দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে অভিযান ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের

৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা

রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১০৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিন পবিত্র রমজান ও করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে রাজধানী ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তর।

ঢাকাসহ সারাদেশে ৫০টি মনিটরিং টিম ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১০৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করে। ঢাকা মহানগরীতে ৭টি মনিটরিং টিম ১০টি বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে তদারকি করে। রাজধানীর এ সব বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায় ও সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সঙ্গে বাজার তদারকি করেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী, প্রনব কুমার প্রামানিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকদের নেতৃত্বে জেলা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী বাজার, মিরপুর ৬নং বাজার, রাইনখোলা বাজার, কল্যাণপুর নতুন বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, হাতিরপুল, পলাশী, নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, সুপারশপ ও ফার্মেসিতে তদারকিকালে সবজি, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তদারকিকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এ সময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসিকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিরা অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন। বাজার তদারকিকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট, প্যাম্পলেট বিতরণ এবং করোনাকালে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যসমূহ (ট্রাক সেল) যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।

শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ১১ রমজান ১৪৪২

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে অভিযান ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের

৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১০৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিন পবিত্র রমজান ও করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে রাজধানী ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তর।

ঢাকাসহ সারাদেশে ৫০টি মনিটরিং টিম ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১০৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করে। ঢাকা মহানগরীতে ৭টি মনিটরিং টিম ১০টি বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে তদারকি করে। রাজধানীর এ সব বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায় ও সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সঙ্গে বাজার তদারকি করেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী, প্রনব কুমার প্রামানিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকদের নেতৃত্বে জেলা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী বাজার, মিরপুর ৬নং বাজার, রাইনখোলা বাজার, কল্যাণপুর নতুন বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, হাতিরপুল, পলাশী, নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, সুপারশপ ও ফার্মেসিতে তদারকিকালে সবজি, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তদারকিকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এ সময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসিকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিরা অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন। বাজার তদারকিকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট, প্যাম্পলেট বিতরণ এবং করোনাকালে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যসমূহ (ট্রাক সেল) যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।