আরমানিটোলায় দগ্ধদের স্বজনের আর্তনাদ

‘আল্লাহ আমাকে নিয়ে যান তবু আমার ছেলে ও বউয়ের প্রাণভিক্ষা দেন’

আল্লাহ আপনি আমার জীবন নেন, তবু আমার ছেলে ও বউয়ের প্রাণভিক্ষা দেন। আমার ছেলে দম ফেলতে পারছে না। হাউমাউ করে কঁাঁদতে কাঁদতে এভাবে আরমানিটোলার অগ্নিদগ্ধ মুমূর্ষু ছেলে আশিকুজ্জামান ও পুত্রবধূ মুনার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউট ভবনের চারতলায় বারান্দার ফ্লোরে বসে কপালে হাত দিয়ে বিলাপ করছিলেন আশিকুজ্জামানের বাবা আবুল কাশেম খান।

কান্নারত অবস্থায় তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার ছেলের মতো ছেলে হয় না। ছেলের কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাঁচব।’

কান্নার ফাঁকে তিনি দোয়া ইউনুছ পড়ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার সময় ছেলে ও ছেলের বউর দুঃসংবাদ শুনে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন আশিকুজ্জামানের বাবা আবুল কাশেম খান।

গতকাল সরেজমিন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিউটের চারতলা আইসিউর বারান্দায় গিয়ে দেখা যায় শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া আশিকুজ্জামানের শোকাহত বাবার আর্তনাদ। তিনি জানান, তার দুই ছেলে ছোট কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে পড়ছে। বড় ছেলে আশিক বুয়েটে ভর্তির হওয়ার পর থেকে ওকে নিয়ে আমি এবং ওর মা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম।

হাসপাতালে দগ্ধ আশিকুজ্জামানের এক চাচা জানান, গত ১২ মার্চ বুয়েটের ছাত্র আশিকুরের সঙ্গে আরমানিটোলা মুসা হাজী ভবনের বাসিন্দা মুনার বিয়ে হয়। বিয়ে হাতের লাল মেহেদীর রং না মুছতেই নেমে আসল অন্ধকার। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার আশিকুজ্জামান বেচারাম দেউরির খালার বাসা থেকে ইফতার করে আরমানিটোলায় শ্বশুরের বাসায় গিয়েছিলেন। রাত এগারোটার দিকে খালা ফোন দিলে সে খালাকে জানায় রাতে মুনাদের বাসায় থাকব।

বর্তমানে আশিকুজ্জামান ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান মুনা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের চারতলায় আইসিউতে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ডা. সামন্তলাল সেন জানান, আশিকুজ্জামান ও তার স্ত্রীর শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। অবস্থা ভালো নয়। মুমূর্ষু দু’জনের ভিতরে ফুসফুসসহ সবকিছু আগুনের তাপে সেদ্ধ হয়ে গেছে। ওদের শরীরের বাইরে আগুনের পোড়া কোন ক্ষত নেই। অকালে এমন সম্ভাবনায় দুটি তরুণ জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে, তা দেখে স্বজনদের পাশাপাশি আমরা ডাক্তারদেরও খারাপ লাগছে। আমরাও তো মানুষ। গতকাল বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন এ কথা জানিয়েছেন।

আশিকুজ্জামানের স্ত্রী মুনার বৃদ্ধ ফুফু, মামা, মামি, চাচাত ভাইসহ স্বজনদের অনেককে হাসপাতালে বেদনাহত অবস্থায় দেখা গেছে। মুনার চাচাত ভাই আওলাদ জানান, আমার বোন ও বোনজামাইর অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের বেডে দেখে এলাম। মুনার মা-বাবা, ছোট ভাইও শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি আছেন। মুনার ছোট বোন নিহত সুমাইয়াকে নরসিংদীতে গ্রামের বাড়িতে কবর দেয়া হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

মুসা ম্যানসনে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুনে দগ্ধ অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের আরও ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটের ৫ম তলার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন বলে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সরা জানান। এরা হলেন ইউনুছ মোল্লা (৬০), আকাশ (২২), চশমেরা বেগম (৬০), আসমা সিদ্দিকা (৪৫), লায়লা বেগম (৫৫), পাবিহা (২৬), মেহেরুন্নেছা (৫০), হাজী মো. ইব্রাহিম খলিল (৬০), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), শাকিব হোসেন (৩০), মো. ফারুক (৫৫), সাখাওয়াত হোসেন (২৯), শিশু ইসফা (২২ মাস), মিলি (২২), জুনাইদ (১৯)। ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আগুনে দগ্ধ ১৪ জনের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট ও শরীরে আগুনে পোড়া ক্ষত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

এদের মধ্যে শ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে বলে অগ্নিদগ্ধ ফারুক সংবাদকে জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালে আমার সঙ্গে স্ত্রী চিকিৎসাধীন আসমা সিদ্দিকারও দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। কেমিক্যালের আগুনের ধোঁয়া নাক-মুখ দিয়ে আমাদের দু’জনের শরীরে ঢুকেছে। এখন কাশির সঙ্গে ব্যাটারির কয়লার মতো কালো কি যেন বের হচ্ছে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে তিনটার সময় আগুনের ধোঁয়ার গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। উঠে তীব্র আগুন ও ধোঁয়া থেকে বারান্দার জানালার লোহার গ্রিল ভেঙে ফেলি। পরে ফায়ার সার্ভিসের ক্রেন দিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে নিচে নামায়। আল্লাহর রহমতে প্রাণে বাঁচি।

ফারুক জানান, ওই রাতে মুসা ম্যানসনের ছয় তলার ছাদ খোলা থাকলে ভবনের বাসিন্দাদের অনেকে রক্ষা পেত। কারণ, এই ভবনের পাশে আরেকটি লাগানো ভবন ছিল। ওই ছাদ টপকিয়ে আমরা যেতে পারতাম। আমার ফ্ল্যাটের বরাবর নিচে চারতলার বাসিন্দা ইডেন ছাত্রী সুমাইয়া কেমিক্যাল আগুনের ধোঁয়ায় বেহুশ হয়ে মারা গেছে।

অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আরমানিটোলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম থেকেই চারজন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে আশিকুজ্জামান ও মুনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার রাতে তাদের লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। বাকি দু’জন আইসিইউতে রয়েছেন। আর বাকি ১৬ জন পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন। যেহেতু তাদের সবার শ্বাসনালী বার্ন রয়েছে, তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।

এর আগে মুসা ম্যানশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ২১ জনকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয় এবং মো. মোস্তফা (৪০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় প্রকাশ ঘোষ বলেন, মুসা ম্যানশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১ জন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

আরমানিটোলায় দগ্ধদের স্বজনের আর্তনাদ

‘আল্লাহ আমাকে নিয়ে যান তবু আমার ছেলে ও বউয়ের প্রাণভিক্ষা দেন’

খন্দকার জাফর আহমদ

image

আল্লাহ আপনি আমার জীবন নেন, তবু আমার ছেলে ও বউয়ের প্রাণভিক্ষা দেন। আমার ছেলে দম ফেলতে পারছে না। হাউমাউ করে কঁাঁদতে কাঁদতে এভাবে আরমানিটোলার অগ্নিদগ্ধ মুমূর্ষু ছেলে আশিকুজ্জামান ও পুত্রবধূ মুনার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউট ভবনের চারতলায় বারান্দার ফ্লোরে বসে কপালে হাত দিয়ে বিলাপ করছিলেন আশিকুজ্জামানের বাবা আবুল কাশেম খান।

কান্নারত অবস্থায় তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার ছেলের মতো ছেলে হয় না। ছেলের কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাঁচব।’

কান্নার ফাঁকে তিনি দোয়া ইউনুছ পড়ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার সময় ছেলে ও ছেলের বউর দুঃসংবাদ শুনে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন আশিকুজ্জামানের বাবা আবুল কাশেম খান।

গতকাল সরেজমিন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিউটের চারতলা আইসিউর বারান্দায় গিয়ে দেখা যায় শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া আশিকুজ্জামানের শোকাহত বাবার আর্তনাদ। তিনি জানান, তার দুই ছেলে ছোট কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে পড়ছে। বড় ছেলে আশিক বুয়েটে ভর্তির হওয়ার পর থেকে ওকে নিয়ে আমি এবং ওর মা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম।

হাসপাতালে দগ্ধ আশিকুজ্জামানের এক চাচা জানান, গত ১২ মার্চ বুয়েটের ছাত্র আশিকুরের সঙ্গে আরমানিটোলা মুসা হাজী ভবনের বাসিন্দা মুনার বিয়ে হয়। বিয়ে হাতের লাল মেহেদীর রং না মুছতেই নেমে আসল অন্ধকার। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার আশিকুজ্জামান বেচারাম দেউরির খালার বাসা থেকে ইফতার করে আরমানিটোলায় শ্বশুরের বাসায় গিয়েছিলেন। রাত এগারোটার দিকে খালা ফোন দিলে সে খালাকে জানায় রাতে মুনাদের বাসায় থাকব।

