আজ খুলছে দোকানপাট মুভমেন্ট পাস নেয়ার অনুরোধ

দোকান খোলার খবরে ঘাটে ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়

কয়েকটি শর্তে আজ থেকে শপিংমল এবং দোকানপাট খুলছে। তবে কেনাকাটার জন্যও নাগরিকদের মুভমেন্ট পাস নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশের বলছে, আইনিভাবে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নাগরিকদের সচেতনতার অংশ হিসেবে শপিংমলগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মুভমেন্ট পাস নেয়া উচিত। তবে মুভমেন্ট পাস ছাড়াও মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে পারার কারণে অনেকেই এ পাস নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে লকডাউনের শুরু থেকে পুলিশ মুভমেন্ট পাস নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার বিধান করা হলেও তা মানেননি অনেকেই। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। এখন শপিংমলে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেয়া কতটা জরুরি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, যারা জরুরি সেবাদানের কাজে জড়িত, শুধু তাদেরই মুভমেন্ট পাস লাগবে না। এরইমধ্যে সরকার ও পুলিশ জরুরি সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার বাইরে যারা তাদের সবাইকে মুভমেন্ট পাস নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শপিংমলে কেনাকাটা কোন জরুরি সেবার মধ্যে পড়ে না, তাই মার্কেটের উদ্দেশে বের হওয়া সবাইকে মুভমেন্ট পাস নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, অতীতের অভিজ্ঞতায় অপ্রয়োজনীয় মানুষের চলাচল ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে একটি অ্যাপের মাধ্যমে মুভমেন্ট পাস চালু করা হয়েছিল। সবাই না মানলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশ মুভমেন্ট পাস নিয়ে অনেকে চলাচল করেছে। এ প্রক্রিয়া প্রথমবারের মতো। ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে গণমানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার টেস্ট হিসেবে পুলিশ মুভমেন্ট পাসকে দেখা হচ্ছে। তাই শপিংমলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এটি চালু করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, অ্যাপ চালুর পর ১৮ কোটির বেশি মানুষ হিট করেছে অ্যাপ্লিকেশনসে। আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর আর হিসেব পাওয়া যায়নি। কারণ হিসেব নেয়ার প্রয়োজনও হয়নি। মানুষ লকডাউনের দিন থেকেই পুলিশ মুভমেন্ট পাস ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছে। বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, লকডাউনের ব্যাপারে জাতীয় কারিগরি কমিটির ইতিবাচক পরামর্শ থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত রাখতে ও ব্যবসায়ী মহল, দরিদ্র, নিম্ন আয় এবং দিনমজুর মানুষের দুর্বিষহ জীবনের কথা মাথায় নিয়ে সরকার লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে লকডাউন আর না বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে লকডাউন না বাড়ালেও স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং কঠোর বিধিনিষেধ রাখবে সরকার। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের আর্থিক দণ্ড দেয়াসহ কঠিন কিছু বিধিবিধান আরোপ করা হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ যতœশীল থাকার পরামর্শ দেয়া হবে।

আরও খবর
রাশিয়ার ‘স্পুটনিক’ চীনের ‘সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম’ টিকা ব্যবহারের উদ্যোগ বাংলাদেশের
টাকা নেয়ার পর টিকা আটকানোর অধিকার সেরামের নেই
বরিশালে ডায়রিয়া মহামারী রূপ নিচ্ছে
ক্যান্ডির ব্যাটিং পিচে টাইগার বোলারদের হতাশার দিন
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ২১ লাখ মানুষ
সংক্রমণ হার নিচে নামলেও মৃত্যু এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে
সিন্ডিকেট, বিত্তবৈভব, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য : হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ, পুলিশের ভাষ্য
হেফাজতকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধের দাবি ৫৫১ আলেমের
‘আল্লাহ আমাকে নিয়ে যান তবু আমার ছেলে ও বউয়ের প্রাণভিক্ষা দেন’
বেঁচে যাওয়ারা ভয়-আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছে না

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

আজ খুলছে দোকানপাট মুভমেন্ট পাস নেয়ার অনুরোধ

দোকান খোলার খবরে ঘাটে ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কয়েকটি শর্তে আজ থেকে শপিংমল এবং দোকানপাট খুলছে। তবে কেনাকাটার জন্যও নাগরিকদের মুভমেন্ট পাস নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশের বলছে, আইনিভাবে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নাগরিকদের সচেতনতার অংশ হিসেবে শপিংমলগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মুভমেন্ট পাস নেয়া উচিত। তবে মুভমেন্ট পাস ছাড়াও মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে পারার কারণে অনেকেই এ পাস নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে লকডাউনের শুরু থেকে পুলিশ মুভমেন্ট পাস নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার বিধান করা হলেও তা মানেননি অনেকেই। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। এখন শপিংমলে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেয়া কতটা জরুরি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, যারা জরুরি সেবাদানের কাজে জড়িত, শুধু তাদেরই মুভমেন্ট পাস লাগবে না। এরইমধ্যে সরকার ও পুলিশ জরুরি সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার বাইরে যারা তাদের সবাইকে মুভমেন্ট পাস নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শপিংমলে কেনাকাটা কোন জরুরি সেবার মধ্যে পড়ে না, তাই মার্কেটের উদ্দেশে বের হওয়া সবাইকে মুভমেন্ট পাস নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, অতীতের অভিজ্ঞতায় অপ্রয়োজনীয় মানুষের চলাচল ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে একটি অ্যাপের মাধ্যমে মুভমেন্ট পাস চালু করা হয়েছিল। সবাই না মানলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশ মুভমেন্ট পাস নিয়ে অনেকে চলাচল করেছে। এ প্রক্রিয়া প্রথমবারের মতো। ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে গণমানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার টেস্ট হিসেবে পুলিশ মুভমেন্ট পাসকে দেখা হচ্ছে। তাই শপিংমলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এটি চালু করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, অ্যাপ চালুর পর ১৮ কোটির বেশি মানুষ হিট করেছে অ্যাপ্লিকেশনসে। আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর আর হিসেব পাওয়া যায়নি। কারণ হিসেব নেয়ার প্রয়োজনও হয়নি। মানুষ লকডাউনের দিন থেকেই পুলিশ মুভমেন্ট পাস ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছে। বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, লকডাউনের ব্যাপারে জাতীয় কারিগরি কমিটির ইতিবাচক পরামর্শ থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত রাখতে ও ব্যবসায়ী মহল, দরিদ্র, নিম্ন আয় এবং দিনমজুর মানুষের দুর্বিষহ জীবনের কথা মাথায় নিয়ে সরকার লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে লকডাউন আর না বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে লকডাউন না বাড়ালেও স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং কঠোর বিধিনিষেধ রাখবে সরকার। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের আর্থিক দণ্ড দেয়াসহ কঠিন কিছু বিধিবিধান আরোপ করা হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ যতœশীল থাকার পরামর্শ দেয়া হবে।