পঁচিশ দিনে ২ হাজারের বেশি মৃত্যু 

করোনায় চলতি মাসের ২৫ দিনেই দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে ১০১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ১৫ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার এবং ৩১ মার্চ মৃত্যু ৯ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট ১১ হাজার ৫৩ জনের মৃত্যু হলো।

গত একদিনে দুই হাজার ৯২২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জন। এই একদিনে চার হাজার ৩০১ জন সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জনে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। গত মার্চের প্রথম দিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। প্রথম ঢেউয়ে গত বছরের ৩০ জুন সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল চার দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একশ’র বেশি ছিল। এরপর তা কিছুটা কমে নব্বইয়ের নিচে নামলেও পাঁচ দিন পর আবারও একশ’ ছাড়াল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছিল।

এরপর ৫ জুলাই দুই হাজার, ২৮ জুলাই তিন হাজার, ২৫ আগস্ট চার হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

অক্টোবরে সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটাই কমে আসে। এরপর ৪ নভেম্বর ছয় হাজার, ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আট হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজারের ঘর অতিক্রম করে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে সারাদেশে ৩৫০টি ল্যাবে ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও নারী ৪৯ জন। এর মধ্যে ৬৯ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩২ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৩ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ১২০ জন এবং নারী দুই হাজার ৯৩৩ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৬৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

পঁচিশ দিনে ২ হাজারের বেশি মৃত্যু 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনায় চলতি মাসের ২৫ দিনেই দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে ১০১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ১৫ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার এবং ৩১ মার্চ মৃত্যু ৯ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট ১১ হাজার ৫৩ জনের মৃত্যু হলো।

গত একদিনে দুই হাজার ৯২২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জন। এই একদিনে চার হাজার ৩০১ জন সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জনে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। গত মার্চের প্রথম দিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। প্রথম ঢেউয়ে গত বছরের ৩০ জুন সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল চার দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একশ’র বেশি ছিল। এরপর তা কিছুটা কমে নব্বইয়ের নিচে নামলেও পাঁচ দিন পর আবারও একশ’ ছাড়াল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছিল।

এরপর ৫ জুলাই দুই হাজার, ২৮ জুলাই তিন হাজার, ২৫ আগস্ট চার হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

অক্টোবরে সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটাই কমে আসে। এরপর ৪ নভেম্বর ছয় হাজার, ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আট হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজারের ঘর অতিক্রম করে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে সারাদেশে ৩৫০টি ল্যাবে ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও নারী ৪৯ জন। এর মধ্যে ৬৯ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩২ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৩ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ১২০ জন এবং নারী দুই হাজার ৯৩৩ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৬৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।