দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ‘নিখোঁজ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার নেপথ্যে দলের নেতারা জড়িত আছেন’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দেয়া এমন বক্তব্যের ব্যাখা চেয়ে দলের পক্ষ থেকে তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিএনপির কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে দলীয়ভাবে ‘অতি-গোপনীয় ও সেনসেটিভ হওয়ার’ কারণে কোন নেতাই এ নিয়ে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৯ বছর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চিঠি দেয়া হয়েছে মির্জা আব্বাসকে। আব্বাস বলেন, ‘আপনি তো জেনেই ফেলেছেন, তাহলে আমার কাছে জানতে চাইছেন কেন। কীজন্য চিঠি দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না, আপনি খুঁজে বের করুন। আমি কোন মন্তব্য করব না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলছেন, ইলিয়াস আলী গুমসহ সারাদেশে বিএনপির অন্তত চার শতাধিক নেতাকর্মী গুমের পেছনে গত ১০ বছর ধরে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিই অভিযোগ করা হয়েছে। অনেকটা হঠাৎ করে ‘নতুন তথ্য’ সামনে আনলেন মির্জা আব্বাস। দলের ‘পলিসি মেকার’ হিসেবে তার বক্তব্য বিগত দিনে দলের অবস্থানকেই প্রথমত অভিযুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বরাবরই গুম-খুনের পেছনে বর্তমান সরকারকেই দায়ী করে আসছে। সেদিক থেকেও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে মির্জা আব্বাসের অবস্থান বিএনপির দলীয় কোন অবস্থান নয়, এই বার্তা দিতেই তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যের যুক্তি, মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পর যদি দলীয়ভাবে অবস্থান স্পষ্ট না করা হয়, তাতে অন্য সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দুই ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। সেদিক বিবেচনায় নিয়েও মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
যদিও গত শনিবার ভার্চুয়াল সভার বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে পরদিন নিজের শাজাহানপুরের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে ব্যাখ্যা করেন মির্জা আব্বাস। সেখানে তিনি বলেন, আমার সহজ-সরল উক্তিগুলোকে বিকৃত করে যারা যেভাবে পেরেছে লিখেছে। মির্জা আবাস বলেন, ‘আমার আংশিক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। এমন কোন কথা বলি নাই, যার জন্য আমাকে বিব্রত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করে নাই। এমন কথা আমি বলি নাই। আমার কথা বিকৃত করে পেঁচিয়ে লেখা হয়েছে।’
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ‘নিখোঁজ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার নেপথ্যে দলের নেতারা জড়িত আছেন’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দেয়া এমন বক্তব্যের ব্যাখা চেয়ে দলের পক্ষ থেকে তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিএনপির কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে দলীয়ভাবে ‘অতি-গোপনীয় ও সেনসেটিভ হওয়ার’ কারণে কোন নেতাই এ নিয়ে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৯ বছর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চিঠি দেয়া হয়েছে মির্জা আব্বাসকে। আব্বাস বলেন, ‘আপনি তো জেনেই ফেলেছেন, তাহলে আমার কাছে জানতে চাইছেন কেন। কীজন্য চিঠি দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না, আপনি খুঁজে বের করুন। আমি কোন মন্তব্য করব না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলছেন, ইলিয়াস আলী গুমসহ সারাদেশে বিএনপির অন্তত চার শতাধিক নেতাকর্মী গুমের পেছনে গত ১০ বছর ধরে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিই অভিযোগ করা হয়েছে। অনেকটা হঠাৎ করে ‘নতুন তথ্য’ সামনে আনলেন মির্জা আব্বাস। দলের ‘পলিসি মেকার’ হিসেবে তার বক্তব্য বিগত দিনে দলের অবস্থানকেই প্রথমত অভিযুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বরাবরই গুম-খুনের পেছনে বর্তমান সরকারকেই দায়ী করে আসছে। সেদিক থেকেও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে মির্জা আব্বাসের অবস্থান বিএনপির দলীয় কোন অবস্থান নয়, এই বার্তা দিতেই তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যের যুক্তি, মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পর যদি দলীয়ভাবে অবস্থান স্পষ্ট না করা হয়, তাতে অন্য সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দুই ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। সেদিক বিবেচনায় নিয়েও মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
যদিও গত শনিবার ভার্চুয়াল সভার বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে পরদিন নিজের শাজাহানপুরের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে ব্যাখ্যা করেন মির্জা আব্বাস। সেখানে তিনি বলেন, আমার সহজ-সরল উক্তিগুলোকে বিকৃত করে যারা যেভাবে পেরেছে লিখেছে। মির্জা আবাস বলেন, ‘আমার আংশিক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। এমন কোন কথা বলি নাই, যার জন্য আমাকে বিব্রত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করে নাই। এমন কথা আমি বলি নাই। আমার কথা বিকৃত করে পেঁচিয়ে লেখা হয়েছে।’