বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শিল্প বিপর্যয় রানা প্লাজা ধসে আহত হওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার রয়েছেন। আর যেসব শ্রমিক বিভিন্ন কারখানায় চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই আয় কমেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশনএইড- বাংলাদেশ-এর একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল একটি ওয়েবিনারে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চলতি করোনা মহামারীতে এসব শ্রমিকের ৯২ শতাংশই সরকারি কোন সহায়তা পাননি। সামান্য সংখ্যক শ্রমিক স্থানীয় প্রতিনিধি ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে খাদ্য, স্বাস্থ্য উপকরণ সহায়তা পেয়েছে তবে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
গবেষণাটি রানা প্লাজা ধসে বেঁচে যাওয়া ২০০ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়। এই ২০০ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী। গবেষণায় অংশ নেয়াদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও নিজের উদ্যোগে কর্মসংস্থান করেছেন। তবে তাদের আয় খুবই কম। গবেষণায় বলা হয়, তাদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশেরই আয় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৮ জন মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও ২ হাজার ৫০০ জন। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক।
অ্যাকশনএইড-এর ওয়েবিনারে রানা প্লাজা ধস থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য, দক্ষতা বিকাশ, মজুরি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওয়েবিনারে।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন প্রণেতা শিরিন আখতার। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পটিয়াইনেন, জিআইজেড-এর ক্লাস্টার ডিরেক্টর আর্নার ল্যাঞ্জ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শিল্প বিপর্যয় রানা প্লাজা ধসে আহত হওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার রয়েছেন। আর যেসব শ্রমিক বিভিন্ন কারখানায় চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই আয় কমেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশনএইড- বাংলাদেশ-এর একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল একটি ওয়েবিনারে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চলতি করোনা মহামারীতে এসব শ্রমিকের ৯২ শতাংশই সরকারি কোন সহায়তা পাননি। সামান্য সংখ্যক শ্রমিক স্থানীয় প্রতিনিধি ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে খাদ্য, স্বাস্থ্য উপকরণ সহায়তা পেয়েছে তবে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
গবেষণাটি রানা প্লাজা ধসে বেঁচে যাওয়া ২০০ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়। এই ২০০ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী। গবেষণায় অংশ নেয়াদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও নিজের উদ্যোগে কর্মসংস্থান করেছেন। তবে তাদের আয় খুবই কম। গবেষণায় বলা হয়, তাদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশেরই আয় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৮ জন মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও ২ হাজার ৫০০ জন। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক।
অ্যাকশনএইড-এর ওয়েবিনারে রানা প্লাজা ধস থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য, দক্ষতা বিকাশ, মজুরি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওয়েবিনারে।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন প্রণেতা শিরিন আখতার। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পটিয়াইনেন, জিআইজেড-এর ক্লাস্টার ডিরেক্টর আর্নার ল্যাঞ্জ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন।