জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : র্যাব
হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে পুরনো ভিডিও লাইভ আকারে যারা ছড়িয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব থেকে বলা হয়েছে, এভাবে পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে গুজব রটানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল র্যাব সদর দপ্তরে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান, পুরনো ভিডিও লাইভ করত সংগঠনটির আইটি টিম। যারা এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করত তাদের র?্যাব শনাক্ত করেছে। তারা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দিয়ে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দিত। এসব কর্মকা-ে জড়িতদের বিরুদ্ধে র?্যাব অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল রয়েছে। আমাদের সাইবার মনিটরিং সেল শনাক্ত করেছে, হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে ওই সংগঠনের আইটি টিম পুরনো ভিডিও লাইভ আকারে ছড়াতো। যারা এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করত র্যাব তাদের শনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব অভিযান পরিচালনা করবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছিল, ঠিক তখন থেকেই একটি কুচক্রী মহল দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। র্যাব এসব ব্যক্তি বা দলকে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখে ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে।
তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বেশিরভাগই নাশকতা করার জন্য অনলাইনে বক্তব্য দিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি নেতৃস্থানীয় নেতা কেউ গ্রেপ্তার হলে তারা পুরনো ভিডিও লাইভ বলে শেয়ার দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত। কতোগুলো পেজ কিংবা ওয়েবসাইট দিয়ে তারা এসব লাইভ করত, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র?্যাব শতাধিক পেজের সন্ধান পেয়েছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে লাইভ করত। আমরা একজন ব্যক্তির নামে একাধিক আইডি পেয়েছি, ওই আইডিগুলো দিয়ে এসব লাইভ শেয়ার দেয়া হতো।
যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র?্যাব কোন দল কিংবা ব্যক্তিকে টার্গেট করে অভিযান পরিচালনা করে না। যারা দেশব্যাপী নাশকতা সৃষ্টি করেছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে এবং যারা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব। তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের বেশিরভাগেরই নিজেদের শক্তি জানান দেয়া এবং রাজনৈতিক পরিচয়টাকে জানান দেয়া ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ঢাল-তলোয়ার হিসেবে বিভিন্ন মাদ্রাসা বা এতিমখানার কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করেছে তারা। মামুনুল হকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুনুল হক যে দলের নেতা, সেই দলের কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি বিভিন্ন মামলার আওতায়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার জন্য মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ও মামুনুল হক একই দলের মতাদর্শের। গ্রেপ্তার অভিযান এবং র?্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২
জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : র্যাব
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে পুরনো ভিডিও লাইভ আকারে যারা ছড়িয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব থেকে বলা হয়েছে, এভাবে পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে গুজব রটানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল র্যাব সদর দপ্তরে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান, পুরনো ভিডিও লাইভ করত সংগঠনটির আইটি টিম। যারা এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করত তাদের র?্যাব শনাক্ত করেছে। তারা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দিয়ে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দিত। এসব কর্মকা-ে জড়িতদের বিরুদ্ধে র?্যাব অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল রয়েছে। আমাদের সাইবার মনিটরিং সেল শনাক্ত করেছে, হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে ওই সংগঠনের আইটি টিম পুরনো ভিডিও লাইভ আকারে ছড়াতো। যারা এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করত র্যাব তাদের শনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব অভিযান পরিচালনা করবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছিল, ঠিক তখন থেকেই একটি কুচক্রী মহল দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। র্যাব এসব ব্যক্তি বা দলকে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখে ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে।
তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বেশিরভাগই নাশকতা করার জন্য অনলাইনে বক্তব্য দিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি নেতৃস্থানীয় নেতা কেউ গ্রেপ্তার হলে তারা পুরনো ভিডিও লাইভ বলে শেয়ার দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত। কতোগুলো পেজ কিংবা ওয়েবসাইট দিয়ে তারা এসব লাইভ করত, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র?্যাব শতাধিক পেজের সন্ধান পেয়েছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে লাইভ করত। আমরা একজন ব্যক্তির নামে একাধিক আইডি পেয়েছি, ওই আইডিগুলো দিয়ে এসব লাইভ শেয়ার দেয়া হতো।
যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র?্যাব কোন দল কিংবা ব্যক্তিকে টার্গেট করে অভিযান পরিচালনা করে না। যারা দেশব্যাপী নাশকতা সৃষ্টি করেছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে এবং যারা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব। তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের বেশিরভাগেরই নিজেদের শক্তি জানান দেয়া এবং রাজনৈতিক পরিচয়টাকে জানান দেয়া ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ঢাল-তলোয়ার হিসেবে বিভিন্ন মাদ্রাসা বা এতিমখানার কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করেছে তারা। মামুনুল হকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুনুল হক যে দলের নেতা, সেই দলের কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি বিভিন্ন মামলার আওতায়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার জন্য মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ও মামুনুল হক একই দলের মতাদর্শের। গ্রেপ্তার অভিযান এবং র?্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।