বর্তমানে আশিকুজ্জামান ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান মুনা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের চারতলায় আইসিউতে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ডা. সামন্তলাল সেন জানান, আশিকুজ্জামান ও তার স্ত্রীর শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। অবস্থা ভালো নয়। মুমূর্ষু দু’জনের ভিতরে ফুসফুসসহ সবকিছু আগুনের তাপে সেদ্ধ হয়ে গেছে। ওদের শরীরের বাইরে আগুনের পোড়া কোন ক্ষত নেই। অকালে এমন সম্ভাবনায় দুটি তরুণ জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে, তা দেখে স্বজনদের পাশাপাশি আমরা ডাক্তারদেরও খারাপ লাগছে। আমরাও তো মানুষ। গতকাল বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন এ কথা জানিয়েছেন।

আশিকুজ্জামানের স্ত্রী মুনার বৃদ্ধ ফুফু, মামা, মামি, চাচাত ভাইসহ স্বজনদের অনেককে হাসপাতালে বেদনাহত অবস্থায় দেখা গেছে। মুনার চাচাত ভাই আওলাদ জানান, আমার বোন ও বোনজামাইর অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের বেডে দেখে এলাম। মুনার মা-বাবা, ছোট ভাইও শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি আছেন। মুনার ছোট বোন নিহত সুমাইয়াকে নরসিংদীতে গ্রামের বাড়িতে কবর দেয়া হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

মুসা ম্যানসনে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুনে দগ্ধ অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের আরও ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটের ৫ম তলার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন বলে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সরা জানান। এরা হলেন ইউনুছ মোল্লা (৬০), আকাশ (২২), চশমেরা বেগম (৬০), আসমা সিদ্দিকা (৪৫), লায়লা বেগম (৫৫), পাবিহা (২৬), মেহেরুন্নেছা (৫০), হাজী মো. ইব্রাহিম খলিল (৬০), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), শাকিব হোসেন (৩০), মো. ফারুক (৫৫), সাখাওয়াত হোসেন (২৯), শিশু ইসফা (২২ মাস), মিলি (২২), জুনাইদ (১৯)। ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আগুনে দগ্ধ ১৪ জনের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট ও শরীরে আগুনে পোড়া ক্ষত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

এদের মধ্যে শ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে বলে অগ্নিদগ্ধ ফারুক সংবাদকে জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালে আমার সঙ্গে স্ত্রী চিকিৎসাধীন আসমা সিদ্দিকারও দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। কেমিক্যালের আগুনের ধোঁয়া নাক-মুখ দিয়ে আমাদের দু’জনের শরীরে ঢুকেছে। এখন কাশির সঙ্গে ব্যাটারির কয়লার মতো কালো কি যেন বের হচ্ছে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে তিনটার সময় আগুনের ধোঁয়ার গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। উঠে তীব্র আগুন ও ধোঁয়া থেকে বারান্দার জানালার লোহার গ্রিল ভেঙে ফেলি। পরে ফায়ার সার্ভিসের ক্রেন দিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে নিচে নামায়। আল্লাহর রহমতে প্রাণে বাঁচি।

ফারুক জানান, ওই রাতে মুসা ম্যানসনের ছয় তলার ছাদ খোলা থাকলে ভবনের বাসিন্দাদের অনেকে রক্ষা পেত। কারণ, এই ভবনের পাশে আরেকটি লাগানো ভবন ছিল। ওই ছাদ টপকিয়ে আমরা যেতে পারতাম। আমার ফ্ল্যাটের বরাবর নিচে চারতলার বাসিন্দা ইডেন ছাত্রী সুমাইয়া কেমিক্যাল আগুনের ধোঁয়ায় বেহুশ হয়ে মারা গেছে।

অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আরমানিটোলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম থেকেই চারজন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে আশিকুজ্জামান ও মুনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার রাতে তাদের লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। বাকি দু’জন আইসিইউতে রয়েছেন। আর বাকি ১৬ জন পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন। যেহেতু তাদের সবার শ্বাসনালী বার্ন রয়েছে, তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।

এর আগে মুসা ম্যানশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ২১ জনকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয় এবং মো. মোস্তফা (৪০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় প্রকাশ ঘোষ বলেন, মুসা ম্যানশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১ জন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।