মাধবদীতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া : স্যালাইন সঙ্কট

গত এক সাপ্তাহে মাধবদী পৌর এলাকাসহ নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর, শিলমান্দী, মহিষাশুড়া, পাইকারচর এবং পূর্বাঞ্চলীয় চর এলাকায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রচ- গরম আবহাওয়া থাকায় এ রোগের প্রভাব বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মাধবদী,পাঁচদোনা, শেখেরচরসহ আশপাশের বেশ ক’টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিদিনই ডয়িরিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নিতে আসছেন এবং স্যালাইন নেয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের ভিড়। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী অথবা রোগীর আত্মীয়রা আসছেন স্যালাইন, ওষুধ নিচ্ছেন। এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের দেয়া তথ্যমতে রমজান মাসের শুরু থেকে গত ৯ দিনে ৪ শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী তাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এবং প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত রোগী আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, তরুণ বৃদ্ধ ও মহিলাসহ সব বয়সের রোগীই রয়েছে। বাসায় থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক।

অপরদিকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো অধিকাংশতেই খাবার স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের। তারা বলেছেন রাতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও চিকিৎসকদের ফোন করে বাসায় নেয়া যায় না এবং হাসপাতালে নিয়ে এলেও ওয়ার্ড বয় চিকিৎসকের সহকারী আর নার্স ছাড়া কোন চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এতে করে রোগী চিকিসার অভাবে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা বা স্যালাইনের অভাবে মৃত্যু বরণ করে। এ ব্যাপারে চারটি প্রাইভেট ক্লিনিকের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান আমাদের হাসপাতালে আনতে বিলম্ব হলে চিকিৎসা দেয়ার পূর্বেই কেউ হয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অথবা দীর্ঘ সময় পূর্বে আক্রান্ত রোগীর পার্লস পাওয়া না গেলে রোগীর শরীরে স্যালাইন দেয়া সম্ভব না হলে আমাদের আর কিছু করার থাকে না।

বেশকিছু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ রোগী নিয়ে হাসপাতালে এলে বেডে নেয়ার আগেই ডাক্তারের ফি, ওষুধ, নানা ফি পরিশোধ না করলে চিকিৎসা হয় না এবং হাসপালের স্টাফ বয় সবাইকেই আলাদা খরচ না দিলে কেউ রোগীর কাছে আসে না। এসব অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে রোগী ও রোগীর স্বজনদের দাবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জনস্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবাদান করা হাসপাতাল/ক্লিনিকের প্রতি নজরদারি, তদারকি বাড়ানো খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।

শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ১১ রমজান ১৪৪২

মাধবদীতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া : স্যালাইন সঙ্কট

প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)

গত এক সাপ্তাহে মাধবদী পৌর এলাকাসহ নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর, শিলমান্দী, মহিষাশুড়া, পাইকারচর এবং পূর্বাঞ্চলীয় চর এলাকায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রচ- গরম আবহাওয়া থাকায় এ রোগের প্রভাব বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মাধবদী,পাঁচদোনা, শেখেরচরসহ আশপাশের বেশ ক’টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিদিনই ডয়িরিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নিতে আসছেন এবং স্যালাইন নেয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের ভিড়। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী অথবা রোগীর আত্মীয়রা আসছেন স্যালাইন, ওষুধ নিচ্ছেন। এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের দেয়া তথ্যমতে রমজান মাসের শুরু থেকে গত ৯ দিনে ৪ শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী তাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এবং প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত রোগী আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, তরুণ বৃদ্ধ ও মহিলাসহ সব বয়সের রোগীই রয়েছে। বাসায় থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক।

অপরদিকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো অধিকাংশতেই খাবার স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের। তারা বলেছেন রাতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও চিকিৎসকদের ফোন করে বাসায় নেয়া যায় না এবং হাসপাতালে নিয়ে এলেও ওয়ার্ড বয় চিকিৎসকের সহকারী আর নার্স ছাড়া কোন চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এতে করে রোগী চিকিসার অভাবে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা বা স্যালাইনের অভাবে মৃত্যু বরণ করে। এ ব্যাপারে চারটি প্রাইভেট ক্লিনিকের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান আমাদের হাসপাতালে আনতে বিলম্ব হলে চিকিৎসা দেয়ার পূর্বেই কেউ হয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অথবা দীর্ঘ সময় পূর্বে আক্রান্ত রোগীর পার্লস পাওয়া না গেলে রোগীর শরীরে স্যালাইন দেয়া সম্ভব না হলে আমাদের আর কিছু করার থাকে না।

বেশকিছু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ রোগী নিয়ে হাসপাতালে এলে বেডে নেয়ার আগেই ডাক্তারের ফি, ওষুধ, নানা ফি পরিশোধ না করলে চিকিৎসা হয় না এবং হাসপালের স্টাফ বয় সবাইকেই আলাদা খরচ না দিলে কেউ রোগীর কাছে আসে না। এসব অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে রোগী ও রোগীর স্বজনদের দাবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জনস্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবাদান করা হাসপাতাল/ক্লিনিকের প্রতি নজরদারি, তদারকি বাড়ানো খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।