সাফল্যের তিনযুগে ‘অবসকিউর’ এবং টিপু

বাংলাদেশের প্রাচীন ব্যান্ড দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ‘অবস্কিউর’। ১৯৮৫ সালে টিপু’র হাত ধরে যে ব্যান্ডদলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং যাত্রার শুরুতেই সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। টিপু এক সময় একক অ্যালবাম ‘একাকী একজন’ (১৯৯০), ‘ভবের পাগল’ (১৯৯২), ‘রঙধনু হতে চাই’ (২০০৭) এবং সর্বশেষ রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম ‘সকলই ফুরালো’ (২০০৮) প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ‘অবস্কিউর’কে ছেড়ে একাকী ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা ছিল না তার। এ প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘যখন নিজের একক অ্যালবামগুলো প্রকাশ করছিলাম, তখন নিজের মনের ভেতর বোধোধয় হলো যে এভাবে চলাটা আমার ব্যান্ডদলের জন্য ক্ষতিকর। সরে দাঁড়ালাম নিজেকে এককভাবে প্রতিষ্ঠার ভাবনা থেকে।’ ১৯৮৫ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত অবসকিউর’র প্রথম অ্যালবাম ছিল ‘অবস্কিউর ভলিউম ওয়ান’। এই অ্যালবামের ‘মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়’, ‘ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী’, ‘কলিকালের ভ- বাবা’সহ আরো বেশ কিছু গান শ্রোতা দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর নানান সময়ে ‘অবস্কিউর ভলিউম টু’, ‘স্বপ্নচারিনী’, ‘ফেরাতে তোমায়’, ‘অপেক্ষায় থেকো’, ‘ইচ্ছের ডাকাডাকি’, ‘ফেরা’, ‘অবসকিউর ও বাংলাদেশ’,‘ স্টপ জনোসাইড’, ‘টিটোর স্বাধীনতা’সহ আরও বেশকিছু অ্যালবাম ও গান প্রকাশিত হয়। নিজের গান শেখা এবং সঙ্গীত জীবনে প্রাপ্তি প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘গানে আমার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তবে ছোটবেলা থেকেই আমি শ্রদ্ধেয় মান্না দে, সন্ধ্যা মুখার্জি, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোসলের গান শুনতাম। ব্যা-দল সোলস’র তপন দাদা মূলত আমার গানে আসার মূল অনুপ্রেরণা। গান গেয়ে ছোট্ট এই জীবনে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটা আসলে বিরাট প্রাপ্তি।’ টিপু বর্তমানে গানের পাশাপাশি বন্ধু আলিমের সঙ্গে গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৭ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্ম নেয়া টিপুর বাবা হিম্মত আলী (মারা গেছেন ১৯৯১ সালে), মা আনোয়ারা আক্তার (মারা গেছেন ১৯৮২ সালে)। তার এক মেয়ে আনায়া ও এক ছেলে অয়ন। তার জীবনে একমাত্র প্লেবেক এসআই টুটুলের সুর সঙ্গীতে তৌকীর আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

সাফল্যের তিনযুগে ‘অবসকিউর’ এবং টিপু

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

বাংলাদেশের প্রাচীন ব্যান্ড দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ‘অবস্কিউর’। ১৯৮৫ সালে টিপু’র হাত ধরে যে ব্যান্ডদলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং যাত্রার শুরুতেই সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। টিপু এক সময় একক অ্যালবাম ‘একাকী একজন’ (১৯৯০), ‘ভবের পাগল’ (১৯৯২), ‘রঙধনু হতে চাই’ (২০০৭) এবং সর্বশেষ রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম ‘সকলই ফুরালো’ (২০০৮) প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ‘অবস্কিউর’কে ছেড়ে একাকী ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা ছিল না তার। এ প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘যখন নিজের একক অ্যালবামগুলো প্রকাশ করছিলাম, তখন নিজের মনের ভেতর বোধোধয় হলো যে এভাবে চলাটা আমার ব্যান্ডদলের জন্য ক্ষতিকর। সরে দাঁড়ালাম নিজেকে এককভাবে প্রতিষ্ঠার ভাবনা থেকে।’ ১৯৮৫ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত অবসকিউর’র প্রথম অ্যালবাম ছিল ‘অবস্কিউর ভলিউম ওয়ান’। এই অ্যালবামের ‘মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়’, ‘ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী’, ‘কলিকালের ভ- বাবা’সহ আরো বেশ কিছু গান শ্রোতা দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর নানান সময়ে ‘অবস্কিউর ভলিউম টু’, ‘স্বপ্নচারিনী’, ‘ফেরাতে তোমায়’, ‘অপেক্ষায় থেকো’, ‘ইচ্ছের ডাকাডাকি’, ‘ফেরা’, ‘অবসকিউর ও বাংলাদেশ’,‘ স্টপ জনোসাইড’, ‘টিটোর স্বাধীনতা’সহ আরও বেশকিছু অ্যালবাম ও গান প্রকাশিত হয়। নিজের গান শেখা এবং সঙ্গীত জীবনে প্রাপ্তি প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘গানে আমার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তবে ছোটবেলা থেকেই আমি শ্রদ্ধেয় মান্না দে, সন্ধ্যা মুখার্জি, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোসলের গান শুনতাম। ব্যা-দল সোলস’র তপন দাদা মূলত আমার গানে আসার মূল অনুপ্রেরণা। গান গেয়ে ছোট্ট এই জীবনে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটা আসলে বিরাট প্রাপ্তি।’ টিপু বর্তমানে গানের পাশাপাশি বন্ধু আলিমের সঙ্গে গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৭ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্ম নেয়া টিপুর বাবা হিম্মত আলী (মারা গেছেন ১৯৯১ সালে), মা আনোয়ারা আক্তার (মারা গেছেন ১৯৮২ সালে)। তার এক মেয়ে আনায়া ও এক ছেলে অয়ন। তার জীবনে একমাত্র প্লেবেক এসআই টুটুলের সুর সঙ্গীতে তৌকীর আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে।