বড় ধরনের সঙ্কটে কোভ্যাক্স কর্মসূচি

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ভারত। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের স্থান।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সবচেয়ে জোর দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনের ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একমাত্র ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব। কিন্তু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে জটিলতা। অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত করতে পারলেও দরিদ্র দেশগুলো কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। জাতিসংঘের সহায়তায় কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রকল্পের আওতায় ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোতেও ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বিশ্বজুড়ে আগামী মে মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের কথা ছিল, তার মাত্র এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা, সংগ্রহ ও সরবরাহের ঘাটতির কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ১১ রমজান ১৪৪২

বড় ধরনের সঙ্কটে কোভ্যাক্স কর্মসূচি

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ভারত। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের স্থান।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সবচেয়ে জোর দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনের ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একমাত্র ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব। কিন্তু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে জটিলতা। অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত করতে পারলেও দরিদ্র দেশগুলো কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। জাতিসংঘের সহায়তায় কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রকল্পের আওতায় ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোতেও ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বিশ্বজুড়ে আগামী মে মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের কথা ছিল, তার মাত্র এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা, সংগ্রহ ও সরবরাহের ঘাটতির কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।