ডিসিসিআই’র ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় : শিক্ষা খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনার

দক্ষ জনশক্তি না থাকায় প্রচুর দেশীয় মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে

শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি না থাকায় বিদেশি নাগরিকদের উপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় : শিক্ষা খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন। যুগের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার সব স্তরে শ্রেণীকক্ষের পাশাপাশি গবেষণাগারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ এবং সর্বোপর শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় আরও সুদৃঢ় করার ওপর আহ্বান জানানো হয় ওয়েবিনারে।

ওয়েবিনারের ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান শেষে শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে তরুণ সমাজ কর্মসংস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের শিল্প খাতের বিশেষকরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি নাগরিকদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ মিলিয়ন, যা এদেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে অত্যন্ত সহায়ক শক্তি। তবে এ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্প খাতের চাহিদা মোতাবেক যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণের বিষয়ে আমারা বেশ পিছিয়ে রয়েছি। এর ফলে কাঙ্খিত মাত্রায় বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে।’

বর্তমান যুগের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার সব স্তরে শ্রেণীকক্ষের পাশাপাশি গবেষণাগারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ, বিশে^র নামকরা বিশ^বিদ্যালয় সমূহের অনুসরণে আমাদের বিশ^বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন এবং সর্বোপর শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার সমন্বয় আরও সুদৃঢ় করার ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি শিক্ষা খাতের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য শিল্প খাতের আর্থিক সহায়তাকে কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যার মাধ্যমে শিল্প খাতকে এ ধরনের কার্যক্রমে এগিয়ে আসাতে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর উপউপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার, পিএইচডি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) বিশেষ উপদেষ্টা ও ডীন প্রফেসর ইমরান রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

এআইইউবি’র উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে না। এজন্য শিক্ষা ক্যারিকুলাম যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প ও শিক্ষা খাতের বিদ্যমান দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় বাড়াতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশ^বিদ্যালয় সমূহের গবেষণা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’ পাশাপশি তিনি শিক্ষা খাতে নীতিসহায়তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সহায়তা সরকারের অগ্রগণী ভূমিকা পালনের প্রদানের আহ্বান জানান এবং বিশ^বিদ্যালয় ও শিল্প খাতের সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালনেরও প্রস্তাব করেন।

বিইউপি’র উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়সমূহের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

ইউল্যাব-এর বিশেষ উপদেষ্টা ও ডীন প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় এখন সময়ের দাবি এবং আমাদের সব স্টোকহোল্ডারদের মাঝে এটার বোধদয় হয়েছে, যা ইতিবাচক বিষয়। পাঠদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে আরও বেশিহারে গুরত্ব প্রদান করতে হবে।’

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বিশে^র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিক্ষা ও শিল্প খাতের দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের এ পথনির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহের গবেষণা কার্যক্রম আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকার ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’ পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ের তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পখাত নতুন নতুন ধারণা ও সেবা প্রদানের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় শিক্ষাকার্যক্রম প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ কার্যক্রম চালু করতে হবে।’

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এনকেএ মবিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ওয়েবিনারে যোগদান করেন।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

ডিসিসিআই’র ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় : শিক্ষা খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনার

দক্ষ জনশক্তি না থাকায় প্রচুর দেশীয় মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি না থাকায় বিদেশি নাগরিকদের উপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় : শিক্ষা খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন। যুগের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার সব স্তরে শ্রেণীকক্ষের পাশাপাশি গবেষণাগারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ এবং সর্বোপর শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় আরও সুদৃঢ় করার ওপর আহ্বান জানানো হয় ওয়েবিনারে।

ওয়েবিনারের ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান শেষে শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে তরুণ সমাজ কর্মসংস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের শিল্প খাতের বিশেষকরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি নাগরিকদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ মিলিয়ন, যা এদেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে অত্যন্ত সহায়ক শক্তি। তবে এ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্প খাতের চাহিদা মোতাবেক যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণের বিষয়ে আমারা বেশ পিছিয়ে রয়েছি। এর ফলে কাঙ্খিত মাত্রায় বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে।’

বর্তমান যুগের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার সব স্তরে শ্রেণীকক্ষের পাশাপাশি গবেষণাগারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ, বিশে^র নামকরা বিশ^বিদ্যালয় সমূহের অনুসরণে আমাদের বিশ^বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন এবং সর্বোপর শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার সমন্বয় আরও সুদৃঢ় করার ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি শিক্ষা খাতের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য শিল্প খাতের আর্থিক সহায়তাকে কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যার মাধ্যমে শিল্প খাতকে এ ধরনের কার্যক্রমে এগিয়ে আসাতে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর উপউপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার, পিএইচডি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) বিশেষ উপদেষ্টা ও ডীন প্রফেসর ইমরান রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

এআইইউবি’র উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে না। এজন্য শিক্ষা ক্যারিকুলাম যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প ও শিক্ষা খাতের বিদ্যমান দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় বাড়াতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশ^বিদ্যালয় সমূহের গবেষণা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’ পাশাপশি তিনি শিক্ষা খাতে নীতিসহায়তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সহায়তা সরকারের অগ্রগণী ভূমিকা পালনের প্রদানের আহ্বান জানান এবং বিশ^বিদ্যালয় ও শিল্প খাতের সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালনেরও প্রস্তাব করেন।

বিইউপি’র উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়সমূহের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

ইউল্যাব-এর বিশেষ উপদেষ্টা ও ডীন প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় এখন সময়ের দাবি এবং আমাদের সব স্টোকহোল্ডারদের মাঝে এটার বোধদয় হয়েছে, যা ইতিবাচক বিষয়। পাঠদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে আরও বেশিহারে গুরত্ব প্রদান করতে হবে।’

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বিশে^র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিক্ষা ও শিল্প খাতের দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের এ পথনির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহের গবেষণা কার্যক্রম আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকার ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’ পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ের তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পখাত নতুন নতুন ধারণা ও সেবা প্রদানের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় শিক্ষাকার্যক্রম প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ কার্যক্রম চালু করতে হবে।’

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এনকেএ মবিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ওয়েবিনারে যোগদান করেন।