বেড়েছে শিশুশ্রম, ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী

দেশে করোনা মহামারীর আগমনের এক বছর পার হয়ে গেছে। এক বছর পার হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের। মাঝে করোনা আক্রমণ শিথিল থাকলেও আবারো দিনকে দিন সংক্রামণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনকে দিন গ্রাম অঞ্চলে বেড়ে চলছে শিশুশ্রম। করোনার আগে যে শিশুরা স্কুলে যেতো সেই শিশুরাই এখন বই-খাতা থেকে দূরে গিয়ে শিশু শ্রম নামক চরম এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে অনেক শিশু শিক্ষার্থীর পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষদের উপার্জন কমে যাওয়ায় তারা এক রকম বাধ্য হয়ে তাদের শিশুদের অর্থ উপার্জনের মতো ঝুকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করছেন। যার ফলে তাদের শিক্ষা জীবন ও বাস্তবিক জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা অবগত আছি যে গ্রামাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষারহার কম ও ঝরে পড়ার হার ভয়াবহ রকমের বেশি। যে শিশুরা এখন অর্থ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অর্থ উপার্জনের দিকে ঝুঁকছে তারা কি আর স্কুলমুখী হবে? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।

গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার হার বাড়াতে ও শিশুশ্রম বন্ধ করতে দরকার সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আর সেই পদক্ষেপগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলেই শিশুদের অধিকারগুলো বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি যেসব শিশুদের পারিবারিক অবস্থা শোচনীয়, তাদের পরিবারের জন্য সরকারি ভাতা ব্যবস্থা করা জরুরি। যার ফলে তারা শিশুশ্রমে না জড়িয়ে, পড়াশোনার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে। তাই আসুন শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই। মোদ্দাকথা শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তবেই দেশ সমৃদ্ধ হবে।

বিশাল সাহা

আরও খবর

রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমজান ১৪৪২

বেড়েছে শিশুশ্রম, ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী

দেশে করোনা মহামারীর আগমনের এক বছর পার হয়ে গেছে। এক বছর পার হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের। মাঝে করোনা আক্রমণ শিথিল থাকলেও আবারো দিনকে দিন সংক্রামণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনকে দিন গ্রাম অঞ্চলে বেড়ে চলছে শিশুশ্রম। করোনার আগে যে শিশুরা স্কুলে যেতো সেই শিশুরাই এখন বই-খাতা থেকে দূরে গিয়ে শিশু শ্রম নামক চরম এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে অনেক শিশু শিক্ষার্থীর পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষদের উপার্জন কমে যাওয়ায় তারা এক রকম বাধ্য হয়ে তাদের শিশুদের অর্থ উপার্জনের মতো ঝুকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করছেন। যার ফলে তাদের শিক্ষা জীবন ও বাস্তবিক জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা অবগত আছি যে গ্রামাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষারহার কম ও ঝরে পড়ার হার ভয়াবহ রকমের বেশি। যে শিশুরা এখন অর্থ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অর্থ উপার্জনের দিকে ঝুঁকছে তারা কি আর স্কুলমুখী হবে? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।

গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার হার বাড়াতে ও শিশুশ্রম বন্ধ করতে দরকার সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আর সেই পদক্ষেপগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলেই শিশুদের অধিকারগুলো বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি যেসব শিশুদের পারিবারিক অবস্থা শোচনীয়, তাদের পরিবারের জন্য সরকারি ভাতা ব্যবস্থা করা জরুরি। যার ফলে তারা শিশুশ্রমে না জড়িয়ে, পড়াশোনার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে। তাই আসুন শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই। মোদ্দাকথা শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তবেই দেশ সমৃদ্ধ হবে।

বিশাল সাহা