাচনের চেয়েও ভয়াবহ।

গতকাল ছিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ৪ জেলার মোট ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, পূর্ব বর্ধমানের ৮, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন এই ৪ জেলার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে।

ষষ্ঠ দফার ভোট আরও নির্বিঘেœ সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, সিসিটিভি ও ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির মতো সব ব্যবস্থা জারি থাকলেও সহিংসতাকে মোটেই বন্ধ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ দফার ভোটযুদ্ধের ময়দানেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে শীতলকুচি কা-। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের প্রতাপপুরের ডাঙ্গাপাড়া হাইস্কুলের ১৫৩ নম্বর বুথের সামনে সেই রকমই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল। সেখানে অতিরিক্ত জমায়েত সরাতে যাওয়া পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে আউশগ্রামের ভালকি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মিদ্যা। অভিযোগ, বচসা চলাকালে অরূপ মিদ্যা পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখানে আপনার শীতলকুচি করতে যাবেন না। মনে রাখবেন তিনদিন পরে আমাদের সরকারই ক্ষমতায় আসবে।’ ভোট চলাকালে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে তৃণমূল নেতার এই ধরনের হুমকি এলাকায় তাৎপর্য বহন করে।

ব্যারাকপুরের সমস্ত ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেখানে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা জারি থাকলেও সেখানে সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখানে বিজেপির প্রার্থী শিলভদ্র দত্তকে হেনস্তা করা হয়। অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তী ভোটকেন্দ্রে গেলে তার বিরুদ্ধে গো-ব্যাক সেøাগান দেয় বিজেপি কর্মীরা। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল টিটাগড়ের মিলনগড়ে দফায় দফায় বোমাবাজি করা হয়। বোমাবাজিতে আহত হয় একটি শিশুসহ তিন বিজেপি সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির। তারা এ সময় বিজেপির ক্যাম্প অফিসও ভাঙচুর করে। পুলিশের সাহায্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই হামলা চালায় বলে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বীজপুর বিধানসভার হালিশহর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট করতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। ভোট দিয়ে ফেরার পথে তৃণমূল সমর্থকদের হাতে আহত হন বিজেপি কর্মী ও তার মা। রক্তাক্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বীজপুর থানার পুলিশ ও আধা সেনাবাহিনী। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ। শিবদাসপুর গ্রামীণ এলাকায় ৪২ নম্বর বুথে বিজেপির গফুর নামে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, তার স্ত্রী নাসিমা বিবি বিজেপির এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাকে মেরে আহত করা হয়। অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলকোটের বারোগ্রামের ৯ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা।

গ্রামের শিবদাশ স্কুলের বুথে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজেপির এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি কর্মী আক্রান্ত, বিজেপির প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

টিটাগড়ে বিজেপি ক্যাম্প ভাঙচুর চালানো হয়। বোমা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূল আশ্রিত গু-ারা। মারধরে এখানে ৪ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। হাবরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জগদ্দলের ক্ষুদিরাম কলাবাগান এলাকায় বিজেপি পুলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেয় তৃণমূলের মাস্তানরা।

উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরের ট্যাংরায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। বুথের সামনে বোমাবাজি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের। দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি শাসক দলের। নির্বাচন কমিশন বলেছে অশোক নগরে কোন গুলি চালানো হয়নি।

কেতুগ্রামের রাজুড়ে ১০০ নম্বর বুথে এজেন্ট বসা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলায় এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে। বিজেপি এগিয়ে এলে তারা ব্যাপক বোমাবাজি করে এলাকায়। মঙ্গলকোট বিধানসভার নিগন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৭নং বুথে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত এজেন্টের নাম অনুপ চৌধুরী। বুথ জ্যামের অভিযোগে নদিয়ার চাপড়া পটিয়া থেকে ২ জনকে আটক করলো চাপড়া থানার পুলিশ।

অশোকনগর বিধানসভার দীঘারা মালিক বেরিয়ার ৬৯ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত প্রধানকে সেনাবাহিনী দ্বারা হেনস্তার অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি ও আইএসএফের প্ররোচনায় সেনাবাহিনী হেনস্তা করছে। পঞ্চায়েত প্রধান চিন্ময় কুমার ম-লকে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

গলসি বিধানসভার মনোহর সুজাপুর গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। গ্রামের ২১৩, ২১৪ বুথে বিজেপি সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। চঞ্চল দাস বৈরাগ্য নামে এক বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাকে পুরশা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির দাবি তাদের এজেন্টদের আটকাতেই ভোর থেকে বোমাবাজি করছে শাসকদল।