দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং শ্রম আইনের নীতিমালা সংশোধনের দাবি

রানা প্লাজা ধস থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগকালের কথা মাথায় রেখে শ্রম আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল রানা প্লাজা ধসের আট বছর স্মরণে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট, সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি- এসআরএস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ’র যৌথ উদ্যোগে ‘দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা : শ্রম আইন ও অন্যান্য বিধি-বিধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আজ বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্লাস্টের মুখ্য আইন উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘করোনকালীন দুর্যোগ মোকবিলায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকরা বিপদে পড়লে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করতে হয় সেটা সবাইকে ভাবতে হবে। হাইকোর্টে মামলা পরিচালনায় একটি টিম তৈরি করে রানা প্লাজার মামলাগুলো পরিচালনা করলে মামলাগুলো অগ্রগতি হতো এবং শ্রমিকরা একটা কিছু পেতেন। আগামী দিনে শ্রমিকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ বিলস্ ভাইস চেয়ারম্যান শিরীন আখতার বলেন, ‘ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে শ্রম আইনের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর জন্য সবাইকে তথ্য আদান-প্রদানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ঠিকমতো সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা তার মনিটরিং করতে হবে। একটি মানবিক সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পূর্বের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রগুলোকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে শ্রমিকদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’ কারখানা ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদানের দাবি জানান তিনি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘করোনাকালীন আন্তর্জাতিক মানদ-ের আলোকে সরকার শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, পাদুকা শিল্পের দুস্থ শ্রমিকদের জন্য নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটিকে আরও সার্বজনীন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

লেবার কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সেলিম আহসান খান বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা এবং অতিমারী করোনাকে একসাথে দেখলে হবে না, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মনুষ্য সৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন থাকা প্রয়োজন। একইসাথে তিনি শ্রম আইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা (শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ ইত্যাদি) উল্লেখ করে তা সংশোধনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

সংবিধান এবং শ্রম আইনের বিধি বিধানের কথা উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা দিবস টি এখন শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শ্রমিকরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির বিরূপ পরিস্থিতিতেও নিয়মিত কাজে যোগদান করছেন, জীবনের চেয়ে জীবিকা যেন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বর্তমান করোনাকালীণ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ও আইনগত সুরক্ষা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরী। দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের আইনগত সুরক্ষা জোরদার করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সামাজিক সুরক্ষা। শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বৃদ্ধি, শিল্প মালিক কতৃক বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, দূর্যোগ অবস্থা ঘোষণা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রম আইন ও সংশ্লিষ্ট তফশিল সংশোধন, শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট মানদন্ড প্রণয়ণের সুপারিশ করছি।’

অন্যান্য বক্তারা দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকরা আইনী সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে বক্তারা ত্রিপক্ষীয় কমিটি থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করে শ্রম আইনে দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করার দাবি জানান। একইসাথে করোনার অযুহাতে শ্রমিকদের যেন চাকুরিচ্যুত না করা, কারখানা লে-অফ না করা সহ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্লাস্টের উপ-পরিচালক (আইন) মোঃ বরকত আলী। আরো বক্তব্য রাখেন লেবার কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব এ কে এম নাসিম, শ্রম আদালতের আইনজীবী জনাব আমিনা দেওয়ান শিল্পি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মোঃ মাছুম বিল্লাহ, বিলস্ পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ এবং নাজমা ইসয়াসমীন, ব্লাস্টের অ্যাডভোকেসি ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপদেষ্টা মোঃ তাজুল ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান ভূইয়া, শ্রমিক নেতা জেড.এন.এম কামরূল আনাম, সিরাজুল ইসলাম রনি এবং শাহিদা পারভীন শিখা প্রমুখ।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার আট বছর স্মরণে মতবিনিময় সভা

দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং শ্রম আইনের নীতিমালা সংশোধনের দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রানা প্লাজা ধস থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগকালের কথা মাথায় রেখে শ্রম আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল রানা প্লাজা ধসের আট বছর স্মরণে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট, সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি- এসআরএস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ’র যৌথ উদ্যোগে ‘দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা : শ্রম আইন ও অন্যান্য বিধি-বিধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আজ বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্লাস্টের মুখ্য আইন উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘করোনকালীন দুর্যোগ মোকবিলায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকরা বিপদে পড়লে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করতে হয় সেটা সবাইকে ভাবতে হবে। হাইকোর্টে মামলা পরিচালনায় একটি টিম তৈরি করে রানা প্লাজার মামলাগুলো পরিচালনা করলে মামলাগুলো অগ্রগতি হতো এবং শ্রমিকরা একটা কিছু পেতেন। আগামী দিনে শ্রমিকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ বিলস্ ভাইস চেয়ারম্যান শিরীন আখতার বলেন, ‘ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে শ্রম আইনের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর জন্য সবাইকে তথ্য আদান-প্রদানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ঠিকমতো সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা তার মনিটরিং করতে হবে। একটি মানবিক সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পূর্বের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রগুলোকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে শ্রমিকদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’ কারখানা ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদানের দাবি জানান তিনি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘করোনাকালীন আন্তর্জাতিক মানদ-ের আলোকে সরকার শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, পাদুকা শিল্পের দুস্থ শ্রমিকদের জন্য নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটিকে আরও সার্বজনীন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

লেবার কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সেলিম আহসান খান বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা এবং অতিমারী করোনাকে একসাথে দেখলে হবে না, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মনুষ্য সৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন থাকা প্রয়োজন। একইসাথে তিনি শ্রম আইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা (শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ ইত্যাদি) উল্লেখ করে তা সংশোধনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

সংবিধান এবং শ্রম আইনের বিধি বিধানের কথা উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা দিবস টি এখন শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শ্রমিকরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির বিরূপ পরিস্থিতিতেও নিয়মিত কাজে যোগদান করছেন, জীবনের চেয়ে জীবিকা যেন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বর্তমান করোনাকালীণ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ও আইনগত সুরক্ষা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরী। দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের আইনগত সুরক্ষা জোরদার করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সামাজিক সুরক্ষা। শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বৃদ্ধি, শিল্প মালিক কতৃক বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, দূর্যোগ অবস্থা ঘোষণা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রম আইন ও সংশ্লিষ্ট তফশিল সংশোধন, শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট মানদন্ড প্রণয়ণের সুপারিশ করছি।’

অন্যান্য বক্তারা দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকরা আইনী সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে বক্তারা ত্রিপক্ষীয় কমিটি থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করে শ্রম আইনে দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করার দাবি জানান। একইসাথে করোনার অযুহাতে শ্রমিকদের যেন চাকুরিচ্যুত না করা, কারখানা লে-অফ না করা সহ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্লাস্টের উপ-পরিচালক (আইন) মোঃ বরকত আলী। আরো বক্তব্য রাখেন লেবার কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব এ কে এম নাসিম, শ্রম আদালতের আইনজীবী জনাব আমিনা দেওয়ান শিল্পি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মোঃ মাছুম বিল্লাহ, বিলস্ পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ এবং নাজমা ইসয়াসমীন, ব্লাস্টের অ্যাডভোকেসি ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপদেষ্টা মোঃ তাজুল ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান ভূইয়া, শ্রমিক নেতা জেড.এন.এম কামরূল আনাম, সিরাজুল ইসলাম রনি এবং শাহিদা পারভীন শিখা প্রমুখ।