ভারতে আবারও হিমবাহ ধসে নিহত ৮

ভারতের উত্তরাখণ্ডে চীন-ভারত সীমান্তের কাছে জোশিমঠ এলাকায় হিমবাহ ধসে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক দিন থেকেই এই অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। কখনও ভারি তুষারপাতও হচ্ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিতি উপত্যকার কাছে ওই হিমবাহটি ধসে পড়ে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি জোশীমঠ অঞ্চলে একটি হিমবাহ ধসে পড়ে। পরে ওই এলাকা থেকে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ১৩৫ জনকেও নিহত ঘোষণা করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এই বিপদে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। দ্রুত উদ্ধারের জন্য সব রকম নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক দিন থেকেই এই অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। কখনও ভারি তুষারপাতও হচ্ছিল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিংহ রাওয়াত বলেন, ‘নিতি উপত্যকার সুমনায় হিমবাহে ধস নেমে যে বিপর্যয় ঘটেছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আইটিবিপির জওয়ানদেরও প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।’ ফেব্রুয়ারির হিমবাহ ধসের ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্দেহ জানানো হয়, যে পারমাণবিক বিস্ফোরণে ওই দুর্ঘটনা হয়েছিল। নিবন্ধে বলা হয়, চীনের ওপর নজরদারি করতে ষাটের দশকে ভারত জোশিমঠ এলাকায় পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র বসায়, এমন গল্প প্রচলিত রয়েছে। বহু বছর পর সেগুলোর কোন একটি বিস্ফোরিত হয়েই হয়তো ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

ভারতে আবারও হিমবাহ ধসে নিহত ৮

ভারতের উত্তরাখণ্ডে চীন-ভারত সীমান্তের কাছে জোশিমঠ এলাকায় হিমবাহ ধসে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক দিন থেকেই এই অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। কখনও ভারি তুষারপাতও হচ্ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিতি উপত্যকার কাছে ওই হিমবাহটি ধসে পড়ে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি জোশীমঠ অঞ্চলে একটি হিমবাহ ধসে পড়ে। পরে ওই এলাকা থেকে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ১৩৫ জনকেও নিহত ঘোষণা করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এই বিপদে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। দ্রুত উদ্ধারের জন্য সব রকম নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক দিন থেকেই এই অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। কখনও ভারি তুষারপাতও হচ্ছিল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিংহ রাওয়াত বলেন, ‘নিতি উপত্যকার সুমনায় হিমবাহে ধস নেমে যে বিপর্যয় ঘটেছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আইটিবিপির জওয়ানদেরও প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।’ ফেব্রুয়ারির হিমবাহ ধসের ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্দেহ জানানো হয়, যে পারমাণবিক বিস্ফোরণে ওই দুর্ঘটনা হয়েছিল। নিবন্ধে বলা হয়, চীনের ওপর নজরদারি করতে ষাটের দশকে ভারত জোশিমঠ এলাকায় পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র বসায়, এমন গল্প প্রচলিত রয়েছে। বহু বছর পর সেগুলোর কোন একটি বিস্ফোরিত হয়েই হয়তো ওই দুর্ঘটনা ঘটে।