বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোভিড-১৯ এর সঠিক ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল ভার্সিটির ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
উপাচার্য গতকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সঠিক ভ্যারিয়েন্ট (পরিবর্তনযোগ্য) সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এবং কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ নির্ণয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। যা প্রধানত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ উপাচার্য পরবর্তীতে এই জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে লিকুইড এবং সলিড টিউমার (ক্যান্সার) ডায়াগনোসিস কার্যক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর্থিক ব্যয় সাশ্রয় যেমন হবে, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতাও হ্রাস পাবে। যেহেতু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যক রোগীর জেনোম সিকোয়েন্সিং করার সুযোগ আছে, সেজন্য ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাসমূহ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শধু তাই নয়, ওই জেনোম সিকোয়েন্সিং বিষয়ে চিকিৎসকরা গবেষণালব্ধ জ্ঞান অজর্নের পাশাপাশি এ বিষয়ে দেশ-বিদেশে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশনারও সুযোগ পাবেন।
ওই সভায় এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসমূহ উপস্থাপনা করেন। সভায় ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উলাহ মুন্সী, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিষ্ণু পদ দে তাদের বৈজ্ঞানিক মতামত প্রদান করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবি এম আবদুল হান্নান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোভিড-১৯ এর সঠিক ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল ভার্সিটির ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
উপাচার্য গতকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সঠিক ভ্যারিয়েন্ট (পরিবর্তনযোগ্য) সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এবং কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ নির্ণয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। যা প্রধানত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ উপাচার্য পরবর্তীতে এই জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে লিকুইড এবং সলিড টিউমার (ক্যান্সার) ডায়াগনোসিস কার্যক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর্থিক ব্যয় সাশ্রয় যেমন হবে, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতাও হ্রাস পাবে। যেহেতু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যক রোগীর জেনোম সিকোয়েন্সিং করার সুযোগ আছে, সেজন্য ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাসমূহ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শধু তাই নয়, ওই জেনোম সিকোয়েন্সিং বিষয়ে চিকিৎসকরা গবেষণালব্ধ জ্ঞান অজর্নের পাশাপাশি এ বিষয়ে দেশ-বিদেশে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশনারও সুযোগ পাবেন।
ওই সভায় এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসমূহ উপস্থাপনা করেন। সভায় ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উলাহ মুন্সী, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিষ্ণু পদ দে তাদের বৈজ্ঞানিক মতামত প্রদান করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবি এম আবদুল হান্নান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।