মেধাস্বত্বকে সংরক্ষণের জন্য রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (এসএমই) মেধাস্বত্বকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এসএমইখাতকে অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধি ও টেকসই করতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। এসএমই খাতসহ সব শিল্প ক্ষেত্রের গুরুত্বারোপ করে নতুন পেটেন্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন নতুন পেটেন্ট আইনের ট্রিপস চুক্তির সঙ্গে মিল রেখে সাজানোর কাজ করছে। মেধাস্বত্ব একটি প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ, বিশেষ করে এখন এসএমই খাতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৃজনশীল মেধাস্বত্ব সুরক্ষা ও সংরক্ষণে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে কাজ করছে।’

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত ‘প্রটেকশন অব আইপি রাইটস ইন বাংলাদেশ উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু এসএমইএস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সম্মানিত বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইপি কাউন্সিলর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের ইউএসপিটিও, জন কাবেকা, ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. আবদুস সাত্তার, কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রেজা চৌধুরী, ডওচঙ এর আইপি ফর বিজনেস ডিভিশনের কাউন্সিলর ক্রিস্টোফার কালানজে, আইপি পলিসি এডভাইজর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের (ইউএসপিটিও) সিনিয়র কমার্শিয়াল স্পেশালিষ্ট মিস শিল্পি ঝাঁ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষকদের মেধাস্বত্ব আইনের ওপর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি আইন অনুষদে মেধাস্বত্ব আইন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে মেধাস্বত্বের ওপর নানা ধরনের গবেষণা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরও বলেন, আইন অনুষদ একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার সেন্টারের মাধ্যমে আবিষ্কারক ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সেতুবন্ধরূপের কাজ করে এর বাণিজ্যকীকরণসহ ফ্রাঞ্চায়, জিং, লাইসেন্সিং, রয়ালটি নিশ্চিতকরণ, মূল্য নির্ধারণ ও শুরুর জন্য তহবিল গঠনে সাহায্য করতে পারে। একটি রিয়েল টাইম মেধাস্বত্ব আইন ক্লিনিকের মাধ্যমে এসএমইকে ব্রান্ড নিরাপত্তা, নকশা ও আবিষ্কার এবং মেধাস্বত্ব এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যেমন- রেজিষ্ট্রেশনে সাহায্য করা কিংবা তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করা ইত্যাদি।’ মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় সম্ভব সবধরণের নীতি সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে হলে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবনে এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশি বেশি সভা সেমিনার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে হবে।’ একটি দেশের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ যত শক্তিশালী হবে, সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ তত বেশি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

মেধাস্বত্বকে সংরক্ষণের জন্য রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (এসএমই) মেধাস্বত্বকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এসএমইখাতকে অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধি ও টেকসই করতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। এসএমই খাতসহ সব শিল্প ক্ষেত্রের গুরুত্বারোপ করে নতুন পেটেন্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন নতুন পেটেন্ট আইনের ট্রিপস চুক্তির সঙ্গে মিল রেখে সাজানোর কাজ করছে। মেধাস্বত্ব একটি প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ, বিশেষ করে এখন এসএমই খাতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৃজনশীল মেধাস্বত্ব সুরক্ষা ও সংরক্ষণে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে কাজ করছে।’

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত ‘প্রটেকশন অব আইপি রাইটস ইন বাংলাদেশ উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু এসএমইএস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সম্মানিত বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইপি কাউন্সিলর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের ইউএসপিটিও, জন কাবেকা, ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. আবদুস সাত্তার, কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রেজা চৌধুরী, ডওচঙ এর আইপি ফর বিজনেস ডিভিশনের কাউন্সিলর ক্রিস্টোফার কালানজে, আইপি পলিসি এডভাইজর ফর সাউথ এশিয়া অফ দ্য ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের (ইউএসপিটিও) সিনিয়র কমার্শিয়াল স্পেশালিষ্ট মিস শিল্পি ঝাঁ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষকদের মেধাস্বত্ব আইনের ওপর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি আইন অনুষদে মেধাস্বত্ব আইন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে মেধাস্বত্বের ওপর নানা ধরনের গবেষণা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরও বলেন, আইন অনুষদ একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার সেন্টারের মাধ্যমে আবিষ্কারক ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সেতুবন্ধরূপের কাজ করে এর বাণিজ্যকীকরণসহ ফ্রাঞ্চায়, জিং, লাইসেন্সিং, রয়ালটি নিশ্চিতকরণ, মূল্য নির্ধারণ ও শুরুর জন্য তহবিল গঠনে সাহায্য করতে পারে। একটি রিয়েল টাইম মেধাস্বত্ব আইন ক্লিনিকের মাধ্যমে এসএমইকে ব্রান্ড নিরাপত্তা, নকশা ও আবিষ্কার এবং মেধাস্বত্ব এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যেমন- রেজিষ্ট্রেশনে সাহায্য করা কিংবা তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করা ইত্যাদি।’ মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় সম্ভব সবধরণের নীতি সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে হলে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবনে এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশি বেশি সভা সেমিনার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে হবে।’ একটি দেশের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ যত শক্তিশালী হবে, সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ তত বেশি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।