শয্যার অভাবে হাসপাতাল ছাড়ছেন ডায়রিয়া রোগী হিমশিম ডাক্তাররা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে দশমিনা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বেড সঙ্কটের কারণে অনেক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্যালাইন সঙ্কটের কারণে বাইরের ওষুধের দোকান থেকে দ্বিগুন দামে সেলাইন কিনতে হচ্ছে ডায়রিয়া রোগীদের।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি থেকে ৯০৯ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এছাড়াও হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার ডায়রিয়া রোগী। গত বৃহস্পতিবার দশমিনা হাসপাতালে ৫০ শয্যার বিপরীতে ডায়রিয়া রোগী ৪৯ জনসহ ভর্তি রয়েছেন ৭৯ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী। হাসপাতালে ৫০ শয্যার মধ্যে ৫টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় ৪৫ শয্যায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ৮৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। শয্যার অভাবে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে ডায়রিয়া রোগীদের। অনেক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালের বারান্দায় থাকতে না পেরে বাড়ি চলে যাচ্ছেন নিজ ইচ্ছেতেই।

ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স। দশমিনা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

তিনি জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির ১২ থেকে ১৫ লিটার সেলাইন প্রয়োজন হয় এত স্যালাইনের চাহিদা হাসপাতাল থেকে মেটানো সম্ভব না তাই দু’তিন লিটার দেয়ার পরে বাইরে থেকে রোগীর স্বজনরা সেলাইন কিনে আনছেন।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

শয্যার অভাবে হাসপাতাল ছাড়ছেন ডায়রিয়া রোগী হিমশিম ডাক্তাররা

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

image

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে দশমিনা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বেড সঙ্কটের কারণে অনেক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্যালাইন সঙ্কটের কারণে বাইরের ওষুধের দোকান থেকে দ্বিগুন দামে সেলাইন কিনতে হচ্ছে ডায়রিয়া রোগীদের।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি থেকে ৯০৯ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এছাড়াও হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার ডায়রিয়া রোগী। গত বৃহস্পতিবার দশমিনা হাসপাতালে ৫০ শয্যার বিপরীতে ডায়রিয়া রোগী ৪৯ জনসহ ভর্তি রয়েছেন ৭৯ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী। হাসপাতালে ৫০ শয্যার মধ্যে ৫টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় ৪৫ শয্যায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ৮৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। শয্যার অভাবে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে ডায়রিয়া রোগীদের। অনেক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালের বারান্দায় থাকতে না পেরে বাড়ি চলে যাচ্ছেন নিজ ইচ্ছেতেই।

ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স। দশমিনা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

তিনি জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির ১২ থেকে ১৫ লিটার সেলাইন প্রয়োজন হয় এত স্যালাইনের চাহিদা হাসপাতাল থেকে মেটানো সম্ভব না তাই দু’তিন লিটার দেয়ার পরে বাইরে থেকে রোগীর স্বজনরা সেলাইন কিনে আনছেন।